সপ্তম শ্রেণি অষ্টম অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্য সংকট 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

0

সপ্তম শ্রেণি অষ্টম অধ্যায় 

মুঘল সাম্রাজ্য সংকট 

5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

সপ্তম শ্রেণি অষ্টম অধ্যায়   মুঘল সাম্রাজ্য সংকট   5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

1. জায়গিরদারি প্রথা সম্পর্কে কী জানাো ?

উ:- মাোগল সামরিক ও অসামরিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি ছিল জায়গিরদারি প্রথা। যদিও সম্রাট আকবর জায়গিরদারদের ‘জায়গির প্রদানের পরিবর্তে বেতনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে জায়গিরদারি প্রথা তুলে নিয়ে মনসবদারি প্রথার প্রবর্তন করেন। & জায়গিরদারি প্রথার বৈশিষ্ট্য

i.  মনসবদার-ই-নগদি : যারা নগদে বেতন পেতেন তাঁদের বলা হত মনসবদার-ই-নগদি।

ii.  তনখা জায়গির : যাঁরা জায়গির ভাোগ করতেন তাঁদের বলা হত তনখা জায়গির।

iii. ওয়াতন জায়গির : যারা বংশপরম্পরায় জায়গির ভাোগ করতেন তাঁদের বলা হত ওয়াতন জায়গির।

iv. জমা ও হাসিল : জায়গিরদারি প্রথার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল জমা ও হাসিল। কৃষি ও জমি থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব সংগৃহীত হবে তার পরিমাণকে বলা হত জমা এবং এই রাজস্ববাবদ আদায়ীকৃত অর্থকে বলা হত | হাসিল।

v. জায়গিরদারিতে দুর্নীতি : ঔরঙ্গজেবের সময় থেকে জায়গিরদারি প্রথায় ধীরে ধীরে দুর্নীতি প্রবেশ করে। জায়গিরদারগণও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েন। জায়গিরলাভের আশায় মাোগল দরবারে শুরু হয়ে যায় দলাদলি ও উৎকোচ গ্রহণ। ঔরঙ্গজেবের আমলে

2. মনসবদারি প্রথার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাো। ।

উ:- আকবরের শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মনসবদারি প্রথা। ১৫৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি জায়গিরদারি প্রথা বাতিল করে বেতনের পরিবর্তে এই ব্যবস্থা চালু করেন আইন-ই-আকবরিতে প্রায় ৬৬ রকম মনসবদারদের পরিচয় পাওয়া যায়। মনসব কথার অর্থ হল পদমর্যাদা

i. মনসবদার : নিম্নশ্রেণির মনসবদারদের | বলা হত রেজিন্দর এবং উচ্চপদস্থদের বলা হত ওমরাহ। | মানসিংহ ছিলেন ১০ হাজারি মনসবদার ।

ii. তনখা জায়গির : যে-সমস্ত মনসবদার জায়গির ভাোগ করতেন তাদের বলা হত তনখা জায়গির।

iii. ওয়াতন জায়গির : বংশপরম্পরামূলক মনসবদারদের বলা হত ওয়াতন জায়গির।

iv. জাত ও সওয়ার : ১৫৯৭ খ্রিস্টাব্দে আকবর মনসবদারি প্রথায় জাত ও সওয়ার এই দু-ধরনের পদ সৃষ্টি করেন। ‘সওয়ার পদ তিনপ্রকার ছিল যথা ইয়াফ আসপা, দু-আসপা ও শি-আসপা। এ ছাড়া ছিল আমির ও আমির-ই-উমদি নামক মনসবদার।

v. মনসবদারদের ওপর নিয়ন্ত্রণ : সম্রাট তাঁর ইচ্ছামতাো মনসবদারদের নিয়াোগ, বদলি, পদোন্নতি বা বরখাস্ত করতেন।

3. বৈদেশিক আক্রমণ মাোগল সাম্রাজ্যের পতনকে কতটা ত্বরান্বিত করে ?

