CLASS 12 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY PART 1 -2021 //মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 1 দ্বাদশ শ্রেনী HISTORY /ইতিহাস

 


CLASS 12 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY PART 1 -2021

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 1

দ্বাদশ শ্রেনী

HISTORY /ইতিহাস

CLASS 12 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY PART 1 




নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

1. ইতিহাস লেখার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

2. ঐতিহাসিক মিউজিয়াম, সামরিক মিউজিয়াম, বিজ্ঞান মিউজিয়াম আর ভ্রাম্যমান মিউজিয়াম এর কার্যগত এবং বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করো।

3. পেশাদারি ইতিহাস ও অপেশাদারি ইতিহাসের তুলনামূলক আলোচনা করো।

4. উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নীচের ছকটি পূরণ করো

 

বৈশিষ্ট্য

উদাহরণ

ইতিহাস নির্মাণে ভূমিকা

ক) পৌরাণিক কাহিণী

১)

২)

১)

২)

 

খ) লোককথা।

 

১)

২)

১)

২)

 

গ) স্মৃতিকথা

 

১)

২)

১)

২)

 

ঘ) কিংবদন্তি

 

১)

২)

১)

২)

 

 

 

উত্তরসমূহ

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

1. ইতিহাস লেখার আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

 ভূমিকা : ‘ইতিহাস’ সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে থাকা নানা তথ্য সংগ্রহ করে ‘ইতিহাস রচনা করেন ঐতিহাসিকরা। দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের প্রচেষ্টাতে আধুনিক ইতিহাস লিখন পদ্ধতিটি গড়ে ওঠেছে। আধুনিক ইতিহাস রচনা করতে হলে একজন ঐতিহাসিক যে সকল বৈজ্ঞানিক ও সুসংবদ্ধ পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করেন তা নীচে আলোচনা করা হল—

তথ্য সংগ্রহ :- তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়। তথ্য ছাড়া ইতিহাস রচনা অসম্ভব। যথাযথভাবে ইতিহাস রচনায় উদ্যোগী একজন ঐতিহাসিকের প্রথম কাজ হল বিভিন্ন ‘তথ্য’ সন্ধান করে সেগুলিকে সংগ্রহ করা। ঐতিহাসিক যে সময়ের ইতিহাস রচনা করবেন সেই সময়ের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলিই কেবলমাত্র সংগ্রহ করবেন। নতুবা তথ্যগুলি অন্য সময়ের হলে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। সমসাময়িক তথ্যগুলি সংগ্রহ করার পর সেগুলিকে নিয়ে গবেষণা করবেন।

(i) তথ্যের শ্রেণিবিভাগঃ- ইতিহাসের তথ্য বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।

যেমন- (a) প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য, (b) মৌখিক তথ্য (পালাগান, প্রবাদ, রূপকথা, কিংবদন্তি), (c) ছবিভিত্তিক তথ্য (মানচিত্র, নকশা ও চিত্রকলা), (d) লিখিত তথ্য (পাণ্ডুলিপি, চুক্তি ও স্বন্ধির পাণ্ডুলিপি, শাসকের নির্দেশনামা, ছাপা বই ও সংবাদপত্র)। যেমন—পলাশির যুদ্ধের ইতিহাস লিখতে হলে সেই সময়কার দলিল, সরকারি চিঠি, সরকারি নির্দেশ, মুদ্রা ও সাময়িক গ্রন্থগুলি সংগ্রহ করতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কোন্ তথ্যগুলি ঐতিহাসিক তথ্য আর কোনগুলি অনৈতিহাসিক, তা বিচার আগে করা প্রয়োজন।

(ii) তথ্যের শ্রেণিবিভাজন : ঐতিহাসিক তথ্যগুলি সংগ্রহের পর প্রয়োজন অনুসারে শ্রেণিবিভাজন করবেন। যেমন– (a) অতি দরকারি, (b) দরকারি, (c) দরকারি নয়। এভাবে গুরুত্ব অনুযায়ী শ্রেণিবিভাজনের পর ঐতিহাসিক তথ্যগুলি সম্পর্কে যথেষ্ট অনুসন্ধান করে সে বিষয়ে স্বচ্ছ জ্ঞানলাভ করবেন। এরপর ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন।

