2ND SERIES CLASS 6 BENGALI MODEL ACTIVITY TASK 2021 Part 5 QUESTION WITH ANSWER (AUGUST) // ষষ্ঠ শ্রেণি বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ পর্ব ৫ (দ্বিতীয় সিরিজ) প্রশ্ন ও উত্তরসহ (আগস্ট)

0

 

CLASS 6 BENGALI  MODEL ACTIVITY TASK Part 5 

2ND SERIES CLASS 6 BENGALI

MODEL ACTIVITY TASK 2021 Part 5

QUESTION WITH ANSWER (AUGUST)

ষষ্ঠ শ্রেণি  বাংলা

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ পর্ব  (দ্বিতীয় সিরিজ)

প্রশ্ন  উত্তরসহ (আগস্ট)

 

. ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য। – ‘মরশুমের দিনেগদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।

. দিন রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্রহাটকবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।

. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্ররচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?

. ‘পিপড়েকবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে আলোচনা করো।

. ‘ফাঁকিগল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?

. ‘পৃথিবী সবারই হোক।'— এই আশীর্বাণীআশীর্বাদগল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?

. ‘ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি।'— এর পরবর্তী ঘটনাক্রমএক ভূতুড়ে কাণ্ডগল্প

অনুসরণে লেখো।

. ‘এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ’– ‘বাঘকবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।

উত্তরসমূহ

. ধানকাটার পর একেবারে আলাদা দৃশ্য। – ‘মরশুমের দিনেগদ্যাংশ অনুসরণে সেই দৃশ্য বর্ণনা করো।

উঃ- ধান কাটার পর মাঠে যতদূর দৃষ্টি যায় চোখে পড়ে রুক্ষ মাটির শুকনো কঙ্কালসার চেহারা। আল গুলি বুকের  পাঁজরের মত।রোদের দিকে তাকানো যায়না।গরুর গাড়ির চাকায়,মানুষের পায়ে মাটি ডেলা গুঁড়ো হয়ে রাস্তা হয়েছে আর সেই ধুলো ঘূর্ণিঝড় বা হাওয়ায় উড়ে এসে চোখ মুখে ভরে যায়।বেলা বাড়তেই মাটি গরম হয়ে ওঠে যারা মাঠে যায় তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে।পুকুর খাল বিল নদী সব শুকিয়ে যায় কোথাও জল থাকে না।গাছে পাতা  থাকেনা।আগুনের ঝলকায় শুধু চারিদিকে হাহাকার শোনা যায়। 

. দিন রাতের পটভূমিতে হাটের চিত্রহাটকবিতায় কীভাবে বিবৃত হয়েছে তা আলোচনা করো।

উঃ- দিনের বেলা হাটে কোলাহল থাকে। চেনা অচেনা হাজার মানুষের ভিড়। কত মানুষের পায়ের টুকরো টুকরো ছাপ পড়ে থাকে হাটের ধুলোতে। সবাই নিজের জিনিস গােছাতে ব্যস্ত। সামান্য অর্থের জন্য কত কাড়াকাড়ি। হানাহানি করে কেউ লাভ করে, আবার কেউ পায় না।

সারা দিন চেনা অচেনা মানুষের ভিড়ে কথার অন্ত থাকে না। রাত্রে ফাঁকা হাট নির্জন অবস্থায় পড়ে থাকে কেউ সন্ধা দেয় না,রাত্রে হাট নিস্তব্দ হয়ে পড়ে থাকে,দূরের বাড়িগুলোতে বাতি জ্বলে কিন্তু হাটে শুধু অন্ধকার রাজত্ব করে।রাত্রে নেই দরকষাকষি নেই কেন বেঁচা।এই ভবের হাটে কত যে ক্রেতা আর বিক্রেতা এলো আর গেলো,তার হিসাব নেই।

. ‘মাটির ঘরে দেয়ালচিত্ররচনায় সাঁওতালি দেয়ালচিত্রের বিশিষ্টতা কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উঃ- কালী পূজা বা কার্তিকের আমাবস্যা তিথিতে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা গৃহ মার্জনা অলংকার করে থাকেন। মূলত জমিতে আকার আশ্রিত বিভিন্ন বর্ণ সমাবেশে রচিত দেয়ালচিত্রে চাওরা রঙিন ফিতের মত সমন্তরাল রেখা ত্রিভুজ এবং চতুষ্কোণ বানিয়ে নকশা করা যায়।

সাধারণত ঘরের চারিদিকে ঘিরে থাকা মুল বেদিটিকে তারা কালো রং করে তার সমান্তরালেই বিঘত থানের চওড়া গেরুয়ার একটি রেখা টেনে তার ওপর সামান ছাড় দিয়ে আরেকটি কালো রেখা টানা হয়। এর ওপর সাদা, আকাশি, গেরুয়া, হলুদে রঙের রেখা দিয়ে চতুষ্কোণ বা ত্রিভুজগুলি তৈরি হয়। সেগুলি পাশাপাশি বসে দেয়াল ভরিয়ে তোলে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এই অপরূপ শিল্প রোধের মাধ্যমে সাঁওতালি দেওয়াল চিত্রের বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে।

 

. ‘পিপড়েকবিতায় পতঙ্গটির প্রতি কবির গভীর ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে আলোচনা করো।

উঃ- অমিয় চক্রবর্তী রচিত "পিপড়ে" কবিতায় পিঁপড়ের মত এই ছোট্ট প্রাণীটির প্রতি ভালোবাসা মমত্ববোধ ফুটে উঠেছে। কবির মতে সে যত ছোট প্রাণী হোক না কেন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার তার সমান অধিকার রয়েছে। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে সকলে মিলে মিশে আনন্দে থাকার মধ্যেই কবি জীবনের পরম সার্থকতা উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

. ‘ফাঁকিগল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্র একটি নিরীহ, নিরপরাধ আমগাছ।উদ্ধৃতিটি কতদূর সমর্থনযোগ্য?