উ:- বাবর-আকবরের হাত ধরে একসময় ভারতে যে-বিশাল মাোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা ঔরঙ্গজেবের সময় থেকেই নানা কারণে পতনের সম্মুখীন হয়। আর এই পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল নাদির শাহের ভারত আক্রমণ।

4. বৈদেশিক আক্রমণ মাোগল সাম্রাজ্যের পতনকে কতটা ত্বরান্বিত করে ?

উ:- বাবর-আকবরের হাত ধরে একসময় ভারতে যে-বিশাল মাোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা ঔরঙ্গজেবের সময় থেকেই নানা কারণে পতনের সম্মুখীন হয়। আর এই পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল নাদির শাহের ভারত আক্রমণ। মাোহম্মদ শাহ

i. নাদির শাহের আক্রমণ : ক্ষয়িষ্ণু মাোগল সাম্রাজ্যের সময়কালে পারস্যের অধিপতি নাদির শাহ ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমণ করেন। এই সময় দিল্লির সম্রাট ছিলেন মাোহম্মদ শাহ। নাদির শাহের ভারত আক্রমণের ফলে মাোগল সাম্রাজ্যের ভাঙন ত্বরান্বিত হয়। তিনি রাজধানী দিল্লিতে ব্যাপক হত্যা ও লুণ্ঠন চালিয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সঙ্গে নিয়ে যান ময়ূর সিংহাসন, কোহিনুর কোটি টাকা মূল্যের ধনসম্পদ। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি মাোগল সম্রাটের কাছ থেকে সিন্ধু, কাবুল ও পশ্চিম পাঞ্জাবসহ বাৎসরিক ৫০ লক্ষ টাকা লাভ করেন।

ii. আবদালির আক্রমণ : ক্ষয়িষ্ণু মাোগল সাম্রাজ্যের মূলে কুঠারাঘাত করেন আফগান নেতা আহম্মদ শাহ আবদালি। এই সময় দিল্লির সিংহাসনে বসে ছিলেন দ্বিতীয় শাহ আলম। ১৭৪৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আহম্মদ শাহ আবদালি বেশ কয়েকবার ভারত আক্রমণ করেন।

5. মাোগল সাম্রাজ্যের পতনের চারটি কারণ দেখাও।

উ:- সম্রাট বাবর ও আকবরের হাত ধরে যে-বিশাল মাোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা কালের নিয়মে একদিন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

i. সাম্রাজ্যের বিশালতা : মাোগল সাম্রাজ্যের পতনের একটি অন্যতম কারণ ছিল সাম্রাজ্যের বিশালতা। ঔরঙ্গজেবের আমলে মাোগল সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে। তবে তাঁর আমলেই সাম্রাজ্যের বিশালতার সুযাোগ নিয়ে দেখা দেয় প্রাদেশিক বিদ্রোহ। যা রাোধ করার ক্ষমতা পরবর্তী মাোগল সম্রাটদের ছিল না।

ii. জায়গির প্রথা : মাোগল যুগে বিশেষ করে সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সময় থেকে জায়গিরদারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি প্রবেশ করে। জায়গিরদারগণ সরকারি তহবিলে নির্দিষ্ট হাসিল জমা দিতেন না। কৃষকদের ওপর তাঁরা শাোষণ ও নির্যাতন করতেন। ফলে কৃষির ফলন হ্রাস পায়। যা মাোগল অর্থনীতির পক্ষে ছিল একটি অশুভ লক্ষণ।) iii. বৈদেশিক আক্রমণ : ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহের ভারত আক্রমণের ঘটনা মাোগল অর্থনীতিকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। তিনি এদেশ থেকে ময়ূর সিংহাসন, কোহিনুর মণি সহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করে পারস্যে নিয়ে যান। এর রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আফগান নেতা আহম্মদ শাহ আবদালি ভারত আক্রমণ করেন।

iv. দরবারি রাজনীতি : ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর থেকেই মাোগল দরবারে ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানি অভিজাতদের মধ্যে বিরাোধ চরম আকার ধারণ করে। পরবর্তী শাসকদের মধ্যে এর প্রভাব লক্ষ করা যায়।

v. উপসংহার : উপরাোক্ত কারণ ছাড়াও দুর্বল উত্তরাধিকারী, উত্তরাধিকার সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ও আর্থিক দুর্বলতার জন্য মাোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

6. মাোগলযুগের প্রাদেশিক বিদ্রোহ সম্পর্কে কী জানাো ?

