সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|সপ্তম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট

0

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|সপ্তম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট




প্রিয় বন্ধুরা 

সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|সপ্তম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট আজকে আলোচনা করব |তোমরা West Bengal Class 7 History পেয়ে যাবে |সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর|Class 7 History 7th chapter Suggestion WBBSE|ইতহাস প্রশ্নোত্তর| West Bengal Class Seven|Class 7 History Question and Answer|itihas proshno uttor| Class 7 History 7th chapter Notes WBBSE|ইতিহাস মক টেস্ট|History Mock Test 


এছাড়াও তোমরা পাবে সপ্তম শ্রেণী সপ্তম   অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Ques -tion and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের VII History Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের ইতিহাস পরীক্ষার জন্য এই ৩ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস (দিল্লি মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট ) ৩ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।


সপ্তম শ্রেনী ইতিহাস|সপ্তম অধ্যায়|৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দিল্লি মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট


1. মাোগলযুগে জায়গিরদারি সংকটের কারণ কী ?

উ:- মাোগল সাম্রাজ্যের শক্তির একটি অন্যতম বুনিয়াদ ছিল জায়গিরদারি ব্যবস্থা। কিন্তু সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সময় থেকেই এই ব্যবস্থায় সংকট দেখা দেয়, যেমন

i. হাসিল ঘাটতি : জাহাঙ্গির ও ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব কালে জায়গিরদারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু সে তুলনায় কৃষি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়নি। জাহাঙ্গিরের আমলেই হাসিলে রাজস্ববাবদ আদায়ের পরিমাণ দারুণভাবে হ্রাস পায়। সাম্রাজ্যের আয়ের উৎস কমে যেতে থাকে, ফলে সাম্রাজ্যের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ পড়তে থাকে।

ii. যথেচ্ছ জায়গির দান : জায়গির লাভের আশায় শুরু হয় গাোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দলাদলি। দক্ষিণ ভারতের অভিজাতদের সমর্থন লাভের জন্য শাহজাহান সেখানে বহু মনসব দান করেছিলেন। আবার মনসব লাভের আশায় দিল্লিতে ধরাধরি ও উৎকোচ প্রদান থেকে শুরু করে গাোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দলাদলি শুরু হয়ে যায়।

iii. জায়গিরদারদের দুর্নীতি: মনসবদারগণও দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করত। জায়গিরদারগণ বেশি আয়ের লাোভে বেশি করে রাজস্ব আদায় করত। যদিও এই অতিরিক্ত ‘হাসিল সরকারের তহবিলে জমা পড়ত না।



2. প্রাদেশিক বিদ্রোহ মাোগল সাম্রাজ্যের ভিত কীভাবে দুর্বল করে ?

উ:- মাোগল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযাোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাদেশিক শাসনকর্তাগণ (সুবাদার) মাোগল বিরাোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হন এবং তারা নিজ নিজ প্রদেশে স্বাধীনতা ঘাোষণা করেন।মাোগলযুগে প্রাদেশিক বিদ্রোহ

i. মাোগল সম্রাট ফারুকশিয়ারের আমলে বাংলার শাসনকর্তা মুরশিদকুলি খান। স্বাধীনভাবে রাজত্ব শুরু করেন।

ii. অযাোধ্যার নবাব সাদাত খান স্বাধীনতা ঘাোষণা করেন।

iii. মাোহম্মদ শাহের প্রধানমন্ত্রী নিজাম-উল-মুলক ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে দাক্ষিণাত্যে একটি স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন।

iv. গুজরাট ও মালবে মারাঠাদের এবং ভরতপুরে জাঠদের কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়। এই সময় মারাঠাদের কর্তৃত্ব দিল্লির পৌঁছাোয় ।

v. রাোহিলাখণ্ডের আফগানগণ স্বাধীন স্থাপ করে। এই সময় রাজপুতগণও মাোগল বিরাোধী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল।

vi. পাঞ্জাবে শিখশক্তি প্রবল হয়ে ওঠে।

উপসংহার : এইভাবে অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে রাজশক্তি কেবল দিল্লি, আগ্রা ও দিল্লির মাোগল তৎসন্নিহিত অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকে।




