CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK BENGALI PART 4 -2021(NEW) //মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 4 নবম শ্রেনী BENGALI /বাংলা

                           CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK BENGALI PART 4 -2021(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 4

নবম শ্রেনী

BENGALI /বাংলা

 CLASS 9 MODEL ACTIVITY TASK BENGALI PART 4 -2021(NEW)


1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

1.1 ঈশান হল— ক) উত্তর-পূর্বকোণ  খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ  গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ  ঘ) পশ্চিম কোণ

উ:- ক) উত্তর-পূর্বকোণ

1.2 ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক  খ) জানুক  গ) ধীবর  ঘ) রাজশ্যালক

উ: গ) ধীবর

1.3 ‘বন্ধুগণ হাসবেন না। – একথা বলেছে।

ক) ইলিয়াস  খ) শাম-শেমাগি  গ) মহম্মদ শা  ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয়

উ:- ক)ইলিয়াস

1.4 ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা  খ) দশ টাকা  গ) পনেরো টাকা  ঘ) কুড়ি টাকা

উ:- খ) দশ টাকা  
1.5 ‘নোঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত –

ক) কুসুমের মাস  খ) সাদা মেঘ কালো পাহাড়  গ) পাতাল কন্যা  ঘ) ছায়ার আলপনা।

উ: খ) সাদা মেঘ কালো পাহাড়

1. কম-বেশি 15টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো:

2.1 _____প্রজা চমকিত।' – প্রজা চমকিত কেন ?

উ:- উদ্ধৃতাংশ টি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের আখেটিক খন্ড এর অন্তর্গত।

     প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।

2.2 ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায় ?

উ:- মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে। ধীবর সক্রাবতারে থাকে অর্থাৎ সক্রাবতারে তার বাড়ি।

2.3 ইলিয়াস তো ভাগ্যবান পুরুষ'- কারা একথা বলত?

উ:-  উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।

2.4 ‘মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা।' – কখন এমনটি ঘটেছে?

উ:-উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।

2.5 ____ বিরামহীন এই দাঁড় টানা।' – কবি দাঁড় টানাকে ‘বিরামহীন' বলেছেন কেন?

উ:- আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কবি অজিত দত্তের লেখা সাদা মেঘ কালো পাহাড় কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নম্বর কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

     কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। তটের কিনারে নোঙরের কাছিতে বাঁধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন মানতে চায়না। অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোকে পৌঁছতে চাই। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দার টেনে  চলেছেন।



3. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি 60টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো

3.1 'চন্ডীর আদেশ পান বীর হনুমান।' - চন্ডীর পরিচয় দাও। তিনি হনুমানকে কী আদেশ দিয়েছেন?

উ:- কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি শীর্ষক কাব্যাংশটি শেষ কয়েক ছত্র মা চণ্ডীর আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। মা চন্ডী আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গদেশের সমস্ত দেবালয় এবং বাসগৃহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। মা চন্ডী আদেশে কলিঙ্গের সমস্ত নদ-নদী গুলির ফুলে-ফেঁপে উত্তাল হয়ে ওঠে এবং তাদের প্রবল ঢেউ এর ধাক্কায় সব বাড়ি ঘর ভেঙে যায়। মনে হয় বাড়ি ঘর গুলি যেন ঢেউ এর মাথায় উঠে টলমল করে ভাসছে।

3.2 'কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল - তা বললাম।' - বক্তা কে? আংটি প্রসঙ্গে সে কী বলেছে?

