2ND SERIES CLASS 9 BENGALI
MODEL ACTIVITY TASK 2021 Part 5
QUESTION WITH ANSWER (AUGUST)
নবম শ্রেণি বাংলা
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ পর্ব ৫ (দ্বিতীয় সিরিজ)
প্রশ্ন ও উত্তরসহ (আগস্ট)
১.
কম-বেশি
১৫টি
শব্দের
মধ্যে
উত্তর
লেখো
:
১.১ 'হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন' - কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
১.২ 'এরই মাঝে বাংলার প্রাণ' - কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?
১.৩ 'এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে' - পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী?
১.৪ 'যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া' - সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
১.৫ 'তোমার বাড়ি কোথায়?' - রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?
২.
প্রসঙ্গ
নির্দেশসহ
কম-বেশি
৬০টি
শব্দের
মধ্যে
উত্তর
লেখো
:
২.১ 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।' - প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?
২.২ 'পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো' - কোন্ কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
২.৩ 'মরদ কি বাত কা দাঁত' - স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন?
২.৪ 'ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।' - কোন্ পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে?
৩.
নীচের
প্রশ্নগুলির
উত্তর
নিজের
ভাষায়
লেখো
(কম-বেশি
১৫০
শব্দে)
:
৩.১ 'বাঙালি চরিত্রে বিদ্রহ বিদ্যমান।' - 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
৩.২ 'আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা' - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
৩.৩ 'চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
৩.৪ 'নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না' - পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
৩.৫ 'তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে' - কাদের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উত্তরসমূহ
১. কম-বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
|
১.১ 'হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন' - কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন?
উঃ- ‘হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন – কোন চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন? উত্তর:-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলীর রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত। ভাষার নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা৷ কিন্তু লেখক দেখেছেন ভাষার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন।
|
১.২ 'এরই মাঝে বাংলার প্রাণ' - কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন?
উঃ- কবি জীবনানন্দ দাশ গ্রামবাংলার এক সন্ধে নামার মুহূর্তকে কবিতায় তুলে ধরেছেন|বাংলার নরম ধানের গন্ধ, কলমি,চাঁদা -সরটিদের মদ ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, কিশোরীর চাল ধোঁয়া ভিজে শীতল হাত,কিষোরের
পায়ে দলা মুথাঘাস আর লাল লাল বঁট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে কবি
বাংলার প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পেয়েছেন।
|
১.৩ 'এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে' - পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি
কী?
উঃ- স্বামী বিবেকানন্দের দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস
নোবল-এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।
|
১.৪ 'যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া' - সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?
কবি নীরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তীর লেখা কবিতা আবহমান এ উঠানে দাঁড়ালে দেখা যায় নানান লতানো ছের মাচা, নানান ফুলের গাছ, প্রকৃতির রূপ, দিনের সূচনা ও সন্ধ্যার আগমন ইত্যাদি।
|
১.৫ 'তোমার বাড়ি কোথায়?' -
রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল?
উঃ-
রাধারানী গল্পে
অজানা অচেনা লোকটি বাড়ি কোথায় প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তরে জানায় সে শ্রীরামপুরে থাকে।
|
২. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
|
২.১ 'সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল।' - প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন?
উঃ- সংস্কৃত শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত শব্দ এবং নতুন সৃষ্ট শব্দের সাহায্যে। নতুন শব্দসৃষ্টির জন্য সংস্কৃত প্রথম ধার করার কথা না ভেবে আপন ভাণ্ডারে অনুসন্ধান চালায়। সেখানকার কোনো ধাতু বা শব্দের অদলবদল ঘটিয়ে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়ে নতুন শব্দটি বানিয়ে নেওয়া যায় কিনা খুঁজে দ্যাখো তাই সেভাবে অন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল নয় বলেই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলে মনে করেছেন।
|
২.২ 'পৃথিবীর কোনো পথ এ কন্যারে দেখে নিকো' - কোন্ কন্যার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে?
উঃ- ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ আলােচ্য উদ্ধৃতিতে কেশবতী কন্যা অর্থাৎ বাংলার সান্ধ্যকালীন সৌন্দর্যকে দেখার কথা বলা হয়েছে। |
২.৩ 'মরদ কি বাত কা দাঁত' - স্বামী বিবেকানন্দ কেন এই প্রবাদটি ব্যবহার করেছেন?
উঃ- স্বামীজি বলেছেন, ভারতবর্ষের কাজে যোগ দেওয়ার আগে মিস নোবল যেন গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করেন। তবে সেই কাজে বিফল হলে বা বিরক্তি ভাব উপস্থিত হলেও, স্বামীজি তাঁর পাশে থাকবেন। এ ছাড়াও বেদান্ত ধর্মের প্রতি আস্থা না থাকলে কিংবা ভারতবর্ষের কাজ না-করলেও, স্বামীজি তাঁর প্রতি আস্থা হারাবেন না। কারণ হিসেবে একটি প্রচলিত হিন্দি প্রবাদ ব্যবহার করে স্বামীজি লিখেছেন, ‘মরদ কি বাত হাতি কা দাঁত একবার বেরুলে আর ভিতরে যায় না।' অর্থাৎ খাঁটি লোকের কথার কোনো নড়চড় হয় না।
|
২.৪ 'ফুরয় না সেই একগুঁইয়েটার দুরন্ত পিপাসা।' - কোন্ পিপাসাকে, কেন দুরন্ত বলা হয়েছে?