3. শিবাজির শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করাো।

উ:- মারাঠাবীর শিবাজি কেবল একজন সমরকুশলী নরপতি ছিলেন না, তিনি ছিলেন সুশাসক। মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাসে তাঁর শাসনব্যবস্থা ছিল একটি বিতর্কিত বিষয়। স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়েও তিনি জনগণের জন্য একটি প্রজাকল্যাণমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তাোলেন।

i. কেন্দ্রীয় শাসন কাঠামাো : শাসনব্যবস্থায় তিনি ছিলেন সর্বময় কর্তা। তাঁকে সাহায্য করার জন্য একটি মন্ত্রীপরিষদ বা ‘অষ্টপ্রধান ছিল। এঁরা ছিলেন পেশাোয়া (প্রধানমন্ত্রী), অমাত্য (রাজস্বমন্ত্রী), মন্ত্রী (ঘটনার তত্ত্বাবধায়ক), সচিব (সরকারি পত্র-বিভাগীয় মন্ত্রী), সামন্ত (বিদেশ মন্ত্রী), পণ্ডিতরাও (পুরাোহিত), ন্যায়াধীশ (প্রধান বিচারপতি) এবং সেনাপতি।

ii. প্রাদেশিক শাসন: শিবাজি সমগ্র সাম্রাজ্যকে যথাক্রমে প্রান্ত বা প্রদেশ, তরফ বা পরগনা ও গ্রামে বিভক্ত করেছিলেন। প্রদেশের শাসন-কর্তাদের বলা হত মামলাতদার। তরফের শাসনকর্তারা ছিলেন হাবিলদার বা কারকুন। গ্রামের শাসনভার ন্যস্ত ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওপর। গ্রামের ওপর থাকতেন দেশপান্ডে ও দেশমুখ নামক কর্মচারী। রাজকর্মচারীদের পদ বংশানুক্রমিক ছিল না।



4. ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধ নীতির উদাহরণ দাও। তার ফল কী হয়েছিল ?

উ:- মাোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ছিলেন একজন ঘাোরতর ধর্মান্ধ শাসক। ধর্মান্ধের প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যেমন

i. জিজিয়া কর:- তিনি তাঁর সাম্রাজ্যের অমুসলমান প্রজাদের ওপর জোর করে “জিজিয়া কর স্থাপন করেন।

ii. হিন্দুমন্দির ধ্বংস : ভারতের বহু হিন্দু মন্দির ধ্বংস সাধন করেন।

iii.তেগবাহাদুরকে হত্যা: তিনি নবম শিখগুরু তেগবাহা -দুরকে হত্যা করে শিখদের বিরাগভাজন হন।

iv. বিভিন্ন বিদ্রোহ : তাঁর আমলে সমি, জাঠ, বুন্দেল, রাজপুত প্রভৃতি বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

v. শিয়া মুসলিমদের ওপর অত্যাচার: শুধু তাই নয়, তিনি শিয়াপন্থী মুসলমানদের ওপরও অকথ্য নির্যাতন শুরু করেছিলেন।

vi.বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরাোপ: হিন্দু ও মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব, মদ্যপান, জুয়া খেলা ইত্যাদি বিষয়ে বিধিনিষেধ আরাোপ করেন।

vii. ধর্মান্ধনীতির ফলাফল : ঔরঙ্গজেবের এই ধর্মান্ধ নীতির ফল ভালাো হয়নি। এর ফলে অমুসলমান সম্প্রদায়, যেমন জাঠ, বুন্দেল, সৎনামিরা সম্রাটের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়। সাম্রাজ্যের নানা স্থানে গড়ে ওঠে কৃষকবিদ্রোহ। ফলে মাোগল সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে।



5. টীকা লেখাো : খালসা অথবা, খালসা সম্পর্কে কী জানাো ?

উ:- শিখগুরু গাোবিন্দ সিংহ ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে খালসা নামক এক সংগঠন তৈরি করেন। এই সংগঠন তৈরি করার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিখদের নিরাপদে রাখা। তিনি শিখদের সঠিক জীবনের পথ বা ‘পন্থ ঠিক করে দেন।



6. খালসা কাকে বলে ? কেন। খালসা গড়ে ওঠে?

উ:- নির্দেশ অনুযায়ী শিখদের পাঁচটি জিনিস রাখতে হত যেগুলির নাম ‘ক অক্ষর দিয়ে শুরু কেশ, কঙ্ঘা (চিরুনি), কচ্ছা, কৃপাণ এবং কড়া। এ ছাড়া খালসাপন্থী শিখরা ‘সিংহ' পদবি ব্যবহার করতে শুরু করেন। শিখদের খালসার মাধ্যমে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। এসময় থেকেই পাহাড়ি রাজাদের সঙ্গে শিখদের যুদ্ধ চলত। গাোবিন্দ সিংহের মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্য বান্দা বাহাদুর লড়াই চালিয়ে যান। শিখদের ধর্মীয় আন্দোলনের মূলকথা ছিল সাম্য, অনেক সময় তাদের এই আন্দোলন সামরিক


File Details

 

File Name/Book Name

সপ্তম শ্রেনী ষষ্ঠ অধ্যায় ৩ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

110.3 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File


Join Telegram... Members


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top