CLASS 7 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY NEW PART 4 JULY -2021(NEW) // মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সপ্তম শ্রেণী ইতিহাস নতুন জুলাই মাসের পার্ট -৪

 

CLASS 7 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

 সপ্তম শ্রেণী   

ইতিহাস

নতুন জুলাই মাসের পার্ট -

CLASS 7 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY NEW PART 4 JULY  -2021(NEW)


 

 

. - স্তম্ভের সাথে - স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

 

 

- স্তম্ভ

 

স্তম্ভ

 

হর্ষচরিত

 

বাণভট্ট

 

গৌড়বহো

 

বাক্পতিরাজ

 

কিতাব অল - হিন্দ

 

অল বিরুনি

 

. বেমানান শব্দটির নিচে দাগ দাও :

 

() বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র

 

উ:- বিজয়ালয়, দন্তিদুর্গ, প্রথম রাজরাজ, প্রথম রাজেন্দ্র

 

() বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড়

 

উ:- বরেন্দ্র, হরিকেল, কনৌজ, গৌড়

 

() হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর

 

উ:- হলায়ুধ, জয়দেব, গোবর্ধন, উমাপতিধর

 

. সংক্ষেপে (৩০ - ৫০ টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

 

() পাল - সেন যুগে কেমন ভাবে কর আদায় করা হত?

 

উ:- পাল সেনযুগের রাজারা বিভিন্ন ধরনের কর সংগ্রহ করতেন। সেগুলি নীচে আলোচনা করা হলো -

 

() কৃষি কর:-  রাজারা উৎপন্ন ফসলের ছয় ভাগের এক ভাগ কৃষকদের কাছ থেকে কর নিতেন। তাঁরা নিজেদের ভোগের জন্য ফুল, ফল, কাঠ প্রজাদের কাছ থেকে কর হিসাবে আদায় করতো।

 

() বাণিজ্য কর:-  বণিকরা তাদের ব্যাবসাবাণিজ্য করার জন্য রাজাকে কর দিত।

 

() অন্যান্য কর:- এছাড়াও প্রজারা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজাকে কর দিত। সমগ্র গ্রামের উপরেও কর দিতে হতো গ্রামবাসীদের। হাট কেয়াঘাটের উপরে কর চাপানো হতো।

 

() সেন রাজারা কি সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন?

 

উ:- বাংলার সেন বংশের রাজা লক্ষ্মণ সেন ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। অনেক কবি সাহিত্যিক তাঁর রাজসভা অলংকৃত করতেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন -

 

() কবি জয়দেব:- লক্ষণ সেনের সভাপতি জয়দেব ছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর রচিত কাব্যের নাম হলো "গীতগোবিন্দ" এই কাব্যের বিষয় ছিল রাধাকৃষ্ণের প্রেমের কাহিনি।

 

() ধোয়ী :-  তাঁর রাজসভার আর এক কবি ধোয়ী লিখেছিলেন 'পবনদূত" কাব্য।

 

() পঞ্চরত্ন:-  জয়দেব ধোয়ীসহ আরও তিনজন গোবর্ধন, উনাপতি ধর এবং শরণ লক্ষণ সেনের সভা অলংকৃত করেছিলেন। এই পাঁচজন কবিকে একত্রে "পঞ্চরত্ন" বলা হয়।

                                এছাড়াও লক্ষণ সেনের মন্ত্রী হলায়ুধ বৈদিক নিয়ম বিষয়ে "ব্রাহ্মণ সর্বস্ব" নামে একটি বই লিখেছিলেন। লক্ষণ সেন নিজেও পিতার অসমাপ্ত "অদ্ভুতসাগর" বইটি সমাপ্ত করেন।

 

. নিজের ভাষায় লেখো (১০০ - ১২০ টি শব্দের মধ্যে) :

 

বখতিয়ার খলজির বাংলা আক্রমণের পর বাংলাতে কি কি পরিবর্তন ঘটেছিল?

 

উ:- বখতিয়ার খলজি যার সম্পূর্ণ নাম হল ইখতিয়ার উদ্দিন মহম্মদ বখতিয়ার খলজি। 1208 সালে মাত্র 17 জন অশ্ব আরোহী সেনা নিয়ে নদীয়ার রাজা লক্ষণ সেনকে পরাজিত করেন। নদীয়া জয়লাভের পর তিনি সেখানে মুসলিম শাসন সাম্রাজ্য স্থাপন করেন।

 

বখতিয়ার খলজি তিনদিন যাবৎ নদীয়া লুটপাট করেন। লক্ষণ সেনের বিপুল ধন-সম্পদ দখল করেন। এমনটি ভৃত্যবর্গ হস্তী তার হস্তগত হয়। প্রায় বিনা যুদ্ধেই বখতিয়ার খলজি বাংলার একাংশ অর্থাৎ নদীয়া দখল করেন। এরপর বখতিয়ার খলজি নদীয়া ছেড়ে লখনৌতি দখল করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা নিজের রাজধানী স্থাপন করেন। সমকালীন ঐতিহাসিকরা এই রাজ্যের নাম লখনৌতি উল্লেখ করেন।

 

নব প্রতিষ্ঠিত রাজ্যে তিনি সুশাসনে ব্যবস্থা করেন। তার সাথে অত্তিয়াপের সময় পরবর্তী কালে যে সমস্ত তুর্কী মুসলমানরা বসবাসের জন্য সেখানে আসেন তাদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাজা খানকাহ নির্মান করেন। তিনি জানতেন শুধুমাত্র সামরিক শক্তির উপর একটি রাজ্যে প্রতিরক্ষা নির্ভর করেন। পরিপূর্ণ শান্তির জন্য চাই অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা। আর তাই তার প্রতিষ্টিত মুসলিম রাজ্যের স্থায়ীত্বে সুষ্ট মুসলিম সমাজ গঠন করার প্রয়াস করেন। সেই জন্য তিনি কয়েকটি ভাগে ভাগ করে সেনাপতিদের তার রাজ্য শাসন ভার দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মর্দান খলজি বরসৌলে হুসাম উদ্দিন ইতজ খলজি গঙ্গাতবীর। বখতিয়ার খলজি বৌদ্ধ হিন্দুদের কাছে শুধু মাত্র একজন খুনী লুটেরা ছিল কিন্তু মুসলমানদের কাছে তিনি ছিলেন একজন বীর যোদ্ধা। তবে একথা সত্য যে ইতিহাসের একটি অংশের শেষ তার হাত ধরে শুরু হয়েছিল আবার অন্য একটি অংশের সূচনা হাত ধরে হয়েছিল। তার আমলে ব্যাপক পরিমান মানুষ মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল। বাংলাদেশের খ্যাতনামা কবি আল মাহমুত তার 'বখতিয়ারের ঘোড়া' কাব্যগ্রন্থে বখতিয়ারের প্রসংশা করেছেন। একজন বীর চরিত্র হিসাবে। 1206 সালে মানসিক শারীরিক ভাবে বিপর্যত হয়ে তিনি মারাযান।

 

 

 


 

 


 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url