Class 6 Bengali Part -7 Model Activity Task [October]
Class 6 Bengali Part -7 Model Activity Task [October] |
১. নীচের প্রশ্নগুলির
উত্তর দাও
১.১ ‘কোথাও বা চাষির
ঘরের বউরা করে ক্ষেত্ৰব্রত।
— ‘ক্ষেত্ৰব্ৰত’ কীভাবে
পালিত হয় ‘মরশুমের দিনে’ গদ্যাংশ অনুসরণে লেখো।
উ:- প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি সুভাষ মুখোপাধ্যায় রচিত ‘মরশুমের দিনে’
রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই রচনাংশে বলা হয়েছে, চাষি ঘরের বউরা ক্ষেত্রব্রত
পালন করে থাকে।
ব্রতপালনের নিয়ম: গ্রীষ্মকালে গ্রামবাংলায় জলের অভাব দেখা দেওয়ায় চাষি ঘরের
বউরা এই ব্রত পালন করে। তারা বাড়ির কাছের খোলা জমিতে নিজেরা ঘট প্রতিষ্ঠা করে তার
গায়ে সিঁদুর-পুত্তলি এঁকে ঘটের জলে আমের পল্লব ডুবিয়ে দেয়। এই ব্রতে বুড়িদের
মধ্যেই কেউ হয় মূলব্রতী। হাতে ফুল আর দূর্বা নিয়ে ব্রতীর দল মূলব্রতীর মুখ থেকে
ব্রতের কথা শোনে। সন্ধেবেলায় উলু দিয়ে ব্রত শেষ হয়। তারপর মাঠে বসেই ব্রতীর দল
চিঁড়ে-গুড়-মুড়ি-খই আর দই দিয়ে ফলার খায়।
১.২ দিবসরাত্রি নূতন
যাত্রী / নিত্য নাটের খেলা।’ –উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উ:- দুঃখবাদী কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা হাট কবিতাটি একটি
রূপকধর্মী কবিতা।
সপ্তাহের কোনো নির্দিষ্ট দিনে গ্রাম থেকে একটু দূরে নির্দিষ্ট
জায়গায় হাট বসে। সেখানে পণ্যদ্রব্য পরখ করে কেনাবেচা চলে। হাট এখানে মানবজীবনের
প্রতীক।বাস্তবের হাটের ভাঙা-গড়ার মাধ্যমে কবি মূলত মানুষের জন্মমৃত্যুর কথা বলতে
চেয়েছেন।আমাদের এই জীবনে বহু মানুষের সঙ্গে পরিচিতি, যোগাযোগ, লেনদেন ঘটে। জীবন
ফুরালে সবাইকে বিদায় নিতে হয় । হাটের লোকেদের মতো এই পৃথিবীর মানুষরাও কেউ জীবনে
সফল হয়, কেউ-বা বিফলতার মধ্যেই জীবন শেষ করে।
১.৩ ‘মূলত জ্যামিতিক
আকার আশ্রিত বর্ণ সমাবেশেই রচিত হয় সাঁওতালি দেয়ালচিত্র।’— বক্তব্যটিকে ‘মাটির
ঘরে দেয়ালচিত্র’ রচনায় লেখক কীভাবে ব্যাখ্যা করেছেন?
উ:- উদ্ধৃত অংশটি বিশিষ্ট সাহিত্যিক তপন কর রচিত ‘মাটির ঘরে
দেয়ালচিত্র’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
মূলত জ্যামিতিক আকার-আশ্রিত বর্ণ সমাবেশেই
সাঁওতালি দেয়ালচিত্র আঁকা হয়। এই চিত্রে যেমন রঙিন ভিতের মতো সমান্তরাল রেখা
দেখা যায়, তেমনই থাকে চতুষ্কোণ ও ত্রিভুজের ছড়াছড়ি। চতুষ্কোণের মধ্যে চতুষ্কোণ
বসিয়ে অথবা ত্রিভুজের মধ্যে ত্রিভুজ বসিয়ে নকশা তৈরি হয়। সাধারণত ঘরের
চতুষ্পার্শ্ব ঘিরে থাকা মূল বেদিটি কালো রঙের হয়। তার সমান্তরালে বিঘতখানেক চওড়া
গেরুয়া রঙের একটা রেখা টানা হয়। তার উপর সমান ছাড় দিয়ে আর একটি সমান্তরাল কালো
রেখা টানা হয়। এর ওপরে সাদা, আকাশি, গেরুয়া বা হলদে রঙের রেখা দিয়ে চতুষ্কোণ বা
ত্রিভুজগুলি আঁকা হয়। এগুলি পাশাপাশি এঁকে দেয়ালটিকে ভরাট করে তোলা হয়। সাধারণত
দেয়ালচিত্রটি মাটি থেকে ছ-ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় আঁকা হয়।
১.৪ ‘…সে বাড়ির সেই
মানুষদের একটি বন্ধু ফাঁকি দিয়ে চলে গেল— সেই ঝড়ের রাতে।”― উদ্ধৃতিটির আলোকে
‘ফাঁকি’ গল্পের নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন করো।