(iii) তথ্য সম্পর্কে গবেষণাঃ- ঐতিহাসিক তথ্যগুলি সম্পর্কে যথেষ্ট অনুসন্ধান করার পর সেই উৎসগুলি নিয়ে সুসংবদ্ধ পদ্ধতি অনুসরণ করে গবেষণা করবেন। সেই তথ্যগুলি থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক তথ্যগুলি নিয়ে গভীর ও নিরপেক্ষ গবেষণা করবেন এবং এই একনিষ্ঠ গবেষণার জন্য ঐতিহাসিক মানসিকভাবে সেই যুগে ফিরে যাবেন। অতীতের সেই সময়কালটি কোন পটভূমিতে তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকগণ গবেষণা করবেন ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে উদঘাটনের চেষ্টা করবেন। এজন্য তিনি তথ্যটির যুগধর্ম ও সমকালীন আর্থসামাজিক অবস্থা এবং সেইসঙ্গে তথ্যটির নির্মাতার মননশীলতা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবেন।

(iv)কার্য-কারণ পদ্ধতি ও প্রশ্নোত্তর:- ঐতিহাসিকেরা তথ্যগুলি সম্পর্কে গভীর গবেষণার পর ইতিহাস রচনার উপাদানগুলির গ্রহণ করবেন। এই সময় তিনি অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কার্য-কারণ সম্পর্ক ও প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন। ইতিহাসে প্রতিটি কার্য সংঘটিত হওয়ার পশ্চাতে কোন একটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে। ঐতিহাসিক যে ঘটনাটি বিশ্লেষণ করবেন তার কারণটিও গভীরভাবে অনুসন্ধান করবেন। প্রয়োজন হলে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করবেন। তথ্যটি থেকে উপাদান সংগ্রহের জন্য ঐতিহাসিককে নানা দৃষ্টিকোণ থেকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে হবে। প্রশ্নগুলি থেকে প্রাপ্ত উত্তরগুলি থেকে সঠিক প্রয়োজনীয় উপাদান পাওয়া যাবে।

তথ্য সংগ্রহ ও ইতিহাস রচনা : ঐতিহাসিক তার দীর্ঘ গবেষণালব্ধ উপদানগুলি সংরক্ষণ করবেন। এইজন্য গবেষণা করার সময় নোটবুকে যে তথ্য থেকে উপাদানটি সংগ্রহ করেছেন তা লিখে রাখবেন। বিভিন্ন তথ্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ এবং গবেষণা থেকে পাওয়া উপাদানগুলি নোটবুকে লিপিবদ্ধ করবেন। এই নোটবুকটি মূল সূত্ররূপে কাজ করবে। এরপর ঐতিহাসিক নোটবুক-এর উপাদানগুলি পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করে তিনি যথার্থ ও নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনার কাজটি সম্পন্ন করবেন।

ভৌগোলিক স্থান : ইতিহাসে প্রতিটি ঘটনার একটি স্থান থাকে। তাই যথার্থ ইতিহাস রচনা করতে হলে ঘটনাটির পাশাপাশি ভৌগোলিক স্থানের কথা উল্লেখ করতে হবে। কো্নো ঘটনার স্থানটি উল্লেখিত না হলে ওই ঘটনাটির ইতিহাস রচনা মূল্যহীন হয়ে পড়বে। ঐতিহাসিক কো্নো ঘটনার পাশাপাশি তার সঠিক স্থানটিও উল্লেখ করবেন। আ্লোচ্য স্থানটির ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও তার ধারণা থাকতে হবে।

ধারাবাহিকতা ও কালানুক্ৰম:- ধারাবাহিকতা ও কালানুক্রম অনুসারে ঐতিহাসিককে ইতিহাস রচনা করতে হবে। কালানুক্রম যথার্থ ইতিহাস রচনার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এ ছাড়াও ঘটনার ধারাবাহিকতা যাতে সুষ্ঠুভাবে বজায় থাকে সেদিকে ঐতিহাসিক অবশ্যই নজর রাখবেন, না হলে ইতিহাস রচনা মূল্যহীন হয়ে পড়বে। এজন্য ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সময়টিও উল্লেখ করবেন।

মূল্যায়ন : একজন ঐতিহাসিক তথ্য অনুসন্ধান, তথ্য সংগ্রহ, সঠিক কালানুক্রম ও ভৌগোলিক স্থান উল্লেখ করে যথার্থ নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনা করেন।

 2. ঐতিহাসিক মিউজিয়াম, সামরিক মিউজিয়াম, বিজ্ঞান মিউজিয়াম আর ভ্রাম্যমান মিউজিয়াম এর কার্যগত এবং বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য উদাহরণ সহযোগে ব্যাখ্যা করো।

 

