আজকের
ভারত
গণতন্ত্র
ও স্বায়ত্তশাসন
3 নম্বরের
প্রশ্ন ও উত্তর
আজকের ভারত গণতন্ত্র ও স্বায়ত্তশাসন 3 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর
1. সংবিধান বলতে কী বোঝো ?
উ:- একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ কীভাবে চলবে, কীভাবে তার শাসনতন্ত্র
পরিচালিত হবে তার জন্য একটি বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন তৈরি করা। এই লিখিত বিধিবদ্ধ বিধান
বা নিয়মকানুনকেই বলা হয় সংবিধান। মনে রাখতে হবে, বর্তমানে পৃথিবীর সমস্ত রাষ্ট্রই
তাদের সংবিধান অনুসারে দেশের শাসনতন্ত্র পরিচালনা করে।
2. ভারতকে কেন একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলা ?
উ:- সংবিধান বলতে কী বোঝোভারতকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয়। কারণ
সদীয় গণতন্ত্রের রীতি মেনে দেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগণ প্রতি পাঁচ বছর অন্তর গণতান্ত্রিক
পদ্ধতির সাহায্যে ভাোট দানের মাধ্যমে দেশের সরকার নির্বাচিত করে।
3. ভীমরাও আম্বেদকরকে কেন ভারতীয় সংবিধানের জনক বলা হয় ?
উ:- ভারতের সংবিধান রচনা করার জন্য ভারতীয় গনপরিষদ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে
মাোট ১০টি কমিটি তৈরি করে। আবার এই কমিটিগুলির কাজ পর্যালাোচনা করার জন্য গড়ে তাোলা
হয় একটি খসড়া কমিটি। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন ভ, আম্বেদকর। তাঁরই নেতৃত্বে ভারতের
সংবিধান রচিত হয়। এজন্য তাঁকে ভারতীয় সংবিধানের জনক বলা হয়।
4. একটি সার্বভৌম দেশের সরকারি কাজকর্ম কীভাবে পরিচালিত হয় ?
উ:- একটি সার্বভৌম দেশের সরকারি কাজকর্ম পরিচালিত হয় তিনটি স্তম্ভের
ওপর নির্ভর করে। এগুলি হল
i. আইন বিভাগ: এর কাজ হল দেশ
পরিচালিত করার জন্য একটি সুষ্ঠ আইন-কানুন ব্যবস্থা গড়ে তাোলা। ii. শাসনবিভাগ:
শাসনবিভাগের কাজ হল দেশের আইন-কানুন যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না। তা দেখা।
iii. বিচারবিভাগ: বিচারবিভাগ-এর কাজ হল সংবিধানের সমস্ত আইনকানুন মেনে
জনগণের বিচার সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা ও তাদের সুবিচারের ব্যবস্থা করা।
5. রাজতন্ত্রের যুগে সরকার কেমন ছিল?
উ:- রাজতন্ত্রের যুগে সরকার বলতে বাোঝাত একটি সাম্রাজ্যের শাসনকর্তা বা শাসনব্যবস্থাকে। এই শাসনব্যবস্থার শীর্ষে থাকতেন স্বয়ং রাজা বা সম্রাট। তাঁরা ছিলেন স্বৈরাচারী। তাঁদের ইচ্ছা অনুসারে আইন তৈরি হত, যুদ্ধ হত ও কর আদায় করা হত। সেখানে জনগণের ইচ্ছার কোনাো মূল্য ছিল না। তখন সম্রাটের অধীন একটি মন্ত্রীপরিষদ থাকলেও তাঁদের মতামতের কোনাো মূল্য ছিল কারণ তাঁদের মনাোনীত করতে
ন রাজা বা সম্রাট।