সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-2

0

  সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-2

  সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস ২ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর part-2


৩১.পালযুগে কৈবর্ত বলতে কি বোঝ?

পালযুগে কৈবর্তরা ছিল সম্ভবত নৌকার মাঝি বা জেলে

৩২. কৈবর্ত বিদ্রোহের দুজন নেতার নাম করাে

কৈবর্ত বিদ্রোহের দূজন নেতার নাম দিব্য ভীম।

৩৩.কে, কাদের সাহায্যে কৈবর্ত বিদ্রোহ দমন করেন?

পালরাজা রামপাল বাংলা ও বিহারের বিভিন্ন সামন্ত নায়কদের সাহায্য নিয়ে কৈবর্ত নেতা ভীমকে পরাজিত ও হত্যা করেন। তিনি বরেন্দ্রসহ বাংলা, কামরূপ ও ওড়িশার একাংশে পালশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।

৩৪. ত্রিশক্তি সংগ্রাম কী ?

উত্তর ভারতের প্রাণকেন্দ্র কর্নেীজ কার দখলে এই নিয়ে অষ্টম শতাব্দী থেকে পাল, গুর্জর, প্রতিহার ও দাক্ষিণাত্যের রাষ্ট্রকূট বংশের মধ্যে প্রায় দীর্ঘ দুশো বছর লড়াই চলেছিল। একেই ত্রিশক্তি সংগ্রাম বলা হয়।

৩৫. সেন বংশের প্রথম দুজন রাজার নাম কারাে।

 সেন বংশের প্রথম দুজন রাজার নাম হল সামন্তসেন ও হেমন্তসেন।

৩৬. সেনরাজ্য কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

সেনরাজ্য রাঢ়দেশ, গৌড়, পূর্ববঙ্গ ও মিথিলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

৩৭. সেন বংশের প্রথম স্বাধীন রাজা কে ছিলেন ?

তিনি কবে সিংহাসনে আরােহণ করেছিলেন সেন বংশের প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন বিজয়সেন। তিনি আনুমানিক ১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরােহণ করেছিলেন।

৩৮.সেনরাজা বল্লালসেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখ।

সেনরাজা বল্লালসেন রচিত দুটি গ্রন্থের নাম হল ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর

৩৯. দক্ষিণ ভারতের দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম লেখাে।

দক্ষিণ ভারতের দুটি আঞ্চলিক শক্তির নাম হলপল্লব ও চোল।

৪০. রাজেন্দ্র চোল কেন গঙ্গাইকোণ্ড চোল উপাধি.নিয়েছিলেন?

রাজেন্দ্র চোল বাংলার পাল বংশের বিরুদ্ধে এক অভিযানে গঙ্গা নদীর তীরে পালরাজাকে পরাস্ত করেন। এই যুদ্ধ অভিযান স্মরণীয় রাখতে তিনি গঙ্গাইকোণ্ড চোল বা গঙ্গাবিজেতা উপাধি নেন।

৪১. চোলরাজারা কেন দক্ষ নৌবাহিনী গড়ে তােলেন ?

উত্তর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চোল আধিপত্য স্থাপন এবং ওই অঞ্চলে ভারতীয় বাণিজ্য প্রসারে চোলরাজারা দক্ষ নৌবাহিনী গড়ে তােলেন।

৪২. বেদুইন কাদের বলা হত ?

আরব দেশের অধিবাসীরা দুটি গােষ্ঠীতে বিভক্ত ছিল। যথা- (১) শহরবাসী (২) মরুবাসী। মরু অঞ্চলের অধিকাংশ অধিবাসী ছিল যাযাবর। তারা বেদুইন নামে পরিচিত।

৪৩. বেদুইনদের জীবনযাত্রা কেমন ছিল ?

