CLASS-VII, GEOGRAPHY, MODEL ACTIVITY TASK-1, 2021// মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-১ পরিবেশ ও ভূগােল সপ্তম শ্রেণি

0

                               CLASS-VII, GEOGRAPHY, MODEL ACTIVITY TASK-1, 2021//

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-১

 পরিবেশ ও ভূগােল 

সপ্তম শ্রেণি

 CLASS-VII, GEOGRAPHY, MODEL ACTIVITY TASK-1




নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :

১. চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কীভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে। 

২. একটি চিত্রের সাহায্যে কোনাে স্থানের অক্ষাংশ কীভাবে নির্ণয় করা হয়, তা ব্যাখ্যা করাে। 

৩. বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে। 

৪. এশিয়ার উয়মরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।



উত্তরসমূহ



১. চিত্রের সাহায্যে ঋতু পরিবর্তন কীভাবে সংঘটিত হয় তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করাে। 


উঃ- বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ ও শীত – এই চারটি ঋতু পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে ও চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে, একে ঋতুচক্র বলে। 

বসন্তকাল:- 21 মার্চ পৃথিবী তার কক্ষপথের এমন অবস্থানে আসে যে, পৃথিবীর উভয় গােলার্ধ সূর্য থেকে সমদূরত্বে অবস্থান করে এবং সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পতিত হয়। এই দিন উভয় গােলার্ধের সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল হয়।


গ্রীষ্মকাল:- 21 মার্চের পর থেকে পৃথিবী ধীরে ধীরে এমন অবস্থায় আসে যে সূর্যরশ্মি ক্রমশ উত্তর গােলার্ধে লম্বভাবে পড়তে থাকে এবং উত্তর গােলার্ধে ক্রমশ দিন বড়াে ও রাত্রি ছােটো হতে থাকে। এরপর 21 জুন সূর্যকিরণ কুর্কটক্রান্তি রেখার (উত্তরায়ণের শেষ সীমা) ওপর লম্বভাবে পড়ে বলে উত্তর গােলার্ধে 14 ঘণ্টা দিন ও 10 ঘণ্টা রাত্রি সংঘটিত হয়। একে বলা হয় সূর্যের উত্তর অয়নান্ত দিবস বা কর্কটসংক্রান্তি। দক্ষিণ গােলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা ঘটে, এই সময়টাতে উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল অনুভূত হয়।


শরৎকাল:- 21 জুনের পর থেকে সূর্যের দক্ষিণায়ন শুরু হয় এবং পৃথিবী নিজস্ব কক্ষপথে এগিয়ে যাওয়ার ফলে উত্তর গােলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দূরবর্তী ও দক্ষিণ গােলার্ধ ক্রমশ সূর্যের নিকটবর্তী হতে থাকে। এইভাবে 23 সেপ্টেম্বর পৃথিবীর উভয় গােলার্ধ আবার সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে এবং সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার ওপর লম্বভাবে পতিত হয়। এই দিন পৃথিবীর সর্বত্র দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল এবং দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল দেখা যায়।


শীতকাল:- 23 সেপ্টেম্বরের পর থেকে পৃথিবী ধীরে ধীরে কক্ষপথের এমন অবস্থায় আসে যখন সূর্যরশ্মি ক্রমশ দক্ষিণ গােলার্ধে লম্বভাবে পড়তে থাকে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ক্রমশ দিন বড়াে ও রাত্রি ছােটো হতে থাকে। এভাবে চলতে চলতে 22 ডিসেম্বর সূর্যকিরণ মকরক্রান্তি রেখার (দক্ষিণায়নের শেষসীমা) ওপর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে দক্ষিণ গােলার্ধে দিন সবচেয়ে বড়াে এবং রাত্রি সবচেয়ে ছােটো হয়ে থাকে (14 ঘণ্টা দিন ও 10 ঘণ্টা রাত্রি)। তাই 22 ডিসেম্বরকে বলা হয় দক্ষিণ অয়নান্ত দিবস বা মকরসংক্রান্তি। উত্তর গােলার্ধের অবস্থা হয় ঠিক এর বিপরীত। এই সময়টাতে উত্তর গােলার্ধে শীতকাল এবং দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল অনভূত হয়। এভাবে একটি ঋতুচক্র সম্পন্ন হয়।