উ:- মাোগল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযাোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তাগণ (সুবাদার) কেন্দ্রবিরাোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হন এবং তাঁরা নিজ নিজ প্রদেশে স্বাধীনতা ঘাোষণা করেন।

i. মুরশিদকুলি খান : মাোগল সম্রাট ফারুকশিয়রের আমলে ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন মুরশিদকুলি খান। তিনি দিল্লির প্রতি আনুগত্য না দেখিয়ে বাংলায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন।

(খ) সাদাত খান : অযাোধ্যার নবাব সাদাত খান স্বাধীনতা ঘাোষণা করেন।

ii. নিজাম : মাোহম্মদ শাহের প্রধানমন্ত্রী নিজাম-উলমুলক ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে একটি স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন। পরে এই রাজ্য হায়দরাবাদের নিজামের রাজ্য নামে পরিচিত হয় । হায়দ্রাবাদের নিজাম-উল মুলক

iii. মারাঠা ও জাঠদের কর্তৃত্ব : গুজরাট ও মালবে মারাঠাদের এবং ভরতপুরে জাঠদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। এই সময় মারাঠাদের কর্তৃত্ব দিল্লির দরবার পর্যন্ত পৌঁছায়।

iv. শিখশক্তি বৃদ্ধি : পাঞ্জাবে শিখশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে। পারস্যসম্রাট নাদির শাহ ভারত আক্রমণ করলে পাঞ্জাব বিধ্বস্ত হয় এবং কাবুল ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ সম্রাট শাহের হস্তচ্যুত হয়।

v. উপসংহার : এইভাবে অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে দিল্লির মাোগল রাজশক্তি কেবল দিল্লি, আগ্রা ও তৎসন্নিহিত অঞলেই সীমাবদ্ধ থাকে।

7. মাোগল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য ঔরঙ্গজেবকে কীভাবে দায়ী করা যায় ?

উ:-  সম্রাট ঔরঙ্গজেবের হাত ধরে যেমন মাোগল সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে, তেমনই তাঁর আমলেই মাোগল সাম্রাজ্যের ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙন রাোধ করার ক্ষমতা প্রবর্তী মাোগল সম্রাটদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।

i. সাম্রাজ্যের বিশালতা : ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মাোগল সাম্রাজ্যের সর্বাধিক বিস্তৃতি ঘটে। তাঁর মাোট সুবার সংখ্যা ছিল ২১। এই বিশাল সাম্রাজ্যের শাসনভার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাঁর থাকলেও পরবর্তী দুর্বলচেতা মাোগল সম্রাটদের সেই ক্ষমতা ছিল না। এর ফলে প্রাদেশিক সুবাদারগণ স্বাধীন হয়ে পড়েন।

ঔরঙ্গজেব

ii. দাক্ষিণাত্য নীতি : দাক্ষিণাত্যে মারাঠা শক্তি ও অন্যান্য মুসলিম রাজ্যগুলিকে দমন করতে ঔরঙ্গজেব জীবনের শেষ ২৫টি বছর দাক্ষিণাত্যে অতিবাহিত করেন। কিন্তু তাতে সুফল কিছু হয়নি। এই নীতির ফলে ব্যয় হয় প্রভূত অর্থ ও সম্রাটের মূল্যবান সময়। এই সুযাোগে উত্তর ভারতে মাোগল সাম্রাজ্যের আঞ্চলিক শক্তিগুলি বিদ্রোহ ঘাোষণা করে।

