CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY PART 3 -2020(NEW) // ডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3 দশম শ্রেনী HISTORY /ইতিহাস

 

CLASS 1MODEL ACTIVITY TASK HISTORY PART 3 -2020(NEW)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 3

দশম শ্রেনী

HISTORY /ইতিহাস



1.টিকা লেখ

ক) হিন্দু মেলা টীকা লেখো ?


উ:- ভারতীয় জাতীয় জাগরণে বাংলার কয়েকটি সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল যার মধ্যে নবগোপাল মিত্রের চৈত্র মেলা যার পরে নাম হয় হিন্দু মেলা ছিল অন্যতম। 1867 খ্রিস্টাব্দে রাজনারায়ণ বসু, নবগোপাল মিত্র এটি গঠন করেন এবং এর স্থায়িত্ব ছিল প্রায় 13 বছর।
উদ্দেশ্য:- হিন্দু মেলার প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য গুলি হল:
1. দেশীয় ভাষা চর্চা করা।
2 স্বদেশী ভাবধারায় দেশবাসীকে উদবুদ্ধ করা ।
3. হিন্দু জাতিকে জাতীয়তা আদর্শে ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা।
4. এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার করা।
5. জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে মর্যাদা দেওয়া।
6. সাধারণ মানুষের মধ্যে হিন্দু ধর্মের অতীত গৌরব গাঁথা ছড়িয়ে দেওয়া।
কর্মসূচি:- এই সংগঠনের কর্মসূচির আওতায় ছিল লাঠি, লেয়ার খেলা, প্রদর্শনী, দেশাত্মবোধক সংগীত, বক্তৃতা প্রভৃতি। এই সকল কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতে জাতীয়তাবাদের বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
বৈশিষ্ট্য:- এর বৈশিষ্ট্য গুলি হল

1. এই প্রতিষ্ঠানটি এর সকল সদস্যই ছিল হিন্দু।

2. এই মেলায় স্বরচিত কবিতা, সংগীত পরিবেশিত হতো।

উদাহরণস্বরূপ 14 বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার হিন্দু মেলার উপহার কবিতাটি এখানে আবৃত্তি করে শুনিয়েছিলেন।

সদস্য সমূহ- হিন্দু মেলা সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সদস্যগণ ছিলেন রাজনারায়ণ বসু, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, পিয়ারিচরণ সরকার , রমানাথ ঠাকুর, প্রমুখ

খ) বসু মন্দির টিকা লেখো ?

উ:-ভূমিকাঃ- 1917 খ্রিস্টাব্দে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রধানত, জীব এবং জড় বস্তুগুলির বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করা ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এটি 'বোস ইন্সটিটিউট’ নামেও পরিচিত ছিল।

প্রতিষ্ঠাঃ- 1915 খ্রিস্টাব্দে জগদীশচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে 1917 খ্রিস্টাব্দে বসুবিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বিজ্ঞানের নির্দিষ্ট শাখায় মৌলিক গবেষণা করার জন্য তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

পাঠ্যবিষয়ঃ- এখানে পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা ছাড়াও মাইক্রো বায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, পরিবেশ বিদ্যা, অ্যানিম্যাল ফিজিয়োলজি, বাইয়োইনফরমেটিক্স প্রভৃতি বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণার সুযোগ আছে। এমনকি এখানে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা এবং গবেষণা করা যায়। অবদান ও বসুবিজ্ঞান । অবদান ও বসুবিজ্ঞান মন্দির বিভিন্ন বিষয়ে তার অবদান রাখে ।যে টিকা আবিষ্কারে কিংবা উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে তার প্রমাণে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তা ছাড়া আধুনিক সলিকিউলার বায়োলজির সূচনা হয় এখানে।

আয়োনিসিটাল ফসফেট চক্রের আবিষ্কার এখানেই ঘটেছিল। জগদীশচন্দ্র বসুর বহু পাণডুলিপি ও মিউজিয়াম এখানে রয়েছে। এখানকার কুতী গবেষকেরা এখান থেকে এস, এস, ভাটনগর পুরস্কার, হোমি জাহাসির ভারা ফেলাশিপ প্রভূতি পেয়ে থাকেন। আর্থিক সাহায্য ও প্রাথমিক পর্বে জগদীশচন্দ্র বসু তার পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। নবম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই প্রতিষ্ঠানকে 30 কোটি টাকার তহবিল দান করা হয়।

গ) তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার

উ:- ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ১৭; ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়। সর্বাধিনায়ক হন বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। এই সরকারের বিভিন্ন বাহিনী গঠিত হয়। এই জাতীয় সরকার সে সময় পৃথক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল। আইন-শৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রচার সরকারি বিভাগে পৃথক পৃথক সচিব নিয়োগ করা হয়েছিল। আর এর সবার উপরে ছিলেন সর্বাধিনায়ক বিপ্লবী সতীশচন্দ্র সামন্ত। অর্থ সচিব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় কুমার মুখোপাধ্যায় এবং সমর ও রাষ্ট্রে সচিব ছিলেন সুনীলকুমার ধাড়া। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অস্তিত্ব। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে গ্রেফতার বরণের আগে পর্যন্ত সতীশচন্দ্র এই সরকার পরিচালনা করেছিলেন।

2. ভারতমাতা চিত্র কিভাবে পরাধীন ভারতে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল?