উঃ- লেখক রাজকিশোর পট্টনায়ক এর লেখা ফাঁকি গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল একটি আম গাছ। গোপালের বাবার তৈরি একটি কলমি চারা থেকে ধীরে ধীরে গাছটি বড় হয়ে ওঠে এবং একসময় সেই গাছটি বিশাল জায়গা জুড়ে বিস্তার করেছিল। পাড়ার বিভিন্ন লোক এবং ছেলেরা সেই গাছের নিচে খেলাধুলা করা, বই পড়া, গল্প করা ইত্যাদি আরম্ভ করলো।

এভাবে বিরাট আকারের এই গাছটি গোপালের বাড়ির নিশানায় পরিণত হয়। একদিন আষাঢ়ের ঝরে গাছটি মরে গেলে শুধু গোপালদের বাড়ির লোক নয় বরং পাড়ার সব লোক দুঃখ প্রকাশ করে। তারপর সবাই লক্ষ্য করে গাছটির একধার উই পোকা খেয়ে নিয়েছিল অথচ কারো নজরে পড়েনি, যদি পরতাে তাহলে গাছটি এভাবে মরে যেত না। তাই গাছটিকে নিরীহ নিরপরাধ বলা সমর্থনযোগ্য।

. ‘পৃথিবী সবারই হোক।'— এই আশীর্বাণীআশীর্বাদগল্পে কীভাবে ধ্বনিত হয়েছে?

উঃ- দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা আশীর্বাদ গল্পে বক্তা হলো গাছের পাতা।গল্প অনুযায়ী দিনশেষে পিঁপড়েকে মাটির নিচে আশ্রয় নিতে হয় বলে উপরে বলেছিল যে মাটি শুধু তাদের কিন্তু পাতা পিঁপড়েকে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে মাটি শুধু তার নয় মাটি সবার জন্যই।পাতার এই কথার মধ্য দিয়ে এই পৃথিবীতে জীবজগতের প্রতিটি প্রাণীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।এই পৃথিবীর আলো-বাতাস,জল,মাটি ভোগ করার অধিকার সবার সমান।

. ‘ছোট্ট গাড়ির মধ্যে যতটা আরাম করে বসা যায় বসেছি।'— এর পরবর্তী ঘটনাক্রমএক ভূতুড়ে কাণ্ডগল্প

অনুসরণে লেখো।

উঃ- এক ভুতুড়ে কান্ড কবিতায় আমরা দেখতৈ পাই এক নির্জন জায়গায় সাইকেলের টায়ার ফেঁসে লেখক চরম বিপদে পড়েন। একটি লরি আসলেও লেখক কে উদ্ধার করে না। তারপর ধীরগতিতে একটি বেবি অস্টিন মোটরগাড়ি আসে। লেখক মরিয়া হয়ে চলন্ত গাড়িতে উঠে পড়েন। গাড়িতে উঠে তিনি দেখেন গাড়ি চলছে কিন্তু গাড়িতে ড্রাইভার নেই। লেখক প্রথমে ভূতের ভয়ে চমকে উঠলেও শেষ পর্যন্ত গাড়ি থেকে তিনি নামেননি। ড্রাইভার হীন গাড়ি যেমন চলছিল তেমনি চলতে লাগলো।

. ‘এক যে ছিল ছোট্ট হলুদ বাঘ’– ‘বাঘকবিতা অনুসরণে তার কীর্তিকলাপের পরিচয় দাও।

উঃ- নবনীতা দেবসেনের লেখা 'বাঘ' কবিতায় একটি ছোট্ট বাঘের রাগ, দু: এবং নানান কর্মকাণ্ডের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই ছোট্ট বাঘটি থাকত তার বাবা-মায়ের সাথে পাখিরালয়ে। সেখানে শুধুই পাখি। ছাগল, ভেড়া, হরিণ কিছুই নেই, খাবে কি। এজন্য খিদের চোটে তার রাগ জমে ওঠে। খিদের জ্বালায় সে পাখি ধরতে লাফ দেয় কিন্তু পাখিরা উড়ে পালায়। তাতে সে আরো প্রচন্ড রেগে যায়। এরপর খিদে মেটানোর জন্য সে যায় নদীর ধারে কাঁকড়া ধরতে। বাঘছানা গর্তে থাবা ঢোকাতেই কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে চিমটে ধরে। যন্ত্রনায় কেঁদে ওঠে। তারপর তার বাবা এসে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে। আলোচ্য গল্পে ছােট্ট বাঘটির খিদের জ্বালায় এসব কীর্তিকলাপের পরিচয় পাওয়া যায়।

 




 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top