বেদুইনরা ছিল যাযাবর। তাদের কোনাে স্থায়ী বাসস্থান ছিল না। তারা উট ও ঘােড়ায় চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত। তারা ছিল কষ্টসহিষ্ণু, সাহসী ও দুর্ধর্ষ যােদ্ধা। খেজুর ও উটের দুধ ছিল তাদের অন্যতম খাদ্য।

৪৪. আরব দেশের অবস্থান উল্লেখ করাে।

পৃথিবীর বৃহত্তম উপদ্বীপ হল আরব দেশ। পশ্চিমে লােহিত সাগর, দক্ষিণে আরব সাগর ও পূর্বে পারস্য উপসাগর বেষ্টিত দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বিশাল ভূখণ্ড নিয়ে আরব দেশ। ৪৫. আইয়ামে জাহেলিয়াৎ কী ? উত্তর হজরত মােহম্মদের আবির্ভাবের আগে প্রায় এক হাজার বছর আরব জাতির কাছে ছিল অন্ধকার যুগ। সেইসময় আরব জাতির সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে চরম অধঃপতন ঘটেছিল। কোরান শরিফে এই সময়কালকে ‘আইয়ামে জাহেলিয়াৎ’ বলা হয়।

৪৬. হিজরত কী ? অথবা, হিজরি সাল কেন গণনা করা হয় ?

মক্কার কোরায়েশ বংশের প্রবল বিরােধিতায় হজরত মােহম্মদ ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা ছেড়ে তার অনুগামীদের নিয়ে মদিনা শহরে চলে আসেন। তার এই মদিনা গমন ‘হিজরত’ নামে পরিচিত এই সময় থেকেই ওই ঘটনাকে মনে রাখার জন্য ‘হিজরি সাল গণনা করা হয়।

৪৭. হিজরত কেন ঘটে? অথবা, হজরত মােহম্মদ কেন মক্কা ছেড়ে মদিনায় চলে আসেন?

হজরত মােহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম কোরায়েশদের চিরাচরিত ধর্মবিশ্বাসে আঘাত হানে। ইসলামের সহজ, সরল ধর্মমত তার সুবিচার ও আদর্শ সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল। ফলে কোরায়েশদের পবিত্র কাবায় তীর্থ্যাত্রীর ভিড় কমতে থাকে এবং তারা বিপুল পরিমাণ তীর্থকর থেকে বঞ্চিত হন। ফলে হজরত মােহম্মদ ও তাঁর অনুগামীদের ওপর প্রবল বিরােধিতা দেখা দেওয়ায় আত্মরক্ষার জন্য তারা মদিনায় চলে আসেন।

৪৮. হজরত মােহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম কারা প্রথম গ্রহণ করেছিল ?

 হজরত মােহম্মদ প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা। পরে একে একে প্রথম খলিফা হজরত আবুবকর, জামাতা হজরত আলি, বাড়ির চাকর জায়েদ এই নতুন ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

৪৯. মদিনা সনদ কী ? অথবা, মদিনা সনদের গুরুত্ব কী ছিল ?

হজরত মােহম্মদ ও তাঁর অনুগামীরা মদিনায় চলে আসার পর মুসলমান ও ইহুদিরা যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে তার জন্য তিনি একটি সনদ দান করেছিলেন। এটি মদিনা সনদ নামে পরিচিত। এই সনদের মাধ্যমে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে এক ঐক্য ও সম্প্রীতি গড়ে উঠেছিল এবং ইসলাম ধর্মের প্রসারের পথ প্রশস্ত হয়েছিল।

৫০. ইসলাম ধর্ম প্রসারের দুটি কারণ উল্লেখ করাে

ইসলাম ধর্ম প্রসারের দুটি কারণ হল(i) ইসলামের সহজ, সরল ধর্মমত, তার সুবিচার ও আদর্শ সহজেই সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল। (ii) গরিব, দুঃখী ও ঋণী ব্যক্তিদের ধনী মহাজনদের শােষণের হাত থেকে মুক্তির জন্য অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল।

৫১. খােলাফায়ে রাশেদিন বা ধর্মপ্রাণ খলিফা কাদের বলা হয় ?

হজরত মােহম্মদের মৃত্যুর পর ইসলাম জগতের নেতৃত্ব দেন তাঁর প্রধান চার সঙ্গী। এদের খলিফা বলা হয়। এঁরা হলেন হজরত আবুবকর (৬৩২৬৩৪ খ্রি.), হজরত ওমর (৬৩৪-৬৪৪ খ্রি.), হজরত ওসমান (648- ৬৫৬ খ্রি.) এবং হজরত আলি (৬৫৬- ৬৬১ খ্রি.)। ইসলামের ইতিহাসে এই চারসঙ্গী ‘খােলাফায়ে রাশেদিন’ বা ‘ধর্মপ্রাণ খলিফা নামে পরিচিত।

 ৫২. কোরান ও হাদিস কী ?

