CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK BENGALI PART 3 -2021(NEW) // মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3 নবম শ্রেনী BENGALI// বাংলা

 CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK  BENGALI PART 3 -2021(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3

নবম শ্রেনী

BENGALI// বাংলা

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK LIFE BENGALI PART 3 

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো:

1. নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন কেন? বর্তমান যুগে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় কেন?

উঃ-কোনো ভাষার সমৃদ্ধি নির্ভর করে উক্ত ভাষার শব্দভাণ্ডারের উৎকর্ষতার ওপরে। যে-ভাষার শব্দভাণ্ডার যত সমৃদ্ধ সেই ভাষা ততই আত্মনির্ভরশীল। কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতি বা বস্তুর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত নিজের ভাণ্ডারের কোনো ধাতু বা শব্দের অদল বদল ঘটিয়ে অথবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি গঠন করে নেয়; অন্য ভাষার শব্দভাণ্ডারের ওপর নির্ভর করে না। সংস্কৃত বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও তা অতি নগণ্য। এই কারণেই সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা যায়। লেখকের মতে, প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনেও বাংলা ভাষা নিজের শব্দভাণ্ডারে অনুসন্ধান না করে, ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। পাঠান-মোঘল যুগে আইন-আদালত, খাজনা-খারিজ নতুনভাবে দেখা দিলে আমরা প্রচুর আরবি, ফারসি শব্দ গ্রহণ করেছি। পরবর্তীকালে ইংরেজি থেকে, ইংরেজির মাধ্যমে অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করেছি বা করছি। এই কারণেই বক্তা প্রশ্নের এই মন্তব্যটি করেছেন।

 

2. এরই মাঝে বাংলার প্রাণ।- বাংলার প্রাণস্পন্দন কবি কীভাবে উপলব্ধি করেছেন?

 

উঃ-: কবি জীবনানন্দ দাশ আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় বলেছেন—বাংলার অপরূপ সান্ধ্যকালীন সৌন্দর্য এবং বিচিত্র সৌরভে তিনি খুঁজে পান প্রাণের স্পর্শ। অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আলোয় রাতের আঁধারে ডুবতে থাকা মেঘের কামরাঙা লাল রঙে, বাংলার নীল স্নিগ্ধ সন্ধ্যার মাহময় আবেশে; নরম ধান, কলমির ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, চাঁদা-সরপুটির ঘ্রাণে, কিশোরের পায়ে-দলা মুথা ঘাসে, কিংবা পাকা বটফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতায় কবি উপলদ্ধি করেন বাংলার প্রাণের স্পন্দন। এদের মধ্যেই বঙ্গ প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধ অবিরত ধারায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই কারণেই কবি প্রশ্নের এই উক্তিটি করেছেন।

 

3. “চিঠি’ রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশভাবনার পরিচয় দাও।

উঃ-:1897 খ্রিস্টাব্দের 29 জুলাই স্বামী বিবেকানন্দ আলমোড়া থেকে মিস নোবেল কে উদ্দেশ্য করে যে পত্রখানি রচনা করেন তাতে ভারতবাসী এখানকার সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশ এমনকি ভারতের যেসকল ইউরোপিয়ান সেবার এসেছেন তাদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ করেছেন । পরবর্তী অংশে তা বর্ণিত হলো । স্বামীজীর মতে মিস নোবেল একজন প্রকৃত সিংহী তাই ভারতের কাজে তার বিরাট ভবিষ্যৎ আছে । স্বামীজী মিস নোবেল কে বারবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি যেমন মিস মুলার বা অন্য কোনো কারও পক্ষপুটে না থেকে আপন বিচার-বিবেচনা এ কাজ করেন । স্বামীজি বলেন মিস মুলার নিজের ভাবে চমৎকার হলো আত্ম গৌরবে উদ্ধত বৃক্ষ স্বভাবের মহিলা । তাই তার সঙ্গে বনিয়ে চলা সম্ভব নয়।

