সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-1

0

 সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-1

 সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-1


  1. প্রাচীন বাংলায় না বলতে কী বােঝানাে হত ?

উত্তর:- প্রাচীন বাংলায় বঙ্গ বলতে যে-অঞ্চলটিকে বােঝানাে হত, তার ভৌগােলিক এলাকা খুব বড়াে ছিল না। এটি ছিল একটি জনপদ বা বিভাগ।

  1. মহাভারতে বঙ্গোর কী উল্লেখ পাওয়া যায় ?

উত্তর:- মহাভারতে বঙ্গ, পুণ্ড, সুষ্ম ও তাম্রলিপ্ত প্রভৃতি এক-একটি আলাদা রাজ্য ছিল বলে উল্লেখ পাওয়া যায়।

  1. আবুল ফজলের রচনায় বঙ্গ সম্পর্কে কী উল্লেখ রয়েছে ?

উত্তর:- মােগল যুগের ঐতিহাসিক আবুল ফজল তাঁর ‘আইন-ই-আকবরি’ নামক গ্রন্থে বঙ্গ সম্পর্কে সুবা-বাংলার উল্লেখ করেছেন। এই সুবা-র অর্থ হল প্রদেশ বা রাজ্য।

  1. পশ্চিমবঙ্গের নামকরণ কীভাবে হয়েছিল ?

উত্তর:-1947 খ্রিস্টাব্দে দেশভাগের সময় বাংলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। এর পশ্চিম ভাগের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ।

  1. বাংলাদেশ কীভাবে স্বাধীন দেশ হল ?

উত্তর:- 1971 খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্বপাকিস্তান স্বাধীন হয়। এর নতুন নাম হয় বাংলাদেশ

  1. প্রাচীন বাংলার সীমানা কোন তিনটি নদী নিয়ে তৈরি হয়েছিল ?  

উত্তর:- প্রাচীন বাংলার সীমানা ভাগীরথী, পদ্মা ও মেঘনা— এই তিনটি নদী নিয়ে তৈরি হয়েছিল।

  1. প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি কী? 

উত্তর:- প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি ছিল পুণ্ড্রবর্ধন, বরেন্দ্র, বঙ্গ, বঙ্গাল, রাঢ়-সুষ্ম, গৌড়, সমতট ও হরিকেল।

  1. পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উত্তর:- পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্গত অঞ্চলগুলি ছিল পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহি ও পাবনা। একসময় সিলেট বা শ্রীহট্ট এর অন্তর্গত ছিল। 

  1. কোন অঞ্চল নিয়ে বরেন্দ্র গড়ে উঠেছিল?

উত্তর:- ভাগীরথী ও করতােয়া নদীর মধ্যের এলাকা নিয়ে বরেন্দ্র গড়ে উঠেছিল।

  1.  কোন কোন অঞ্চল বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল ? অথবা, কোন অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত ?

উত্তর:- প্রাচীনকালে ভাগীরথী ও পদ্মার মাঝে ত্রিভুজের মতাে দেখতে বদ্বীপ অঞ্চলকে বঙ্গ বলা হত। তবে একাদশ-দ্বাদশ শতকে বঙ্গ বলতে বােঝানাে হত বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা, বিক্রমপুর, ফরিদপুর ও বরিশাল অঞ্চলকে। 

  1.  কোন অঞ্চলকে বঙ্গাল বলা হত ?

উত্তর:-বঙ্গের দক্ষিণ সীমান্তবর্তী বঙ্গোপসাগরের উপকূলকে বঙ্গাল বলা হত।

  1. রাঢ়-সুয়ু অঞ্চলের দুটি ভাগ কী কী ?

উত্তর:-জৈনদের প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে রাঢ়-সুয়ু অঞ্চল দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। যথাক্রমে – উত্তর রাঢ় ছিল বজ্জভূমি বা বজ্রভূমি এবং দক্ষিণ রাঢ় ছিল সুভূমি বা সুষ্মভূমি।

  1. উত্তর রাঢ় বা বজ্জভূমির অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উত্তর:- আজকের মুরশিদাবাদ জেলার পশ্চিমভাগ, বীরভূম জেলা, সাঁওতাল পরগনার একাংশ ও বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার উত্তর অংশ ছিল উত্তর রাঢ় বা বজ্জভূমির অন্তর্গত।

  1. দক্ষিণ রাঢ় বা সুষ্মভূমির অন্তর্গত অঞ্চলগুলি কী ছিল ?

উত্তর:- আজকের হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার বাকি অংশ (কাটোয়া মহকুমার উত্তর অংশ ছাড়া) ছিল দক্ষিণ রাঢ় বা সুষ্মভূমির অন্তর্গত। এককথায় বলা যায় অজয় ও দামােদর নদের মধ্যবর্তী এলাকাই ছিল সুষ্মভূমি বা দক্ষিণ রাঢ়।

  1.  প্রাচীনকালে গৌড় বলতে কোন্ অঞ্চলকে বােঝানাে হত ?

