মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক-১
পরিবেশ ও ইতিহাস
ষষ্ট শ্রেণি
Class 6 Model activity Task-1 |
১. ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম মানুষ।
২. ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের ধারা ।
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১. আদিম মানুষের হাতিয়ারের বিবর্তনের একটি সচিত্র বর্ণনা দাও (৫০ / ৬০ টি শব্দে)।
২. ধাতু, চাকা, আগুন – এই তিনটির মধ্যে কোনটিকে আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার বলে তুমি মনে
করো? (দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও)।
৩. মনে করো তুমি প্রাচীনকালে হরপ্পা সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ শহর হরপ্পায় গেছো- সেখানে গিয়ে তুমি কী কী দেখবে তার একটি চার্ট বানাও।
৪. নীচের কোন কোন কারণগুলি সিন্ধু নদীর তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি গড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন ছিল? (টিক চিহ্ন দাও)—
ক) সিন্ধু নদী থেকে পানীয় জল পাওয়া যেত। খ) সিন্ধু নদীর তীরে মাটি উর্বর ছিল ো।
(গ) সিন্ধু নদী দিয়ে বাণিজ্য হতো। (ঘ) সিন্ধু নদী অববাহিকায় প্রচুর লোহা পাওয়া যেত।
ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে নিজের বিষয়ভিত্তিক খাতায় এগুলো করে বিদ্যালয় খুললে শিক্ষকের কাছে জমা দেবে।
কোন অবস্থাতেই তারা বাড়ির বাইরে বেরোবে না
উত্তর সমূহ
১.আদিম মানুষের হাতিয়ারের বিবর্তনের একটি সচিত্র বর্ণনা দাও (৫০ / ৬০ টি শব্দে)।
প্রাচীনকালে যুককে আমরা সাধারণত তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি প্রাচীন পাথরের যুগ মাঝের পাথরের যুগ ও নব্য প্রস্তর যুগ বা নতুন পাথরের যুগ এইতিনটি যুগে হাতিয়ার এর ব্যবহার ছিল আলাদা আলাদা
পুরনো পাথরের যুগের হাতিয়ারঃ-পুরােনাে পাথরের যুগের মানুষের হাতিয়ারগুলির বেশির ভাগই ছিল হাতকুঠার ও চপার জাতীয়। বেশিভাগ হাতিয়ার ভারী নুড়ি পাথর দিয়ে তৈরি করা হত। পরবর্তীকালে পাথরের হাতিয়ার তৈরির পদ্ধতির বদল হয়। হাতিয়ারগুলি ছােটো, হলক ও ধারালাে হয়। ফলে এই সময় ভারী নুড়ি পাথরের হাতিয়ারের ব্যবহার কমতে থাকে। পুরােনাে পাথরের যুগের মাঝের পর্বে প্রধান হতিয়ার হল ছুরি। এই ছুরি জাতীয় হাতিয়ারের ব্যবহার পুরােনাে পাথরের যুগের শেষপর্যন্ত চলেছিল ।
মাঝের পাথরের যুগের হাতিয়ারঃ- মাঝের পাথরের যুগের মানুষ আরও উন্নত হাতিয়ার তৈরি করতে শিখেছিল। এই সময় তারা ছােটো ও বেশি ধারালাে ছুরি তৈরি করত। ছােটো হাতিয়ারগুলি ধরার সুবিধার জন্য তারা গাছের ডালের সঙ্গে জুড়ে বা গেঁথে নিত। তারা দু-দিক ধারওলা ছুরি ও হাড়ের তৈরি ফলা ব্যবহার করত।
নতুন পাথরের যুগের হাতিয়ারঃ- আদিম মানব ইতিহাসে নতুন পাথরের যুগে হাতিয়ার বানানাের কৌশল অনেক উন্নত হয়েছিল। নানান রকমের পাথরের হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হয়। পাশাপাশি ছােটো পাথরের হাতিয়ারও এসময় ব্যবহার করা হত। অর্থাৎ হাতিয়ার খুবই হালকা ও আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছিল।
