Class 7 History Part -7 Model Activity Task [October]

 
Class 7 History Part -7 Model Activity Task [October]

 

 Class 7 History Part -7 Model Activity Task [October]

‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :

উ:-

ক-স্তম্ভ

‘খ’ স্তম্ভ

১.১ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ

১৫২৬ খ্রি:

১.২ খানুয়ার যুদ্ধ

১৫২৭ খ্রি:

১.৩ ঘর্ঘরার যুদ্ধ

১৫২৯ খ্রি:

১.৪ চৌসার যুদ্ধ

১৫৩৯ খ্রি:

 

২. শূন্যস্থান পূরণ করো:

২.১ আদিল শাহের প্রধানমন্ত্রী হিমু  দিল্লি শহর _দখল করেছিলেন।

২.২ আকবর _পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে_ যুদ্ধে আফগানদের হারিয়ে দেন।

২.৩ মুঘলরা কান্দাহারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারায়  শাহ জাহানের  আমলে।

২.৪ মুঘলরা বিজাপুর ও গোলকোন্ডা দখল করে  ঔরঙ্গজেবের  রাজত্বকালে।

৩. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ ‘জাবতি’ কী?

উ:-   ভারতবর্ষ ছিল কৃষিনির্ভর দেশ। তাই ভালভাবে শাসন পরিচালনা করতে হলে ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা উপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। আলাউদ্দিন খলজির আমল থেকেই রাজস্বের পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য জমি জরিপ করার বা মাপার ব্যবস্থা ছিল। পরে শেরশাহর সময়ও জমি মাপা হয়। আকবর নতুন করে জমি জরিপ করান।জমি জরিপের ভিত্তিতে রাজস্ব নির্ধারণ করার পদ্ধতিকে বলা হয় ‘জাবতি’। ‘জাবত’ মানে নির্ধারণ।

৩.২ ‘মনসব’ কী?

উ:- আকবর সামরিক ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন করেন। সেটি ছিল তাঁর মনসবদারি ব্যবস্থা।মনসব একটি আরবি শব্দ, এর অর্থ উঁচু স্থান। আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রশাসনিক পদগুলিকে বলা হতো মনসব।

৩.৩ বারো ভূঁইয়া নামে কারা পরিচিত ছিলেন?

উ:-  আকবরের ছেলে ও উত্তরসূরি জাহাঙ্গিরের সময় (১৬০৫-১৬২৭ খ্রিস্টাব্দ) বাংলার স্থানীয় হিন্দু জমিদার ও আফগানরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বার বার বিদ্রোহ করেছে। এই বিদ্রোহীরা এক সঙ্গে ‘বারো ভূঁইয়া’ নামে পরিচিত ছিলেন। এদের মধ্যে প্রতাপাদিত্য, চাঁদ রায়, কেদার রায়, ইশা খান প্রমুখ ছিলেন উল্লেখযোগ্য।

৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৪.১ আবুল ফজল ও আবদুল কাদির বদাউনি কারা ছিলেন?

উ:-  আবুল ফজল ও আব্দুল কাদির প্রদাউনি আকবরের আমলের এক বিখ্যাত ঐতিহাসিক ছিলেন আবুল ফজল আল্লামি (১৫৫১-১৬০২ খ্রিঃ)। তিনি আকবরের গুণাবলি সম্বন্ধেই লিখেছিলেন। কিন্তু যে কোনো সময়ের ইতিহাস জানতে হলে শুধু ভালো কথা জানলেই হয় না। সে যুগের সমস্যার কথাও জানতে হয়। এই ধরনের সমালোচনা পাওয়া যায় সে যুগের আর একজন ঐতিহাসিক আব্দুল কাদির বদাউনির (১৫৪০-১৬১৫ খ্রিঃ) লেখায়। এঁরা দুজনেই মুঘল দরবারে এসেছিলেন ১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে। কিন্তু আবুল ফজল হয়ে উঠেছিলেন আকবরের প্রিয় পাত্র। একই ঘটনার দু-ধরনের বিবরণ পাওয়া যায় এঁদের দুজনের লেখায়।