২. একটি চিত্রের সাহায্যে কোনাে স্থানের অক্ষাংশ কীভাবে নির্ণয় করা হয়, তা ব্যাখ্যা করাে। 


উঃ- পৃথিবীর কোনাে স্থানের অক্ষাংশ কত তা বের করতে হলে সেই স্থান (ছবিতে P বিন্দু) সুমেরু থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র (O বিন্দু) পর্যন্ত একটি ব্যাসার্ধ টানতে হবে। আবার স্থানটি যে দ্রাঘিমারেখায় রয়েছে সেই দ্রাঘিমারেখা ও নিরক্ষরেখার ছেদবিন্দু (Q) থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত আর একটি ব্যাসার্ধ (QO) টানতে হবে। এই PO ও Q০ ব্যাসার্ধ পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোণ উৎপন্ন করবে (<POQ) সেই কোণই হবে নিরক্ষীয় তল থেকে ঐ স্থানের কৌণিক দূরত্ব বা অক্ষাংশ। ছবিতে এই কৌণিক দূরত্ব হল 50° যেহেতু P স্থানটি নিরক্ষরেখার উত্তরে অবস্থিত। তাই  P স্থানের অক্ষাংশ হলো 50° উত্তর। এই পদ্ধতিতে ভূপৃষ্ঠের উপর যে কোনো স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়।




৩. বায়ুর উচ্চচাপ ও নিম্নচাপের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করাে। 


উঃ- বায়ুর উচ্চচাপঃ-

      i.কোনাে নির্দিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ পার্শ্ববর্তী অঞলের বায়ুর চাপ অপেক্ষা বেশি হলে,                   তখন তাকে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা বলে।

      ii.ব্যারােমিটার যন্ত্রে বায়ুচাপের মাত্রা 1013 মিলিবার বা তার বেশি হলে, তবে সেই অবস্থাকে বায়ুর উচ্চচাপ                বলা হয়।

       iii. সমচাপরেখা মানচিত্রে উচ্চচাপ (High Pressure) বােঝাতে 'H' লেখা থাকে।


নিম্নচাপ:-  

    i.কোনাে নির্দিষ্ট অঞলের নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুর চাপ খর্তী বায়ুর চাপ অপেক্ষা কম হলে, তখন তাকে বায়ুর নিম্নচাপ বলা হয়।

     ii.ব্যারােমিটার যন্ত্রে বায়ুচাপের মাত্রা 986 মিলিবার ।

    iii.সমচাপরেখা মানচিত্রে নিম্নচাপ (Low Pressure) বােঝাতে 'L' লেখা থাকে।



৪. এশিয়ার উয়মরু ও ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।


উঃ- উষ্ণ মরু জলবায়ু অঞ্চল:- 

অবস্থান:- আরব মরুভূমি, থর মরুভূমি, ইরাক, ইরান, কুয়েতের কিছু অংশ-এ এই জলবায়ুর নিয়ন্ত্রনাধীন

প্রধান বৈশিষ্ট্য:-

i.উষ্ণতা:- গ্রীষ্মকালীন গড় উয়তা 30°C - 35°C এবং শীতকালীন গড় উয়তা 15°C - 25°C। 

ii. বৃষ্টিপাত:- বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র 10 – 25 সেমি।


ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল:- 

অবস্থান:- 30° - 45° অক্ষাংশের মধ্যে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত সিরিয়া, লেবানন, জর্ডন, ইসরায়েল, তুরস্ক ইত্যাদি দেশে এই জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।

প্রধান বৈশিষ্ট্য:-

i.উষ্ণতা:- গ্রীষ্মকালীন গড় উয়তা 21°C - 27°C এবং শীতকালীন গড় উষ্মতা 5°C - 10°c

ii.বৃষ্টিপাত:- পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে শীতকালে 25 – 50 সেমি বৃষ্টিপাত হয়। 

iii. আবহাওয়া:- ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞলে সমুদ্র প্রভাবাধীন সমভাবাপন্ন ও রােদ ঝলমলে আবহাওয়া দেখা যায়। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top