ধাতু, চাকা, আগুন – এই তিনটির মধ্যে কোনটিকে আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার বলে তুমি মনে কর(দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও)
আগুন আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার বলে আমি মনে করি কারন
প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে রক্ষাঃ- আদিম মানুষ আগুন জ্বেলে তার তাপ নিয়ে প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা পেত।
জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষা : সব প্রাণী আগুনকে ভয় পায়। আদিম মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখার পর আগুন দিয়ে অন্য জীবজন্তুর আক্রমণের মােকাবিলা করত।
আগুনে ঝলসে খাওয়া: আগুন জ্বালাতে শেখার পর আদিম মানুষ কাচা মাংস খাওয়ার বদলে আগুনে ঝলসানাে মাংস খাওয়া শুরু করল।
আগুন ব্যবহারের পরে চাকা এবং ধাতুর ব্যবহারের সূচনা হয় সুতরাং আমরা বলতে পারি আগুনই আদিম মানুষের প্রথম প্রয়োজন ছিল।
৩. মনে করো তুমি প্রাচীনকালে হরপ্পা সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ শহর হরপ্পায় গেছো- সেখানে গিয়ে তুমি কী কী দেখবে তার একটি চার্ট বানাও।
পৃথিবীর সুপ্রাচীন সভ্যতাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল হরপ্পা সভ্যতা এবং তার প্রধান কেন্দ্র হল হরপ্পা।
জনবসতি এলাকা: হরপ্পা সভ্যতার নগরগুলির জনবসতি এলাকার দুটি ভাগ ছিল— উঁচু এলাকা বা সিটাডেল ও নীচু এলাকা।
বাড়িঘর: পােড়া ইটের বাড়িগুলি ছিল একতল বা বহুতলবিশিষ্ট। প্রত্যেক বাড়িতে থাকত উন্মুক্ত আঙিনা, প্রাচীরের বেষ্টনী, শােয়ার ঘর, রান্নাঘর, স্নানাগার, কূপ।
পয়ঃপ্রণালী: পয়ঃপ্রণালীর জন্য হরপ্পা সভ্যতা জগৎ বিখ্যাত। প্রত্যেক বাড়ি থেকে ব্যবহার্য পরিত্যক্ত জল ছােটো নালার মাধ্যমে রাস্তার ঢাকা দেওয়া ম্যানহােলযুক্ত বড়াে নর্দমায় এসে পড়ত এবং সেখান থেকে দূষিত জল শহরের বাইরে চলে যেত।
রাস্তাঘাট: হরপ্পার শহরগুলির রাস্তাঘাট ছিল প্রশস্ত (৯-৩০ মিটার পর্যন্ত)। রাস্তাগুলি উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত ছিল।
শস্যাগার: হরপ্পার দূর্গ অঞ্চলে একটি শস্যাগারের নিদর্শন পাওয়া গেছে। পাকা ইটের তৈরি এই শস্যাগারের আয়তন ছিল প্রায় ৯ হাজার বর্গফুট। বর্তমানে অনেক ঐতিহাসিক একে বর্তমান ব্যাংক ব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৪. নীচের কোন কোন কারণগুলি সিন্ধু নদীর তীরে হরপ্পা সভ্যতার শহরগুলি গড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন ছিল? (টিক চিহ্ন দাও)—
ক) সিন্ধু নদী থেকে পানীয় জল পাওয়া যেত। খ) সিন্ধু নদীর তীরে মাটি উর্বর ছিল।
(গ) সিন্ধু নদী দিয়ে বাণিজ্য হতো। (ঘ) সিন্ধু নদী অববাহিকায় প্রচুর লোহা পাওয়া যেত।
আমাদের পাশে থাকার জন্য তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
দ্রুত আপডেট পেতে আমাদের ইউটুব চ্যানেলটিকে
সাবস্ক্রাইব করে নাও
সভ্যতা ও সংস্কৃতির পার্থক্য লেখ
উত্তরমুছুন