উ:- কালিদাসের জীবন বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশে জীবনের আংটি পাওয়ার পেক্ষাপটে এক দীর্ঘ কাহিনী রয়েছে। মহর্ষি কন্বের অনুপস্থিতে আশ্রম কন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যান। তারপরে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি শকুন্তলার খোঁজ করেন না। একদিন ঋষি দুর্বাসা মুনির কন্বের আশ্রমে এলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার টের পান না। অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেয় যে যার চিন্তা শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। সখি প্রিয়ংবদা অনুরোধে অবশ্য অভিশাপ কিছুটা লঘু করে দুর্বাসা বলেন যে শকুন্তলা যদি প্রিয়জনকে কোন স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারেন তাহলে অভিশাপ কার্যকর থাকবে না। শকুন্তলার কাছে থাকা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাই স্মৃতিচিহ্ন বলে সখীরা ভেবে নেন। মহর্ষি কন্ব তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়ার সময় সুচি তীর্থ স্নান এর পরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে হাত থেকে আংটিটা খুলে জলে পড়ে যায়। হলে দুষ্মন্ত শকুন্তলা কেয়ার চিনতে পারেন না। ওদিকে এক ধীবর মাছ ধরতে গিয়ে একটা রুই মাছ ধরে এবং তার পেটে এই আংটি পায়।

3.3 মহম্মদ শা কোন্‌ গল্পের চরিত্র তাঁর প্রকৃতি কেমন?

উ:-লিও তলস্তয় লেখা ইলিয়াস নামক গল্পের অন্যতম একটি প্রধান চরিত্র হলো মোহাম্মদ শা। ইলিয়াস গল্পের ইলিয়াসের একজন প্রতিবেশী ছিলেন মোহাম্মদ শা। তিনি অত্যন্ত দয়ালু এবং ভাল লোক ছিলেন। তিনি ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন।

3.4 'স্বর্গের দরজাতেও ঠিক এই কথাই লেখা রয়েছে' - কোন্‌ কথা? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উ:-অডিট অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা হার দাম গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। পুরুষ মানুষ হয়ে অংক পারে না এমন কল্পনাও করতে পারেন না মাস্টারমশাই। তিনি বলতেন প্লেটোর দরজায় কি লেখা ছিল জানিস? যে অংক জানেনা এখানে তাঁর প্রবেশ নিষেধ। স্বর্গের দরজাতেও ঠিক ওই কথায় লেখা রয়েছে। আলোচ্য গল্পের কথকের বিভীষিকা মাস্টারমশাই ছিলেন নচ্ছোড় স্বভাবের। যেকোন উপায়ে তিনি ছাত্র দের অংক শেখাতে চাইতেন। অংকে আশ্চার্য পরিষ্কার ছিল তার মাথা। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করে না পারা ছাত্রদের জটিল অংক তিনি নিমেষেই করে দিতেন। যারা অংক করত না তাদের বলতেন পুরুষে অংক পারে না। এর পাশাপাশি প্রচন্ড চোখে চোখে জল এনে এরূপ মন্তব্য করতেন।

3.5 'আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে'। - কোন্‌ বাণিজ্য-তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন?

উ:- বাণিজ্য ও ব্যবসার সঙ্গে লাভ-লোকসানের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। জীবিকার জালে আটকে পড়েছে আমাদের জীবন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগর বানিজ্যতে নিয়ে পাড়ি দিতে দূর দেশে। পণ্যের আমদানি রপ্তানি সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান চলত। খুবই সাধারণ সওদাগর নন তাই তার চরিত্রে রয়েছে সাহিত্য সম্ভার। সেই স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য তৈরীর প্রসঙ্গ এসেছে।

4. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি 150 শব্দ) :

 

4.1 'নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।' - এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলোচনা করো।

উ:- চন্ডীমঙ্গলের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত অভয়ামঙ্গল থেকে নেয়া কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে অবিরাম সাতদিনের বৃষ্টিপাতের সঙ্গে চলে ঘরের তান্ডব। সমগ্র দেশ জলে প্লাবিত হয় শস্য ক্ষেতের বিপুল ক্ষতি হয়। বৃষ্টিতে প্রজাতির ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণের সঙ্গেই অসংখ্য শিল পরতে থাকে। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় ছেলের আঘাতে ঘরের চাল ভেঙে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে পবন পুত্র বীর হনুমান ঝড় উঠবে কলিঙ্গদেশ দূরে ধ্বংসলীলা চালান। তার দাপটে মঠ অট্টালিকা সব ভেঙে খান খান হয়ে যায়। দেবীর আদেশের নদনদী কলিঙ্গদেশের দিকে ধেয়ে আসে। বিরাট বিরাট ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। জলে-স্থলে একাকার হয়ে গিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সাপ আশ্রয় হারিয়ে ফেলে ভেসে বেড়ায়। কলিঙ্গদেশের স্থলভূমি জলে পূর্ণ হয়। প্রজারা শঙ্কিত হয়ে পরিত্রান পাওয়ার জন্য ঋষি জৈমিনি স্মরণ করতে থাকে। ঘন কালো মেঘের আড়ালে সূর্য মুখ লুকায়। হলে প্রজাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। সাতদিনের অবিরাম বৃষ্টি তে শংকিত ও বিপদগ্রস্ত কলিঙ্গদেশের প্রজাদের দুর্দশার চরমে ওঠে।

