CLASS-VI, PORIBESH & BIGGAN MODEL ACTIVITY TASK-2//
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-২
পরিবেশ ও বিজ্ঞান
ষষ্ঠ শ্রেণি
CLASS-VI, PORIBESH & BIGGAN MODEL ACTIVITY TASK-2 |
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
১. মৌলের ক্ষুদ্রতম কণাকে কী বলা হয়? অক্সিজেনের অণুর সংকেত লেখাে।
২. পাউরুটির গায়ে ফুটো ফুটো থাকে কেন?
৩. অ্যামােনিয়ার অণুতে একটি নাইট্রোজেন ও তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান। অ্যামােনিয়ার সংকেত লেখাে ও নাইট্রোজেনের যােজ্যতা কত তা নির্ণয় করাে।
৪. লাল পিঁপড়ে ও কাঠবিড়ালি কীভাবে উদ্ভিদদের ওপর নির্ভরশীল তা উল্লেখ করাে।
৫. জলে গুলে যাবার পরে চিনির দানাকে আর দেখা যাচ্ছে না। কী কী পরীক্ষা করলে বােঝা যেতে পারে যে চিনির অণুরা দ্রবণের মধ্যেই আছে, “হারিয়ে যায়নি?
৬. ধানজমিতে অ্যাজোলা চাষের কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তরসমূহ
১. মৌলের ক্ষুদ্রতম কণাকে কী বলা হয়? অক্সিজেনের অণুর সংকেত লেখাে।
উঃ- মৌলের ক্ষুদ্রতম কণা কে বলে পরমাণু
অক্সিজেন অনুর সংকেত- O2
২. পাউরুটির গায়ে ফুটো ফুটো থাকে কেন?
উঃ- ময়দা বা আটা, জল ও ইস্ট ভালােভাবে মেখে পাউরুটি তৈরী করা হয়। ইস্ট, ময়দা বা আটায় থাকা শর্করাকে ভেঙে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অ্যালকোহল তৈরি করে। ময়দা বা আটার মিশ্রণটি তখন কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে ফুলে ওঠে। পরে পাউরুটি সেঁকার সময় ওই মিশ্রণ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বের হয়ে যায় ও ওই স্থানগুলি ফাঁকা হয়ে যায় যার ফলে পাউরুটির গায়ে অসংখ্য ফুটো দেখা যায়।
৩. অ্যামােনিয়ার অণুতে একটি নাইট্রোজেন ও তিনটি হাইড্রোজেন পরমাণু বর্তমান। অ্যামােনিয়ার সংকেত লেখাে ও নাইট্রোজেনের যােজ্যতা কত তা নির্ণয় করাে।
উঃ- অ্যামোনিয়ার সংকেত- NH3
নাইট্রোজেনের যোজ্যতা- 3
৪. লাল পিঁপড়ে ও কাঠবিড়ালি কীভাবে উদ্ভিদদের ওপর নির্ভরশীল তা উল্লেখ করাে।
উঃ- লাল পিঁপড়ে সাধারণত গাছের চওড়া ও গােল পাতাকে এক জায়গায় জুড়ে দিয়ে বাসা বানায়। অর্থাৎ লাল পিঁপড়ে বাসস্থানের জন্য উদ্ভিদের ওপর সর্বতােভাবে নির্ভরশীল।
আবার কাঠবিড়ালি গাছের ডালে বাসা বানায় এবং বিভিন্ন গাছের ফলমূল ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। অর্থাৎকাঠবেড়ালি বাসস্থান ও খাদ্য এর জন্যই গাছের উপর নির্ভর করে।
৫. জলে গুলে যাবার পরে চিনির দানাকে আর দেখা যাচ্ছে না। কী কী পরীক্ষা করলে বােঝা যেতে পারে যে চিনির অণুরা দ্রবণের মধ্যেই আছে, “হারিয়ে যায়নি?
উঃ- নীচের পরীক্ষা থেকে বলা যেতে পারে চিনি হারিয়ে যায়নি, দ্রবণেই আছে।
পরীক্ষাঃ-
দ্রবণের স্বাদগ্রহণ করলে মিষ্টি লাগে। তাই বলা যায় চিনি দ্রবণেই আছে।
দ্রবণকে গরম করতে থাকলে একসময় সমস্ত জল বাষ্পীভূত হয়ে যাবে এবং চিনির কেলাস নীচে পড়ে থাকবে।
৬. ধানজমিতে অ্যাজোলা চাষের কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উঃ- অ্যাজোলা হলো এক ধরনের পানা। আসলে অ্যাজোলার পাতার মধ্যে এক ধরনের মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া আছে যা বাতাসের নাইট্রোজেন কে বেঁধে ফেলতে পারে। তাতে অ্যাজোলার উপকার হয় কারণ সারের জন্য নাইট্রোজেন লাগে। পরে অ্যাজোলা পৌঁছে গিয়ে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় এবং জমিতে আর সার দিতে লাগে না
আমাদের পাশে থাকার জন্য তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
দ্রুত আপডেট পেতে আমাদের ইউটুব চ্যানেলটিকে
সাবস্ক্রাইব করে নাও