CLASS-VII, HISTORY, MODEL ACTIVITY TASK-2,2021//
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-২
ইতিহাস
সপ্তম শ্রেণি
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন—এই উক্তিটা ঠিক না ভুল? তােমার উত্তরের সপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখাে।
২. সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল বলে তােমার মনে হয়? (৭০/৮০টি শব্দে লেখ)
৩. নীচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখাে.....
ক) মাৎস্যন্যায় :
খ) ব্ৰত্মদেয় :
গ) খিলাফত :
উত্তরসমূহ
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. শশাঙ্ক বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন—এই উক্তিটা ঠিক না ভুল? তােমার উত্তরের সপক্ষে দুটি অথবা তিনটি বাক্য লেখাে।
গৌড়ের রাজা শশাঙ্ক ছিলেন শিবের উপাসক হলেও তিনি ‘বৌদ্ধবিদ্বেষী’ ছিলেন না কারন, শশাঙ্কের শাসনকালের কয়েক বছর পর চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ (সুয়ান জাং) কর্ণসুবর্ণ নগরের উপকণ্ঠে রাঙামাটি (রক্তমৃত্তিকা) বৌদ্ধবিহারের সমৃদ্ধির কথা বলেছেন। শশাঙ্কের মৃত্যুর ৫০ বছর পর চিনা পর্যটক ইৎসি বাংলায় বৌদ্ধধর্মের উন্নতি লক্ষ করেছেন। শশাঙ্ককে যারা বৌদ্ধবিদ্বেষী বলেছেন তারা ছিলেন শশাঙ্কের শত্রু হর্ষবর্ধনের আশ্রিত। তাই আমরা বলতে পারি বৌদ্ধবিদ্বেষী’ ছিলেন না।
২. সুলতান মামুদের ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে প্রকৃত কারণ কী ছিল বলে তােমার মনে হয়? (৭০/৮০টি শব্দে লেখ)
ভারতের বিপুল ঐশ্বর্য চিরদিনই বিদেশি আক্রমণকারীদের প্রলুব্ধ করেছে। তাই গজনির ইয়ামিনি বংশের সুলতান মামুদ ১০০০-১০২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ২৭ বছরে ১৭ বার ভারত আক্রমণ করেন। তিনি তুর্কি পারস্য সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে ও ইরানি সংস্কৃতির নবযুগের পৃষ্ঠপােষক হিসাবে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তার প্রয়ােজন ছিল প্রচুর অর্থসম্পদের। তাই ভারতবর্যকেই তার কোষাগার বলে মামুদ চিহ্নিত করেছিলেন। তাই বারবার ভারতের ধনসম্পদ লুণ্ঠন করতে তিনি বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ভারত আক্রমণ করেছেন এবং ধর্মীয় মঠ ও মন্দিরগুলি লুঠ করে নিয়ে গেছেন। অর্থাৎ লুণ্ঠনে ছিল তার ভারত আক্রমনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভারতে স্থায়ী সাম্রাজ্যও প্রতিষ্ঠা নয়।
৩. নীচের শব্দগুলির জন্য দুটি করে বাক্য লেখাে.....
ক) মাৎস্যন্যায় : বাংলার রাজা শশাঙ্কের মৃত্যুর (৬৩৭ খ্রি.) পর তাঁর পুত্র মানবদেব সিংহাসনে বসেন। তিনি মাত্র আট মাস পাঁচ দিন রাজত্ব করেছিলেন। এই সময় থেকে কনৌজ রাজ হর্ষবর্ধন, কামরূপের রাজা ভাস্করবর্মা, কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য-সহ অনেকে বারবার বাংলা আক্রমণ করেন। ফলে বাংলায় চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়। সবলেরা দুর্বলের উপর অত্যাচার করত। পুকুরের বড়াে মাছ যেমন ছােটো মাছ গিলে খায়, তেমনি বাংলার জনজীবনে সেই অবস্থা তৈরি হয়েছিল বাংলার এই অবস্থাকে মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
খ) ব্ৰত্মদেয় : উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের রাজাদের অনেকে স্থানীয় সামন্ত ও ব্রাত্মণদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগ করে নিতেন। অনেক সময় রাজা ব্রাত্মণদের জমি দান করতেন। ব্রাত্মণরা অনাবাদী জমি ও জঙ্গল পরিষ্কার করে নতুন জনবসতি তৈরি করতেন। রাজা ব্রাত্মণদের যে জমি দিতেন তার জন্য ব্রাত্মণদের কর দিতে হত না। রাজার জমিদানের এই ব্যবস্থাকে ব্ৰত্মদেয় ব্যবস্থা’ বলা হয়।
গ) খিলাফত : হজরত মহম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর প্রধান চার সঙ্গী একে একে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত হন। এঁদের বলা হয় খলিফা। আরবি ভাষায় ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী। ইসলাম ধর্মের ক্ষমতা যেসব অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে তাকে বলে দার-উল ইসলাম। খলিফা হলেন দার-উল ইসলামের প্রধান নেতা। খলিফার এই অধিকারের এলাকাকে বলা হয় খিলাফৎ।