4.2 'সেই আংটি মহারাজের কোনো প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে।' - মন্তব্যটির প্রসঙ্গ নির্দেশ করে আংটিটি দেখে মহারাজের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা বুঝিয়ে দাও।

 

উ:-কালিদাসের ধীবর বৃত্তান্ত নামক রচনায় ভিভোর একটি রুই মাছকে টুকরো করে কাটার সময় সেটির পেটের ভিতর থেকে একটি আংটি পায়। মণিখচিত এবং রাজার নাম খোদাই করা এই আংটি দেখে নগর রক্ষায় নিযুক্ত রাজার শ্যালক এবং রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করেন। ধীবরের ব্যাখ্যা তারা শুনতে চান না। রাজার শ্যালক রাজাকে সমস্ত ঘটনা জানাতে রাজা প্রাসাদে যায়। কিন্তু দেখা যায় ধীবরের সব কথাই সত্য। এই পর্বে রাজা আংটিকে স্বচক্ষে দেখেন। দুর্বাসা মুনির কথা মত এই স্মৃতিচিহ্ন দেখেই তার শকুন্তলার কথা মনে পড়ে যায়। রাজপ্রাসাদ থেকে ফিরে রাজশ্যালক এসব কথায় রক্ষীদের উদ্দেশ্য বলে। আংটিটি দেখে স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজা মুহূর্তের মধ্যে বিহার ভাবে চেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় তার মনে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয় তার ফলে তিনি জীবনকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ পুরস্কার হিসাবে দেন। আংটিটি রাজার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার রাজার এই আচরণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। আংটিটি মূল্য নয় তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতি এক্ষেত্রে রাজাকে অনুভূতিপ্রবণ করে তুলেছিল।

 

4.3 'ইলিয়াস' গল্প অনুসরণে ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উ:- লিও তলস্তয় রচিত ইলিয়াস নাম গল্পটির নাম চরিত্রই কাহিনীর প্রধান চরিত্র। তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য গুলি কোন উন্মোচনের মাধ্যমে এই কাহিনীটি পরিণতি লাভ করেছে।

পরিচয় : ইলিয়াস ছিল উপদেশের বসবাসকারী বাসকির জনগোষ্ঠীর ভুক্ত এক ব্যক্তি। তার দুই পুত্র এবং এক কন্যা ছিল। স্ত্রীর নাম ছিল শাম শেমাগি। জীবনের প্রাথমিক পর্যায় আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও পরবর্তীকালে অক্লান্ত পরিশ্রমে এসে বিত্তশালী হয়ে ওঠে। আবার জীবনের শেষ পর্যায়ে ভাগ্যের বিরম্বনায় সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে ভাড়াটে মজুরের জীবন কাটাতে শুরু করে।

সুব্যবস্থাপক: সু ব্যবস্থাপক ইলিয়াস ব্যবস্থাপনার গুনে এক সামান্য বাসকির থেকে হয়ে ওঠে বিপুল সম্পত্তির অধিকারী।

কঠোর পরিশ্রমী এবং কর্মনিষ্ঠ : 35 বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্মের প্রতি নিষ্ঠা থেকেই ইলিয়াসের 200 ঘোড়া 200 গরু মোষ ভেড়া এবং বহু ভাড়াটে মুজুরের মালিক এ পরিণত হয়। এমনকি শেষ জীবনে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে হুজুরের মত কাজ করার সময় ও কঠোর পরিশ্রম করে মনিবকে তুষ্ঠ রাখত সে।