iii. ধর্মান্ধতা : ঔরঙ্গজেব ছিলেন সুন্নি সম্প্রদায়ে মুসলমান। তিনি ভারতে ইসলামিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে গিয়ে অ-মুসলমান সম্প্রদায়ের ক্ষোভের সম্মুখীন হন। তিনি হিন্দুদের ওপর ‘জিজিয়া কর আরাোপ করেন। বহু হিন্দুমন্দির ধ্বংস করেন। বহু হিন্দুকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন। শিয়াপন্থী মুসলমানরাও ঔরঙ্গজেবের কুনজরে পড়েছিল। তিনি শিখগুর  mতেগবাহাদুরকে হত্যা করে শিখজাতির বিরাগভাজন হন।

iv. চারিত্রিক ত্রুটি: তিনি যেমন ছিলেন ধর্মান্ধ, তেমনি ছিলেন সন্দেহপরায়ণ। তিনি জীবনে কাউকেই বিশ্বাস করেননি। নিজের পুত্ররাও ব্যতিক্রম ছিলেন না। তাঁর চরিত্রের আর-এক দোষ ছিল নিষ্ঠুরতা। সেজন্য পিতা শাহজাহানকেও গৃহবন্ধি করে রাখতে তিনি পিছপা হননি। ভ্রাতৃহত্যা করাও তাঁর কাছে কোনাো বাধাস্বরূপ। ছিল না।

v. উপসংহার : ঔরঙ্গজেবের ব্যক্তিগত যাোগ্যতার দরুন তাঁর আমলে মাোগল সাম্রাজ্যের ভাঙন সম্পূর্ণরূপে হয়নি। ঠিকই। কিন্তু এ কথা সত্য যে, তাঁর কাণ্ডজ্ঞানহীনতার জন্যই তাঁর রাজত্বকালে মাোগল সাম্রাজ্যের ভাঙনের বীজ রাোপিত হয়।

8. মাোগলদের বিরুদ্ধে শিখরা কীভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছিল ?

উ:- মাোগলদের বিরুদ্ধে শিখরা বিভিন্নভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছিল। মাোগল- শিখ দ্বন্দ্ব মাোগল সম্রাট জাহাঙ্গির এবং শাহজাহানের আমল থেকেই মাোগলদের সঙ্গে শিখদের সংঘাত শুরু হয়। শিখরা তাদের গুরুর প্রতি অনুগত ছিল। তাই নিয়ে অনেক সময় মাোগল সাম্রাজ্যের সঙ্গে শিখদের সংঘাত বাঁধত। আবার শিখদের উত্থান অনেকটা একটি স্বাধীন শক্তির উত্থানের মতাোই হয়ে উঠেছিল। এটি মাোগল সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। তা ছাড়া নবম শিখগুরু তেগবাহাদুরের ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির বিরাোধিতা করা, ফলস্বরূপ তাকে হত্যা করা হলে শিখরা পাঞ্জাবের এক পাহাড়ি এলাকায় চলে যায় এবং দশম শিখ গুরু গাোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে তারা সঙ্বদ্ধ হয়। খালসা সংগঠন। শিখদের নিরাপদে রাখার জন্য ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে গুরু গাোবিন্দ সিংহ খালসা নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। খালসার সদস্যদের মারাঠা প্রশিক্ষণ দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ ছিল । গুরু গাোবিন্দ সিংহই তাদের পথ ঠিক করেছেন। গুরু তাদের পাঁচটি জিনিস সবসময় কাছে রাখতে বলেন। এই পাঁচটি জিনিস হল কেশ, কঙ্ (চিরুনি), কচ্ছা, কৃপাণ এবং কড়া। এখন থেকে খালসাপন্থী শিখরা ‘সিংহ পদবি ব্যবহার করতে শুরু করে। পাহাড়ি হিন্দু রাজাদের সঙ্গে শিখদের মাঝে মধ্যেই ছাোটোখাটো যুদ্ধ চলত। গুরুগাোবিন্দ সিংহের মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্য বান্দা বাহাদুর লড়াই চালিয়ে যান।

i. উপসংহার : উপরাোক্ত আলাোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলা যায় যে, গুরুগগাবিন্দ সিংহ মাোগলদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মাোগলদের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েগিয়েছিল।

 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top