৪.২ তুমি কী মনে করো যে রাজপুত নীতির দ্বারা মুঘলরা ভারতীয় শাসকদের মুঘল প্রশাসনের অঙ্গীভূত করেছিল? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

উ:-  মুঘল বাদশাহ হুমায়ুন বুঝতে পেরেছিলেন যে, ভারতবর্ষের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাজপুতদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা দরকার। কারণ তারাই ভারতবর্ষের বিশাল অঞ্চলের জমিদার।

   এই ধারণা থেকেই বাদশাহ আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসেন। মুঘল বাদশাহ ও শাহজাদাদের সঙ্গে বেশ কিছু রাজপুত পরিবারের মেয়েদের বিয়েও হয়। আকবর হিন্দু পত্নীদের নিজেদের ধর্মমত পালনের অধিকার দিয়েছিলেন। তিনি হিন্দুদের ওপর থেকে তীর্থকর ও জিজিয়া কর তুলে দেন এবং যুদ্ধবন্দিদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করাও নিষিদ্ধ করেন। আকবরের এই উদারনীতির ফলে মুঘলরা রাজপুত বীরদের নিজেদের পাশে পেয়েছিল।

   জাহাঙ্গির পিতার নীতিই অনুসরণ করেন। তাঁর আমলে মেওয়াড়ে মুঘলদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। রানা প্রতাপের পুত্রঅমর সিংহ মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার করেন (১৬১৫ খ্রিস্টাব্দ)। তিনি মুঘল দরবারে উঁচু মনসব পান।

    শাহজাহানের আমলেও রাজপুতদের সঙ্গে মুঘলদের মিত্রতা বজায় ছিল। রাজপুতরা সুদূর মধ্য এশিয়ার বলখ, বদখশান প্রভৃতি অঞ্চলে মুঘলদের হয়ে যুদ্ধ করতে যেত। এই আমলেও রাজপুতদের উঁচু পদ দেওয়া হত।

ঔরঙ্গজেবের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় রাজপুতরা মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এসেছিল। তবে এসময়েই রাজপুতদের সঙ্গে মুঘলদের প্রীতির সম্পর্ক নষ্ট হয়। মারওয়াড়ের রাঠোর রাজপুত রানা যশোবন্ত সিংহ প্রথমে বাদশাহের বিরোধী ছিলেন। তবে পরে তিনি বড়ো আকারের মনসব পান। তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার নিয়ে মারওয়াড় রাজ্যের রাজধানী যোধপুরে গণ্ডগোল শুরু হয়। মুঘলরা এই রাজ্যটি পুরোপুরি দখল করে নেয়। এর ফলে শুরু হয় রাঠোর যুদ্ধ (১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দ)। এই যুদ্ধে মেওয়াড় রাজ্য মারওয়াড়ের পক্ষে ছিল। রাঠোর যুদ্ধ মুঘলদের পক্ষে লাভজনক হয়নি।উপরন্তু, আকবর জিজিয়া কর তুলে নেওয়ার একশো বছর পরে ঔরঙ্গজেব আবার জিজিয়া কর চাপিয়েছিলেন (১৬৭৯ খ্রি:)।অর্থাৎ আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘলদের রাজপুত নীতিতে অনেক মিল ছিল আবার কোনো কোনো দিকে অমিলও ছিল।

 নিচে অন্যান্য বিষয়ের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক গুলোর লিংক দেওয়া রয়েছে তোমরা গিয়ে লিখে নিতে পারো? (বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- ক্লাস 5 থেকে 10 পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ের Part- 6 ও Part-7 এর লিংক দেওয়া আছে)  


ALL CLASS ALL SUBJECT PART 7 MODEL ACTVITY TASK

CLICK HERE TO GET ALL CLASS PART 7

CLICK HERE

পার্ট 7 সমস্ত ক্লাসের  অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়ার জন্য

এখানে

ক্লিক কর

 

 

ALL CLASS ALL SUBJECT PART 6 MODEL ACTVITY TASK

CLICK HERE TO GET ALL CLASS PART 6

CLICK HERE

পার্ট 6 সমস্ত ক্লাসের  অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পাওয়ার জন্য

এখানে

ক্লিক কর




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url