অতিথি পরায়ণ : প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইলিয়াসের বাড়িতে দূর-দূরান্ত থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করেন। সকলকে স্বাগত জানিয়ে চা শরবত মাংস দিয়ে অতীতের যথাযথ আপ্যায়ন করেন ইলিয়াস। তার অতিথিপরায়নতা এর কথা স্মরণ করেই প্রতিবেশী মহাম্মদ শাহ তাকে সেই জীবনে আশ্রয় দিয়েছিল।

কঠোর অথচ কর্তব্য পরায়ন : ইলিয়াস চারিত্রিক দিক থেকে অত্যন্ত কঠোর ছিল বলেই ছোট পুত্র হত্যার ঝগড়াটে স্ত্রী তার আদেশ অমান্য করায় তাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু সেই বিতাড়িত পুত্রকেই একটি বাড়ি এবং গৃহপালিত পশু দান করে সে তার কর্তব্য পরায়ন পরিচয় দিয়েছেন।

মহানুভব : জীবনের অন্তিম পর্যায়ে সমস্ত সম্পত্তি ও সঞ্চয় হারিয়ে সর্বহারা হয়েও ইলিয়াস যেভাবে প্রকৃত সত্য উপলব্ধির কথা বলেছে, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত স্বরূপ ও শিক্ষানিয়।

4.4 'আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে।' - বক্তা কে? কেন তাঁর এমনটি মনে হয়েছে?

উ:-  নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটগল্পে উক্তিটির প্রবক্তা হলেন কতক সুকুমারের স্কুলের অঙ্কের মাস্টার মশাই। কর্মজীবনে মাসে মাসে ছিলেন তার ছাত্রদের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা। অঙ্কিতার পাণ্ডিত্য ছিল প্রশ্নাতীত। যেকোন জটিল অংক একবার মাত্র দেখে সব সমাধান করে ফেলতে পারতেন। ছাত্ররা অংক না পারলে তিনি ভয়ানক রেগে তাদের প্রহার করতে। একজন ছাত্র তাকে যমের মত ভয় পেতে এবং তার ও অংকের হাত থেকে রেহাই পাবার দিন গুনতো। তাই এক অংকে দুর্বল ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে লেখক হয়ে একটি বাল্যস্মৃতি তে মাস্টারমশাই সম্পর্কে এই কথাগুলি লিখেন। সঙ্গে মাস্টারমশাইয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন যে এইভাবে জোর করে ভয় দেখিয়ে মেরে ছাত্র দের কোন বিষয় শেখানো যায় না। সে দিক থেকে বিচার করলে মাস্টারমশাইয়ের শিক্ষা পদ্ধতিতে ভুল ছিল। ঘটনাক্রমে মাস্টারমশাই সুকুমারের এই লিখাটি পড়ে ছিলেন। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে অতো রাগি মানুষ কি একটুও নারীদের ছাত্র দের যাবতীয় সমালোচনাকে উদাহরণে সন্তানের অধিকার বলে গ্রহণ করেছিলেন। এত বছর পরে একজন ছাত্র ও তার কথা মনে করে পত্রিকায় গল্প লিখেছে এটাই সরলমতি মানুষটির কাছে প্রবল আনন্দ ও গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছাপার অক্ষরে নিজের নামটি দেখেই তার মনে হয়েছিল যে ছাত্র তাকে অমর করে দিয়েছে। ছাত্রটি সত্যিই তাকে আঘাত করতে পারে এটা তার কল্পনাতেও ছিল না। আসলে মাস্টারমশাই মানুষটি নিজের আদ্যান্ত ছাত্রদরদি এবং সৃজনশীল। ছাত্রদের জোর করে অঙ্কুশ এগুলোর পেছনে তার সেই ছাত্র দের মঙ্গল কামনা এবং স্নেহের ফল্গুধারায় কাজ করতো।

4.5 'নোঙর গিয়েছে পরে তটের কিনারে।' - উদ্ধৃতিটির আলোকে ।নোঙর' কবিতায় কবির আক্ষেপ কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা নির্দেশ করো।

