আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসাবে সোমপ্রকাশ পত্রিকার গুরুত্ব আলোচনা কর।
ভুমিকাঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সমসাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।এ প্রসঙ্গে সোমপ্রকাশ পত্রিকাটির কথা বলা যায়,যা আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে অনেক তথ্য সমৃদ্ধ। 1858 খ্রিস্টাব্দের 15ই নভেম্বর সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে সমকালীন বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
ক) সমকালীন তথ্যঃ বঙ্গদর্শন পত্রিকা থেকে সমকালীন সমাজ,অর্থনীত্ রাজনীত,শিক্ষা,ধর্ম,সংস্কার প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।এই পত্রিকা থেকে ব্রিটিশ সরকারের শাসন ও শোষণ এর পরিচয় পাওয়া যায়।
খ) বাঙালির সমাজ সংস্কারঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকা সমকালীন বাঙালি সমাজের সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথা যেমন বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহ,পণপ্রথা ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোমপ্রকাশ লেখা প্রকাশ করত। তৎকালীন সমাজে বিধবা বিবাহের প্রসারেও সোমপ্রকাশ জনমত গঠনে সচেষ্ট হয়েছিল।
গ) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনঃ এই পত্রিকা ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয়দের আন্দোলনের খবর গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করত।এই পত্রিকা থেকে ‘দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন বিরোধী’ ‘ইলবার্ট বিল’ সহ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের বিভিন্ন আন্দোলন সম্পর্কে জানা যায়।
উপসংহারঃ যাইহোক পরিশেষে বলা যায় যে,সোমপ্রকাশ ছিল একটি দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত নির্ভীক সাপ্তাহিক পত্রিকা।এতে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করা হতো।যার জন্য পত্রিকাটিকে সরকারের আইনের কপে পড়তে হয়েছিল ।সম্পাদককে মুচলেকা ও জরিমানা দিতে বলা হলে তিনি অস্বীকার করলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।পরে 1880 খ্রিস্টাব্দ থেকে এটি পুনরায় প্রকাশিত হলেও পূর্বের জনপ্রিয়তা অনেক কমে যায় এবং ধীরে ধীরে এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
সোমপ্রকাশ পত্রিকার |
ভুমিকাঃ আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সমসাময়িকপত্র ও সংবাদপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।এ প্রসঙ্গে সোমপ্রকাশ পত্রিকাটির কথা বলা যায়,যা আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে অনেক তথ্য সমৃদ্ধ। 1858 খ্রিস্টাব্দের 15ই নভেম্বর সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে সমকালীন বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
ক) সমকালীন তথ্যঃ বঙ্গদর্শন পত্রিকা থেকে সমকালীন সমাজ,অর্থনীত্ রাজনীত,শিক্ষা,ধর্ম,সংস্কার প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।এই পত্রিকা থেকে ব্রিটিশ সরকারের শাসন ও শোষণ এর পরিচয় পাওয়া যায়।
খ) বাঙালির সমাজ সংস্কারঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকা সমকালীন বাঙালি সমাজের সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন কুপ্রথা যেমন বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহ,পণপ্রথা ইত্যাদির বিরুদ্ধে সোমপ্রকাশ লেখা প্রকাশ করত। তৎকালীন সমাজে বিধবা বিবাহের প্রসারেও সোমপ্রকাশ জনমত গঠনে সচেষ্ট হয়েছিল।
গ) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনঃ এই পত্রিকা ব্রিটিশ সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয়দের আন্দোলনের খবর গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করত।এই পত্রিকা থেকে ‘দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন বিরোধী’ ‘ইলবার্ট বিল’ সহ ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের বিভিন্ন আন্দোলন সম্পর্কে জানা যায়।
উপসংহারঃ যাইহোক পরিশেষে বলা যায় যে,সোমপ্রকাশ ছিল একটি দেশীয় ভাষায় প্রকাশিত নির্ভীক সাপ্তাহিক পত্রিকা।এতে ব্রিটিশ সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করা হতো।যার জন্য পত্রিকাটিকে সরকারের আইনের কপে পড়তে হয়েছিল ।সম্পাদককে মুচলেকা ও জরিমানা দিতে বলা হলে তিনি অস্বীকার করলে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়।পরে 1880 খ্রিস্টাব্দ থেকে এটি পুনরায় প্রকাশিত হলেও পূর্বের জনপ্রিয়তা অনেক কমে যায় এবং ধীরে ধীরে এর প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যায়।
***যদি আপনাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সু্যোগ করেদিন।****ধন্যবাদ****
Like it
উত্তরমুছুন