সপ্তম
শ্রেণি নবম অধ্যায়
আজকের
ভারত গণতন্ত্র স্বায়ত্তশাসন
5 নম্বরের
প্রশ্ন উত্তর
সপ্তম শ্রেণি নবম অধ্যায় আজকের ভারত গণতন্ত্র স্বায়ত্তশাসন 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
1. ভারতের সংবিধান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখাো।
উ:- প্রতিটি দেশের সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট নিয়মকানুনই সংবিধান নামে
পরিচিত। ঠিক তেমনি আমাদের দেশ ভারতেরও একটি লিখিত সংবিধান আছে। এত বড়াো সংবিধান পৃথিবীর
অন্য কোনাো দেশে নেই। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার হলেন ড. বি আর আম্বেদকর। ভারতীয় সংবিধান
অনুযায়ী জনগণই শেষ কথা। এই সংবিধান মেনে দেশের সরকার নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণকেই
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের জনগণ ভাোটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারকে এবং রাজ্য সরকারকে
নির্বাচিত করে। ভারতীয় সংবিধানের মতাো এত ধারা ও উপধারা পৃথিবীর অন্য কোনাো দেশের
সংবিধানে নেই। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের
২৬ জানুয়ারি থেকে এই সংবিধান কার্যকর হয়। ২৬ জানুয়ারি, এই দিনটি আবার প্রজাতন্ত্র
দিবসরূপেও পালিত হয়।
2. পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সম্পর্কে কী জানাো ?
উ:- ভারতের গণতান্ত্রিক শাসনের একটি বৈশিষ্ট্য হল—বিকেন্দ্রীকরণ। যার
অর্থ ক্ষমতাকে একেবারে সর্বশেষ স্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই প্রকার শাসনের সুফল পাবে
সাধারণ মানুষ। শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতাো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সুফল সাধারণ মানুষের
কাছে পৌঁছাোবে। পঞ্চায়েত গ্রামের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে। গ্রামের গ্রামের লাোকজন
ভাোটদানের মাধ্যমেই পায়েত সদস্যদের নির্বাচন করেন। এই নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে একজনকে
পঞ্চায়েত প্রধানরুপে নির্বাচিত করা হয়। গ্রামের উন্নতিসাধনই পায়েতের প্রধান কাজ।
যে-কাজগুলির মধ্যে উল্লেখযাোগ্য হল—পানীয় জলের সরবরাহ, গ্রাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা,
পথঘাট নির্মাণ প্রভৃতি। এ ছাড়া গ্রামের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য পঞ্চায়েতগুলি
নানা বিদ্যালয় স্থাপন করে। হাসপাতাল তৈরি করে এবং বনসৃজন করে। পঞ্চায়েত শাসনব্যবস্থা
পরিচালিত হয় জেলাপরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রামপঞ্চায়েতের মাধ্যমে।