এদেশের কাজের ক্ষেত্রে মিস নোবল নানাবিধ সমস্যার সামনে পড়বেন বলে স্বামীজি বলেন। পরাধীন ভারতের অশিক্ষিত অধ শিক্ষিত নয় নারীরা সংস্কারের বশে তাকে সহজভাবে হয়তো নেবে না, আবার ভারতীয়দের জন্য কাজ করায় এদেশের ইউরোপিয়ানরা তার কাজকে খামখেয়ালিপনা বলে ভাববে। তা ছাড়া এখানকার জলবায়ু তার পক্ষে অনুপযুক্ত হতে পারে। তবুও যদি তিনি এদেশের জন্য কর্মে প্রবৃত্ত হন, তবে স্বামীজি সর্বতোভাবেই তার পাশে থাকবেন। স্বামীজি উক্ত চিঠিতে সেভিয়ার দম্পতির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন—তাদের সহকর্মী রুপে পেলে মিস নোবল ও সেভিয়ারদের কাজের সুবিধাই হবে। তবে মিস নোবলকে নিজের পায়েই দাঁড়াতে হবে। মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে শরৎকালে যদি মিস নোবল ভারতে আসেন তবে তার পথের একঘেয়েমি দূর হবে বলে স্বামীজি চিঠিতে উল্লেখ করেন।

 

 

4. যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া- কবি কাদের, কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি কীভাবে সম্পর্কযুক্ত ?

উঃ-আলোচ্য কবিতায় আজন্ম পরিচিত জন্মভূমির জল-হাওয়ার স্নিগ্ধতা থেকে নির্বাসিত মানুষের হৃদয়ের ব্যাকুলতা গভীরভাবে প্রকাশিত হয়েছে। পল্লী প্রকৃতির একান্ত আপন সম্পদ হল লাউমাচা, কুন্দফুল, ঘাসের গন্ধ। যার শৈশব অতিবাহিত হয়েছে এই প্রকৃতির তাৎপর্য রূপ-রস-গন্ধে, সে কখনোই ভুলে যেতে পারে তাদের। এই আলো-বাতাস-মাটির কিনারে গভীর অনুরাগে গড়ে তোলা শান্তির নীড় তাকে সর্বদা হাতছানি দিয়ে আহ্বান জানায়। আপন স্বার্থের তাগিদেই অথবা পারিপার্শ্বিকতার চাপে পড়েই জন্মভূমি তথা সাধের ঘরবাড়ি ছেড়ে সে চলে যায় অনেক দূরে। তবুও ফুল, নদী তথা জন্মভূমির অমলিন স্পর্শ তার মনোভূমিতে চিরকাল উজ্জ্বলভাবে জাগ্রত থাকে। তাই আপন খেয়ালেই সে ফিরে আসার স্বপ্ন রচনা করে। আবার বঙ্গমাতা সন্তানকে আপন কোলে ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন।

5. অগত্যা রাধারাণী কাদিতে কাদিতে ফিরল।- রাধারাণীর কান্নার কারণ কী ?

উঃ- রাধারাণীর মা ঘোরতর পীড়িত, তার পথ্যের ব্যবস্থা নেই, ঘরে আহারের কোনো সংস্থান হয়নি। এমন অবস্থায় রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে বিক্রির উদ্দেশ্যে রথের মেলায় যায়, যদি মালা বিক্রির অর্থে মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা করা যায় এই ভেবে। কিন্তু রথের টান অর্ধেক হতে-না-হতেই প্রবল বৃষ্টি নামে। ফলে লোকজন মেলা থেকে ফিরে যায়। এই কারণে রাধারাণীর কোনো মালা বিক্রি হল না। ক্রমে অন্ধকার ঘন হয়ে আসে। রাধারাণীর আশা ব্যর্থ হয়। মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা কীভাবে হবে, তা ভেবে না-পেয়ে ব্যাকুল হৃদয়ে কাদতে কাদতে বাড়ি ফিরছিল রাধারাণী।

 

নীচে Class 9-এর অন্যান্য বিষয়ের Model Activity Task গুলি সরাসরি Download করে নাও

 

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK MATH PART 3

Click Here to Download

CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK PHYSICAL SCIENCE PART 3

Click Here to Download

 


 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url