উ:- কবি অজিত দত্ত রচিত নোঙ্গর কবিতার হলো জীবনের বিভিন্ন বন্ধন এবং স্থিতিশীলতার প্রতীক।

কবি নৌকা নিয়ে যেতে চান সুদূর সাত সাগরের পাড়ে। বন্ধু নয় বাস্তব জীবন থেকে অনেক দূরে কল্পনা লোকে পাড়ি দিতে চান কবি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগরদের মত কবি ভাসিয়ে দিতে চান তার সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ণ নৌকা। রোজকার কর্মময়, সহস্য বন্ধন বই জীবন থেকে ছুটি নিয়ে কোভিদ কল্পনা প্রবণ মন অজানা অচেনা দেশে পাড়ি দিতে চায়। কোভিদ আশঙ্কা সাত সমুদ্র পাড়ি দেবার। বাস্তব জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত কর্মময় জীবনের একঘেয়েমি সংসারের মায়া বন্দর অতিক্রম করে কোভিদ নৌকা দিয়ে বেরিয়ে পড়তে চান কোন সব পেয়েছির দেশে সন্ধানে। কিন্তু চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে থেকে যায় বিস্তর ব্যবধান। কোভিদ ভাবুক মন মানতে চায় না। উদার উন্মুক্ত প্রকৃতির ডাকে মন চাইলেও কবি সাড়া দিতে পারেনা। কর্মময় সাংসারিক জীবনের বন্ধন থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে। স্রোতের গতি কোভিদ বন্ধনকে বিদ্রূপ করে কিন্তু কবি নিরুপায় অসহায়। সবিতা এই ডাটা না জেনেও তিনি অবিলম্বে টেনে চলেছেন। তাই কবির তীব্র আক্ষেপ -

"তরী ভরা পণ্য নিয়ে পাড়ি দিতে সপ্তসিন্ধু পারে,

নোঙর কখন জানি পড়ে গেছে তটের কিনারে।

সারারাত তবু দাঁড় টানি,

তবু দাঁড় টানি।"

এভাবেই নম্বর কবিতাটিতে কোভিদ আশঙ্কার অপূর্ণতা আক্ষেপের বেদনায় ধূসর হয়ে উঠেছে।

5. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

5.1 শ্লোক > শোলোক - এক্ষেত্রে ঘটেছে

(ক) আদিস্বরলোপ

(খ) আদিস্বরগম

(গ) মধ্যস্বরাগম

(ঘ) মধ্যব্যঞ্জনাগম। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

উ:- (গ) মধ্যস্বরাগম

5.2 'অ্যা' হলো একটি

(ক) সংবৃত স্বরধ্বনি

(খ) বিবৃত স্বরধ্বনি

(গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি

(ঘ) অর্ধসংবৃত স্বরধ্বনি। (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

 উ:-  (গ) অর্ধবিবৃত স্বরধ্বনি

5.3 বিদেশী উপসর্গযোগে উৎপন্ন একটি শব্দ হলো -

(ক) আমজনতা

(খ) প্রতিদ্বন্ধ্বী

(গ) অনশন

(ঘ) দুর্জয় । (ঠিক বিকল্পটি বেছে নিয়ে লেখো)

উ:-   (ক) আমজনতা

5.4 মৌলিক ও সাধিত  ধাতুর একটি পার্থক্য লেখো

উ:-  মৌলিক ও সাধিত ধাতুর মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য হল - মৌলিক শব্দ বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় যেমন পিতা, তবে সাধিত শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় যেমন পিতা ও মাতা।

5.5 ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও।

উ:-  চল্ (গমন করা) + ই (নীচ) = চালি

5.6 অনুসর্গের অন্য দুটি নাম উল্লেখ করো।

উ:-   (১) কর্মপ্রবচনীয়, (২) পরসর্গ

6. ভাবসম্প্রসারণ করো :

'ধর্মের নামে মহ এসে যারে ধরে

অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।'

উ:-  মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে। যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না কেন। কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে। প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে। মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া। যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে। জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয়। তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয়। আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না।

 


 

 

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url