হজরত মােহম্মদ বিভিন্ন সময় আল্লাহ-র কাছ থেকে যেসব অহী বা প্রত্যাদেশ পেতেন, তার-ই সংকলন হল ‘কোরান’। বিভিন্ন প্রয়ােজনে হজরত মােহম্মদ তাঁর অনুগামী সাহাবাদের প্রশ্নের ভিত্তিতে যে-উপদেশগুলি দিতেন, তার-ই সংকলনকে বলা হয় হাদিস।

 ৫৩. ভারতে মুসলমান আক্রমণের কারণ কী ছিল ?

৭১২ খ্রিস্টাব্দে ইরাকের শাসক আল হজ্জাজের কাছে সিংহলের রাজা কয়েকটি জাহাজ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন, সেগুলি সিন্ধুর দেবল বন্দরের কাছে জলদস্যুরা লুঠ করলে হজ্জাজ সিন্ধু প্রদেশের রাজা দাহিরের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। দাহির তাতে অসম্মতি জানালে হজ্জাজ তাঁর সেনাপতি মােহম্মদ-বিন-কাশেমকে সিন্ধু আক্রমণে পাঠান।

 ৫৪. আরবদের সিন্ধু জয়ের দুটি ফলাফল উল্লেখ করাে।

আরবদের সিধু জয়ের দুটি ফলাফল (i) আরবদের সিজয় পরবর্তীকালে ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে বিদেশি আক্রমণের পথ তৈরি করেছিল। (ii) আরবীয়রা ভারতীয়দের কাছ থেকে নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছিল, যা আরবের সত্যতাকে সমৃদ্ধ করে।

৫৫. সুলতান মাহমুদ কতবার ভারত আক্রমন করেন ? তার সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য আক্রমণ কোনটি ?

সুলতান মাহমুদ ১০০০-১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মােট সতেরাে বার ভারত আক্রমণ করেন। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য আক্রমণ ছিল ষােড়শ অভিযান। এই অভিযানে তিনি গুজরাটের সােমনাথ মন্দির লুঠ করে প্রচুর ধন-সম্পদ গজনিতে নিয়ে যান।

 ৫৬. সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের উদ্দেশ্য কী ছিল ?

সুলতান মাহমুদের ভারত আক্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি। যথা(i) ভারতের মন্দিরগুলি থেকে ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করে তাঁর রাজ্যে ব্যয় করা। (ii) ভারতে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটানাে। ৫৭. সেকালের নদিয়া বলতে কোন অঞ্চলকে বােঝানাে হয় ? উত্তর। সেকালের নদিয়া বলতে বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহি জেলার নৌদা গ্রামকে বােঝানাে হয়। আবার অনেকে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী নদীর তীরে—যা আজ নদীর তলায় চলে গেছে এমন জায়গাকে বােঝান।

 ৫৮. বখতিয়ার খলজি কেমনভাবে তাঁর সৈন্যদের নিয়ে বাংলায় এসেছিলেন?

বখতিয়ার খলজি তাঁর সৈন্যদের অনেকগুলি ছােটো ছােটো দলে ভাগ করে ঝাড়খণ্ডের দুর্গম জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বাংলায় এসেছিলেন।

 ৫৯. লখনৌতি রাজ্যের সীমানা কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?

লখনৌতি রাজ্যের সীমানা উত্তর দিনাজপুর জেলার দেবকোট থেকে রংপুর শহর, দক্ষিণে পদ্মানদী, পূর্বে তিস্তা ও করতােয়া নদী এবং পশ্চিমে বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।

৬০. বখতিয়ার কীভাবে নদিয়া জয় করেছিলেন ?

বখতিয়ারের বাংলা আক্রমণের সময় বাংলার রাজা ছিলেন লক্ষ্মণসেন। তুর্কিরা আসছে শুনে তিনি কোনাে প্রতিরােধ না-করে পূর্ববঙ্গের দিকে চলে যান। বিনাযুদ্ধেই তুর্কি সেনাপতি বখতিয়ার নদিয়া জয় করেছিলেন।


File Details -

PDF Name / Book Name ইতিহাস প্রশ্নোত্তর 
Language : Bengali
Size : 62.9 kb
Download Link : Click Hereto Download




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top