উঃ- ভারতে নব্যবঙ্গীয় চিত্রকলার জনক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক স্বদেশী আন্দোলন কালে অবস্থিত ভারতমাতা চিত্রটি বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ, যেমন -

প্রথমত, এই চিত্রের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদকে মাতৃত্বের ধারণার সঙ্গে যুক্ত করা হয়, কারণ গেরুয়া বসন পরিহিত চারহাত যুক্ত ভারতমাতা ছিল মানবীয় ও দেবী শক্তির বহিঃপ্রকাশ।

দ্বিতীয়ত, এই চিত্রটিতে ভারতমাতার চার হাতে রয়েছে ভারতীয় ঐতিহ্যের চার উপাদান, যথা - ডান হাত দুটিতে রয়েছে যথাক্রমে বেদ ও ধানশীষ যা ভারতীয় জাতীয়তাবাদ সঞ্চরে বিশেষ ভূমিকা সঞ্চার করেছিল।

তৃতীয়ত, পরবর্তীকালে জাতীয় আন্দোলন পরিচালনা কালে অস্ত্রবিহীন ভারতমাতার ছবিকে আন্দোলনকারীরা হাতে ধরে রেখে আন্দোলনের অভিমুখ সূচিত করত।

3. ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার প্রসারের সম্পর্ক সমানুপাতিক - উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগে বাংলার শিক্ষা বিস্তার প্রসঙ্গে উক্তিটির ব্যাখ্যা করো।

উঃ- ভূমিকা :- অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে ইউরোপের খ্রিষ্টান মিশোনারীদের মাধ্যমে বাংলার বিভিন্ন স্থানে ছাপাখানার প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলার শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে এই ছাপাখানা গুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ।

প্রেক্ষাপট:- বঙ্গদেশ আধুনিক ছাপাখানার প্রতিষ্ঠিতার আগে হতে লেখা বইপত্রের দ্বারা শিক্ষাগ্রহণের কাজ চলত , এই বইয়ের মূল্য খুব বেশি হতো বলে এইসময় নিম্নবিত্ত দরিদ্র সমাজে শিক্ষার প্রসারে বিশেষ সুযোগ ছিল না তাই এই সময়ে সমাজের অর্থাৎ ছাপা বইপত্রের বাজারে আসার আগে বাংলার শিক্ষার প্রসার ছিল খুবই সীমাবদ্ধ ।
ছাপা বইয়ের বাজার :- উনিশবিংশ শতকের শুরু থেকে ছাপাখানা ছাপাই প্রচুর সংখ্যক বই পত্র আসতে শুরু করল । একদিকে বইয়ের যোগান ছিল বিপুল অন্যদিকে এগুলো দামেও ছিল সস্তা । ফলে দরিদ্র অসাধারণ শিক্ষার্থী ও পাঠকের হাতে অতি সহজে ছাপাখানার ছাপা বইপত্র পৌঁছে যায়, ফলে বাংলার প্রচুর শিক্ষাবিস্তার শুরু হয় ।

পাঠ্য পুস্তকের সরবরাহ :- ছাপাখানা গুলি মুদ্রিত বইপত্র বিনামূল্যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী দের হতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় , ফলে শহর ও গ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যেসব সাধারণ মানুষ বিদ্যা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিলো তাদের হাতে ছাপাখানার মুদ্রিত পাঠ্য বই পৌঁছে যায় ।

উপসংহার :- পরিশেষে বলা যায় যে মুদ্রণ বিপ্লব এর ফলে শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যের প্রসার ও ঘটে বাংলার মুদ্রণ বিপ্লব এর ফলে বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তন সম্ভব হয় এইভাবে ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার বিস্তার সমান্তরালভাবে চলতে থাকে ।

 

4. একটি ভারতের মানচিত্রে প্রদত্ত স্থানগুলি চিহ্নিত করো — মিরাট, এলাহাবাদ, ব্যারাকপুর, দিল্লি, ঝাঁসি, শ্রীরামপুর, বোলপুর ?

                            

 

 

 

 

 

নীচে Class 10-এর অন্যান্য বিষয়ের Model Activity Task গুলি সরাসরি Download করে নাও

 

CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK MATH PART 3

Click Here to Download

CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK LIFE SCIENCE PART 3

Click Here to Download

CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK PHYSICAL SCIENCE PART 3

Click Here to Download





Next Post Previous Post
1 Comments
  • Unknown
    Unknown ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ এ ১১:১৫ AM

    Modelactivi part 5

Add Comment
comment url