দেওয়ানি লাভ কিঃ ,দ্বৈতশাসন, ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি,স্বত্ববিলোপ নীতি/ What is achievement of Deoyani,Duel system, Subsidiary Alliance, Doctrine of lapse

ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর (আঞ্চলিক শক্তির উত্থান)


প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


বন্ধুরা আজকে তোমাদের সঙ্গে প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর (আঞ্চলিক শক্তির উত্থান) আলোচনা করব|দেওয়ানি লাভ কি?|টীকা লেখ দেওয়ানি লাভ|এই পোস্টের মাধ্যমে তোমরা দ্বৈতশাসন কি? অথবা টীকা লেখ দ্বৈতশাসন|ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কি: টীকা লেখ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর|অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি অথবা টীকা লেখ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি|স্বত্ববিলোপ নীতি কি?|টীকা লেখ স্বত্ববিলোপ নীতি|History 1st Chapter 2 Marks Questions Answers সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পেয়ে যাবে।


History 1st Chapter 2 Marks Questions Answers


দেওয়ানি লাভ

দেওয়ানি লাভ কিঃ বক্সারের যুদ্ধে ত্রি-শক্তির পরাজয়ের পর প্রায় সমগ্র উত্তর ভারত জুড়ে ইংরেজদের একছত্র আধিপত্য স্থাপনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই অবস্থায় ১৭৬৫ খ্রীষ্টাব্দের মে মাসে বাংলায় ক্লাইভের দ্বিতীয়বার আগমন ঘটে। 

১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগষ্ট ক্লাইভ এলাহাবাদের প্রথম চুক্তিতে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কারা ও এলাহাবাদ প্রদেশ ছাড়া সমগ্র অযোধ্যা সুজা-উদ-দৌলাকে ফিরিয়ে দেওয়া দেয় । ক্লাইভ শাহ আলমকেও ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগষ্ট এলাহাবাদের দ্বিতীয় চুক্তি করে  দিল্লির সিংহাসন ফিরিয়ে দেন। 

ইংরেজদের প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রমান স্বরূপ কারা ও এলাহাবাদের বিনিময়ে এবং বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকার করদানের শর্তে দ্বিতীয় শাহআলাম ইংরেজদের বাংলা, বিহার ও ওড়িশার দেওয়ানি অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ে অধিকার দেন।এই ঘটনা দেওয়ানি লাভ নামে পরিচিত।




দ্বৈতশাসন

দ্বৈতশাসন কি: ১৭৬৪ সালে বক্সার যুদ্ধের পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে লর্ড ক্লাইভ মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি অর্থাৎ রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করে। কোম্পানির পক্ষে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাব নজম-উদ্-দৌলার সঙ্গে একটি চুক্তির দ্বারা স্থির করেন যে, 

নবাব ৫৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিজামত অর্থাৎ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব গ্রহন করবেন এবং রাজস্ব আদায়ের অধিকার স্বয়ং কোম্পানির হাতে থাকবে অর্থাৎ নবাব পেল ক্ষমতাহীন দায়িত্ব এবং কোম্পানী পেল দায়িত্বহীন ক্ষমতা। এই ব্যবস্থা ইতিহাসে দ্বৈতশাসন নামে পরিচিত।




ছিয়াত্তরের মন্বন্তর

ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কি: ১৭৬৫ সালের কোম্পানি দেওয়ানি লাভের পর বাংলয়ায় দ্বৈতশান চলেছিল ১৭৭২ সাল পর্যন্ত। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলায় দ্বৈতশাসন চলেছিল। এই সময়ে ব্রিটিশ কোম্পানির একমাত্র লক্ষ্য ছিল যত বেশি সম্ভব রাজস্ব আদায় করা। 

এর ফলে ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। বঙগাব্দের হিসাবে বছরটা ছিল ১১৭৬ বঙ্গগাব্দ। তাই সাধারণভাবে ঐ দুর্ভিক্ষকে ’৭৬-এর মন্বন্তর বলা ।ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের বলে বাংলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যায়।



অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি

অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি কি: গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলি [Lord Wellesley] ১৭৯৮ সালে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রবর্তন করেন। অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির মূল কথা হল যে— কোন দেশীয় রাজ্যের রাজা ইংরেজদের সঙ্গে মিত্রতা চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবেন। কোনো দেশীয় রাজা এই নীতি গ্রহণ করলে তাঁকে কতকগুলি শর্ত পালন করতে হত, যেমন—

১) অধীনতামূলক মিত্রতায় নীতিতে যে দেশীয় রাজ্য আবদ্ধ বা স্বাক্ষর করবে তাকে একজন ব্রিটিশ রেসিডেন্স রাখতে হবে। কোম্পানির বশ্যতা স্বীকার করতে হত ।

২) এই নীতিতে আবদ্ধ  রাজ্যকে একদল ইংরেজ সৈন্য হবে ।

৩) সৈন্য বাহিনীর ব্যয়নির্বাহের জন্য মিত্রতাবদ্ধ রাজ্যকে নগদ টাকা বা রাজ্যের একাংশ ছেড়ে দিতে হত ।

৪) কোম্পানির বিনা অনুমতিতে অপর কোনো শক্তির সঙ্গে মিত্রতা বা যুদ্ধবিগ্রহ করা যেত না।

৫) চুক্তিবদ্ধ রাজ্যে ইংরেজ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত ইউরোপীয়কে তাড়িয়ে দিতে হত ।

৬) উপরিক্ত শর্তের বিনিময়ে কোম্পানি সেই রাজ্যকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, বৈদেশিক আক্রমণ এবং অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা করবে।

১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম হায়দ্রাবাদের নিজাম ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করেন।এরপর অযোধ্যা, তাঞ্জোর, সুরাট, পুণা প্রভৃতি রাজ্যগুলি এই নীতিতে আবদ্ধ হয়ে ইংরেজদের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয় ।


স্বত্ববিলোপ নীতি

স্বত্ববিলোপ নীতি কি (Doctrine of lapse):-  লর্ড ডালহৌসির সাম্রাজ্যবিস্তার নীতির কুখ্যাত হাতিয়ার ছিল তাঁর এই স্বত্ববিলোপ নীতি। এই নীতির মূলকথা ছিল এই যে, ইংরেজদের আশ্রিত কোনো রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে সেই রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করা হবে এবং দত্তক পুত্রের বা কন্যার উত্তরাধিকার স্বীকার করা হবে না। ডালহৌসির এই নির্দেশনামা  স্বত্ববিলোপ নীতি (Doctrine of lapse) নামে খ্যাত। ডালহৌসি স্বত্ববিলোপ নীতি ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করে সাতারা, ঝাসি, সম্বলপুর দখলকরে নেন।  


File Details

 

File Name/Book Name

ইতিহাস প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর (আঞ্চলিক শক্তির উত্থান)

File Format

PDF

File Language

Bengali

File Size

156 KB

File Location

GOOGLE DRIVE

Download Link

Click Here to Download PDF File



Join Telegram... Members


Next Post Previous Post
4 Comments
  • Unknown
    Unknown ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ এ ১০:০৯ AM

    nice, ভাল লাগল

  • Unknown
    Unknown ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ এ ১১:৪১ AM

    Thanks

  • Unknown
    Unknown ২৯ এপ্রিল, ২০২০ এ ১২:২৯ PM

    Everything is perfect.

  • News
    News ১৬ মে, ২০২০ এ ৬:৫৬ PM

    ধন্যবাদ এই অসাধারণ পোস্ট করার জন্য

Add Comment
comment url