উ:- আলোচ্য অংশ টি অন্যতম সাহিত্যিক রাজকিশোর পট্টনায়ক এর লেখা ‘ফাঁকি’
গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।
বহু বছর আম গাছটি সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে অটুটভাবে
দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু সবার চোখের আড়ালে কবে যে উইপোকা তাকে কুরে কুরে খেয়ে দুর্বল
করে দিয়েছে, তা পরিবারের কেউই বুঝতে পারেনি। তাই আষাঢ় মাসের রাতের এক তুমুল ঝড়ে
গাছটি হঠাৎ করেই ভেঙে পড়ে। গাছটির সঙ্গে বাড়ির সকলের আত্মীয়তা গড়ে উঠেছিল। তাই
এক ঝড়জলের রাত্রে তার মৃত্যুতে বাড়ির সকলের মনে হল এক পরম বন্ধু যেন হঠাৎ ফাঁকি
দিয়ে চলে গেছে।
পরম আত্মীয়ের এইরকম হঠাৎ চলে যাওয়াকে মানুষ বলে ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়া’।
এক্ষেত্রেও আম গাছটির মৃত্যু গোপালদের কাছে পরিবারের কোনো প্রিয় সদস্য বা
আত্মীয়ের ফাঁকি দিয়ে চলে যাওয়ার মতোই মনে হয়েছে। সেই কারণেই বলা যায়, গল্পটির
নামকরণ যথাযথ ও সুপ্রযুক্ত হয়েছে।
১.৫ ‘খলখল করে হেসে উঠল
জল, ঢেউ তুলে…’
—হেসে উঠে জল কী বলল ?
উ:- উপরোক্ত উক্তিটি বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্রমজুমদার
এর লেখা ‘আশীর্বাদ’ গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে ।
তুমুল বর্ষায় বান ডেকেছে। চারিদিক ভেসে যাচ্ছে জলে। এমন
অবস্থায় একটি পিঁপড়ে জলের তোড়ে ভেসে যেতে যেতে আশ্রয় নিয়েছে একটি ঘাসের পাতার
নীচে।তার কথোপকথন চলছিল ঘাসের পাতার সঙ্গে। পিঁপড়েটি প্রকৃতির ওপর অসন্তুষ্ট। নিজের
জীবনের অসহায়তার কথা ভেবে সে হতাশ হয়ে পড়ে। সে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয়
পায়। ঘাসের পাতাটি তাকে অভয় দিতে থাকে।সেই মুহূর্তে বয়ে চলা জলও বলে ওঠে যে,
বর্ষায় সে ঘাসকে ডুবিয়ে দিলেও শরৎকালে সেই ঘাসেরাই আবার কাশফুল হয়ে ফুটে ওঠে।
সব দুর্যোগই তাদের প্রাণশক্তির কাছে হার মানে।
২. নির্দেশ অনুসারে নীচের ব্যাকরণগত প্রশ্নগুলির
উত্তর দাও :
২.১ নীচের
শব্দবিভক্তিগুলির প্রতিটির আগে একটি করে উপযুক্ত শব্দ জুড়ে পদ বানাও :
২.১.১ দিগ :- তাহাদিগ
২.১.২ রা :- বাচ্চারা
২.১.৩ গুলি :- দিনগুলি
২.২ নীচের শব্দগুলির আগে দুটি করে উপসর্গ বসিয়ে আলাদা আলাদা শব্দ
তৈরি করো :
২.২.১ দেশ :- প্রদেশ, বিদেশ
২.২.২ কাশ :- অবকাশ, বিকাশ
নিচে অন্যান্য বিষয়ের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গুলোর লিংক দেওয়া রয়েছে তোমরা গিয়ে লিখে নিতে পারো? (বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- ক্লাস 5 থেকে 10 পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের Part- 6 ও Part-7 এর লিংক দেওয়া আছে)
ALL CLASS ALL SUBJECT PART 7 MODEL ACTVITY TASK |
CLICK HERE TO GET ALL CLASS PART 7 |
পার্ট 7 সমস্ত ক্লাসের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়ার জন্য এখানে |
ALL CLASS ALL SUBJECT PART 6 MODEL ACTVITY TASK |
CLICK HERE TO GET ALL CLASS PART 6 |
পার্ট 6 সমস্ত ক্লাসের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়ার জন্য এখানে |