মিউজিয়াম,

কার্যগত এবং বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য

উদাহরণ

ঐতিহাসিক মিউজিয়াম (Historical Museum)

ঐতিহাসিক মিউজিয়াম কোন বিশেষ অঞ্চল কিংবা বিশেষ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের নিদর্শন সযত্নে সংরক্ষিত হয় এই ধরনের জাদুঘরে। মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি  সংরক্ষণের উপর জোর দেওয়া হয়।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ আফ্রিকান। আমেরিকান হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার  (National Museum of African American History and Culture)

সামরিক মিউজিয়াম (Military Museum)

এই ধরনের জাদুঘরে বিভিন্ন সমরবিজ্ঞান বিষয়ক নিদর্শন সংরক্ষিত থাকে। বিভিন্ন যুগে ব্যবহুত সামরিক অস্ত্রশস্ত্র, তাদের বিবর্তন, যুদ্ধ

কৌশল-পদ্ধতি, পোশাক-শিরস্ত্রাণ, গুপ্তচর ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ক বিভিন্ন নিদর্শন এই জাদুঘরগুলিতে প্রদর্শিত হয়।যুদ্ধবিষয় ছাড়াও জাতীয় লক্ষ্যকে তুলে ধরে।

ইম্পিরিয়াল ওয়ার মিউজিয় (Imperial War Museum)]

বিজ্ঞান মিউজিয়াম (Science Museum)

বিজ্ঞান মিউজিয়াম বিজ্ঞানকেন্দ্রিক জাদুঘরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন আবিষ্কার, নিদর্শন এবং এই বিষয়ের উপর বিভিন্ন তথ্য, ব্যাখ্যা, মডেল ইত্যাদি সংরক্ষিত |

 

মিউজিয়াম অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (Museum of Science and Industry)

 

ভ্রাম্যমান মিউজিয়াম(Mobile Museum)

ভ্রাম্যমাণ মিউজিয়াম কোন চলমান যানবাহনের মাধ্যমে নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করা হয়। ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রত্যক্ষ করতে পারে।

সংস্কৃতি এক্সপ্রেস।

 

3. পেশাদারি ইতিহাস ও অপেশাদারি ইতিহাসের তুলনামূলক আলোচনা করো।

পেশাদারি ইতিহাস

অপেশাদারি ইতিহাস

পেশাদারি ইতিহাস কোনো ঘটনার কোন বিষয়ের বা কোনো ব্যক্তির সম্পর্কে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে তথ্য সংগ্রহ করে ও বিশ্লেষণ করে। এই জন্য পেশাদারি ইতিহাসের প্রধান লক্ষ সত্যকে অনুসন্ধান করা।

অপেশাদারী ইতিহাসে কোনো ঘটনা, কোনো ব্যক্তির বিষয়ে নিজস্ব সংস্কীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গীতে তথ্য সংগ্রহ করে এবং বিশ্লেষণ করে। এই জন্য অপেশাদারী ইতিহাসে সত্য অনুসন্ধান অপেক্ষা জাতিগত বা গোষ্ঠীত স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়।

পেশাদারি ইতিহাস সময়ের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কোনো দেশ বা জাতির ইতিহাস যথার্থভাবে রচনা করে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সময়টিও উল্লেখ করে। ধারাবাহিকভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য ঘটনার সূচনা পর্ব, ঘটনার গতিপ্রকৃতি ও ঘটনার পরিণতি সময়ের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে ব্যাখ্যা করে।

অপেশাদারি ইতিহাস নিজের জাতি, দেশ বা গোষ্ঠীর গৌরব বা মাহাত্ম প্রচারের জন্য ধারাবাহিকভাবে ইতিহাসকে ব্যাখ্যা করে না।

 

 

পেশাদারি ইতিহাস প্রতিটি ঘটনার পেছনের কারণগুলি খুঁজে বের করার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করে প্রকৃত কারণটি জানার চেষ্টা করে। ঘটনার কারণ অনেক গভীরে লুকিয়ে থাকলেও সত্য উদ্বাটনের জন্য তা খুঁজে বের করে।

অপেশাদারি ইতিহাস ঘটনার যে-কোনো পূর্ববর্তী বিষয়কে কারণ হিসেবে তুলে ধরে ব্যক্তিগত অথবা জাতিগত গরিমা প্রকাশ করে। এর ফলে ঘটনার প্রকৃত স্বরূপ উদ্বাটন হয় না।

 

 