উত্তর:- প্রাচীনকালে গৌড় বলতে একটি জনগােষ্ঠীকে বােঝানাে হত। খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে বরাহমিহিরের রচনা থেকে জানা যায় যে, মুরশিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার পশ্চিম অংশ নিয়ে গৌড় তৈরি হয়েছিল। তবে শশাঙ্কের আমলে পুণ্ড্রবর্ধন (উত্তরবঙ্গ) থেকে ওড়িশার উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে গৌড় বলা হত।

  1. প্রাচীন সমতট বলতে কোন অঞ্চলকে বােঝানাে হয়?

উত্তর:- মেঘনা নদীর পূর্বদিকের অঞ্চলকে প্রাচীন সমতট বলা হত। আজকের বাংলাদেশের কুমিল্লানােয়াখালি অঞ্চলের বিস্তৃত সমভূমিই ছিল প্রাচীন সমতট।

  1. হরিকেল অঞ্চল বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর:- প্রাচীন সমতটের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের অঞলকে হরিকেল বলা হত। আজকের বাংলাদেশের চট্টগ্রামের উপকূল ছিল এর অন্তর্গত।

  1. শশাঙ্কের সাম্রাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

উত্তর:- শশাঙ্কের সাম্রাজ্য সমগ্র গৌড়দেশ, মগধ-বুদ্ধগয়া অঞ্চল ও ওড়িশার একাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

  1. লাে-টো-মাে-চিহ’ কী ?

উত্তর:- পশ্চিমবঙ্গের মুরশিদাবাদ জেলায় কর্ণসুবর্ণের কাছে রক্তমৃত্তিকা বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। চিনা ভাষায় এই বৌদ্ধবিহারের নাম ‘লাে-টো-মাে-চিহ’।

  1. কর্ণসুবর্ণের গুরুত্ব কী ছিল ?

উত্তর:- শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ। এ ছাড়া এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল।

  1. শশাঙ্কের রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কী ছিল ?

  2. উত্তর:- শশাঙ্কের রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল থানেশ্বরের পুষ্যভূতিবংশীয় শাসক হর্ষবর্ধনের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব। তবে হর্ষবর্ধন শশাঙ্ককে হারাতে পারেননি।

  3. হিউয়েন সাঙের বিবরণীতে শশাঙ্ক সম্পর্কে কী অভিযােগ পাওয়া যায় ?

উত্তর:-হিউয়েন সাঙ তার বিবরণীতে শশাঙ্ককে বৌদ্ধবিদ্বেষী বলে অভিহিত করেছেন। বিবরণীতে অভিযােগ করা হয়েছে যে, শশাঙ্ক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হত্যা করেছিলেন ও বৌদ্ধদের পবিত্র ধর্মীয় স্মারক ধ্বংস করেছিলেন। তবে এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে।

  1. গৌড়তন্ত্র বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর:- শশাঙ্কের শাসনকালে গৌড়দেশে যে-ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল তাকে গৌড়তন্ত্র বলা হয়। এই ৫ ব্যবস্থায় তাঁর কর্মচারীরা একটি নির্দিষ্ট শাসনপদ্ধতি গড়ে তুলেছিল।

  1. মাৎস্যন্যায় বলতে কী বোেঝায় ?

উত্তর:- শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলার রাজনীতিতে অরাজকতা, অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুকুরের বড়ােমাছ যেমন ছােটোমাছ খেয়ে ফেলে, তেমনি সেইসময় শক্তিশালী লােক দুর্বল লােকের ওপর অত্যাচার চালাত। এই অবস্থাকে মাৎস্যন্যায় বলা হয়।

  1. গােপাল কীভাবে রাজা নির্বাচিত হন ? 

উত্তর:- বছরের পর বছর ধরে চলতে থাকা অরাজক অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বাংলার প্রভাবশালী লােকেদের সভা ‘প্রকৃতিপুঞ্জ গােপাল নামে একজনকে রাজা নির্বাচিত করে। এইভাবে গােপাল আনুমানিক ৭৫০খ্রিস্টাব্দে রাজা নির্বাচিত হন।

  1. বাংলায় পালরাজারা কোন সময়ে রাজত্ব করতেন ?

উত্তর:- বাংলায় পালরাজারা খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক থেকে একাদশ শতকের সূচনা পর্যন্ত সময়কালে রাজত্ব করতেন।

  1. গােপালের পর পাল বংশের দুজন রাজার নাম লেখাে। 

উত্তর:-গােপালের পর পাল বংশের দুজন রাজার নাম যথাক্রমে ধর্মপাল ও দেবপাল।

  1. দেবপালের সময়ে পাল সাম্রাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

উত্তর:-দেবপালের সময়ে পাল সাম্রাজ্য উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে বিধ্য এবং উত্তর-পশ্চিমে কম্বােজ দেশ থেকে পূর্বে প্ৰাগজ্যোতিষপুর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

  1. কার সময়ে, কোন্ বিদ্রোহের ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল পালদের হাতছাড়া হয়েছিল ?

উত্তর:- একাদশ শতকে রামপালের সময় কৈবর্ত বিদ্রোহের ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল পালদের হাতছাড়া হয়েছিল।

File Details -

PDF Name / Book Name  সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-1 

Language : Bengali
Size : 799 kb
Download Link : Click Hereto Download



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top