পেশাদারি ইতিহাস তার সংরক্ষিত দিকগুলি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে বর্তমান প্রজন্মকে সুপথে পরিচালিত করে। মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রসার ঘটায়। মানুষের মনের সুকুমার বৃত্তিগুলির বিকাশ ঘটায়।

অপেশাদারি ইতিহাস সংকীর্ণ ও অসম্পূর্ণ। ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে লিখিত হয়। তাই ইতিহাস মানুষের মধ্যে সংকীর্ণ জাতীয়তাবোধের বিকাশ ঘটায়। যুদ্ধের সূচনা করে। আন্তর্জাতিকতার বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করে।

 

 

পেশাদারি ইতিহাস ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে। কিন্তু ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে গুরুত্ব দেয় না। ধর্মগুরু বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দুনীতি কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা করে। ধর্মীয় সহিষ্ণুতার কথা, ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা প্রচার করে।

অপেশাদারি ইতিহাস ব্যক্তি ও জাতির স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করে। অনেক সময় ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও জাতিগত স্বার্থে ধর্মগুরুরা ধর্মীয় সংগঠনগুলির ত্রুটি-বিচ্যুতি এড়িয়ে যায়

 4. উপযুক্ত তথ্য সহযোগে নীচের ছকটি পূরণ করো

 

বৈশিষ্ট্য

উদাহরণ

ইতিহাস নির্মাণে ভূমিকা

ক) পৌরাণিক কাহিণী

(i) পৌরাণিক কাহিনির মূল চরিত্রগুলি অলৌকিক শক্তির অধিকারী দেবদেবীগণ।

(ii) বিশ্বের জনপ্রিয় পৌরাণিক কাহিনিগুলি মুখে মুখে প্রচারিত হওয়ায় তার মধ্যে বহু কাল্পনিক ঘটনার সংমিশ্রণ ঘটতে দেখা যায়।

 

(i) মহাকবি কালিদাসের

(ii) রোমান পুরাণের রোমুলাসের  কাহিনি।

 

প্রাচীন ইতিহাসের যেসকল ক্ষেত্রে লিখিত উপাদানের অস্তিত্ব নেই সেই সকল ক্ষেত্রে অনেক সময় গবেষকরা মিথের উপর নির্ভর

খ) লোককথা।

 

i) লোককথার আয়তন হয় নাতিদীর্ঘ এবং এর অ্যাখ্যানবৃত্ত সরল।

ii) লোক কথার পরিণতি হয় মিলনান্তক বা  ইতিবাচক।

(i) আলিবাবা ও চল্লিশ চোর

(ii) সিন্ডেরেলা।

 

মানুষের সমস্যা, সমাজ, অর্থনীতি,রাজনীতি, সভ্যতার সংকট —এসবই লোককথায় প্রভাব ফেলে। তাই লোককথা গুলি থেকে ইতিহাসের অনেক তথ্য খুজে পাওয়া যায়। যদিও কল্পনার মিশ্রন থাকায় এগুলো থেকে ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহের কাজ খুবই পরিশ্রমসাধ্য

গ) স্মৃতিকথা

 

i)প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হল স্মৃতিকথার প্রধান বৈশিষ্ট্য

ii) স্মৃতিকথা গুলি সাধারণত লেখককের দৃষ্টিকোণ থেকে লিখিত বলে এগুলি সর্বদায় উত্তম পুরুষে লেখা হয়

i)জীবনস্মৃতি

ii)উদ্বাস্তু

স্মৃতিকথা ইতিহাসের অন্যতম উপাদান স্মৃতিকথায় বর্ণিত ঐতিহাসিক তথ্য এর যথার্থ সত্য থাকে।

ঘ) কিংবদন্তি

 

i)ইতিহাসনির্ভর কাহিনী পরি বা ভূত-প্রেতের কাহিনী প্রেম বিরহের কাহিনী ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ঘটনা কিংবদন্তির বিষয়বস্তু

ii) কিংবদন্তির নায়ক প্রধানত একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব পৌরাণিক কাহিনীর মত সে কোন দেবদেবীর নয়

i) ভবানী পাঠক

ii) রবিনহুড

কিংবদন্তি গুলি ঐতিহাসিক যুগের ঘটনা এবং ব্যক্তিদের সম্পর্কে আংশিক ধারণা তুলে ধরতে সাহায্য করে। কল্পনা ও অতিরঞ্জন থাকলেও ঐতিহাসিক তথ্যানুসন্ধানে কিংবদন্তির গুরুত্বকে একেবারে অস্বীকার করা যায় না

 

 


 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url