উঃ- কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘অন্ধকার বারান্দা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত আবহমান’ কবিতা থেকে উপরিউক্ত চরণটি নেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় ‘পিপাসা বলতে সেইসব প্রবাসী বাঙালিকে বোঝানো হয়েছে, যারা ‘ছায়া সুনিবিড় শান্তির নীড়’ এই বাংলার প্রকৃতি ও গ্রামজীবনের অনাবিল সৌন্দর্য উপভোগের নেশায় বারেবারে ফিরে আসে। জন্মভূমি ছেড়ে যাকে চলে যেতে হয়েছে বিদেশ-এ, সে মাতৃভূমির প্রতি নাড়ির টান অনুভবু করে অনবরত।তাই পিপাসাকে দুরন্ত বলা হইয়েছে।
|
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো (কম-বেশি ১৫০ শব্দে) :
|
৩.১ 'বাঙালি চরিত্রে বিদ্রহ বিদ্যমান।' - 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কীভাবে সেই বিদ্রোহের
পরিচয় দিয়েছেন?
উঃ- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাটিতে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের ভাষার কথা বলেছেন। সেই ভাষা প্রসঙ্গে আলোচনায় বাঙালি চরিত্রের বিশেষ বাঙালি বৈশিষ্ট্যের দিকটি তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলেছেন, তা হল বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাব। বাঙালি চিরদিন কী রাজনীতি, কী ধর্ম, কী সাহিত্য সর্বক্ষেত্রে সত্য-শিব-সুন্দরের সন্ধান করে গিয়েছে। এবং যখন যেখানে তার সন্ধান পেয়েছে তখনই কেবল সৌহণ করেছে। সেক্ষেত্রে বাঙালি কোনোদিন আপস সণ করেনি। বরং কেউ যদি ‘গতানুগতিক পন্থা বা প্রাচীন ঐতিহ্য'-এর দোহাই দিয়ে প্রচেষ্টায় বাধা দিতে চেয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে বাঙালি বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। শুধু তাই নয়, বিদ্রোহের সমাপ্তি সেখানেই ঘটেনি কারণ যখন বাঙালি দেখেছে যে সে বিদ্রোহ উহ্ঙ্খলতায় পরিণত হয়েছে তখন তার বিরুদ্ধে আবার বিদ্রোহ করেছে। বাঙালি চরিত্রে যে বিদ্রোহী সত্তার মনোভাব চিরজাগ্রত তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন লেখক। তিনি এ প্রসঙ্গে আর একটি কথা বলেছেন যে, এই বিদ্রোহ কেবল বাঙালি হিন্দুর ভিতরে সীমাবদ্ধ নয়, বাঙালি মুসলমানও এই কর্মে খুবই তৎপর। তাই তিনি বলেছেন, ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।”
|
৩.২ 'আসিয়াছে শান্ত অনুগত/বাংলার নীল সন্ধ্যা' - 'আকাশে সাতটি তারা' কবিতা সেই বিদ্রোহের পরিচয় দিয়েছেন?
উঃ- চিত্ররূপময় কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘রূপসী বাংলা কাব্যের অন্তর্গত ‘আকাশে সাতটি তারা চতুর্দশপদী কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ সময়ের আবহমান হৃদয় থেকে বাংলাদেশের একটি সন্ধ্যাকে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচনা করেছেন। প্রকৃতিপ্রেমী কবি জীবনানন্দ লক্ষ করেছেন বাংলার পল্লিপ্রকৃতির এই বিরল সৌন্দর্য থেকে বঞ্চিত বাকি পৃথিবী। কবি আর কোথাও দেখেননি সন্ধ্যার এমন মোহময় রূপ কোনো কেশবর্তী কন্যার অজস্র চুলের মতো আবেশে আচ্ছন্ন করেছে হিজলকাঁঠাল কিংবা জামগাছকে| কবি নানা অনুষঙ্গে অনুভব করেছেন সন্ধ্যার স্নিগ্ধ গন্ধ। কখনও নরম ধানে, কলমির ঘ্রাণে, আবার কখনও হাঁসের পালক, শর, পুকুরের জল, সমাহিত রূপের। প্রকৃতির এই সন্ধ্যার রূপ পরিবেশিত হয়েছে ‘আকাশে সাতটি তারা কবিতায়, সেখানে অনাড়ম্বর, বৈভবহীন আয়োজনে রয়েছে শুধুই সমাহিত শান্তির আশ্বাস যা অতুলনীয় ঐশ্বর্যে সমৃদ্ধ করেছে।
|
৩.৩ 'চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও।
‘চিঠি' অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও। স্বামীজি চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশি ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর শিমস নােবেল এর কথা লিখেছেন|তাঁকেই তিনি চিঠিটি লিখেছেন। মিস মার্গারেট ই নােবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শে ভারতের নারীসমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতার বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।
মিস হেনরিয়েটা মুলার স্বামীজিকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলারের বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসাবে ছিলেন। নিস মুলার আজন্ম নেত্রী মনােভাবাপন্ন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজ ও অস্থিরচিত্ত রয়েছে; তবে তিনি আবার সহৃদয় ও অমায়িক।
মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন।তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তাঁর স্বামী ক্যাপটেন জে. এইচ. সেভিয়ার। এই সেভিয়ার দম্পতিই একমাত্র ইংরেজ যাঁরা এদেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এঁদের কোনাে নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই।
স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারি। স্বামীজির দুজন বন্ধু হলেন মিস ম্যাকলাউড ও বস্টনের মিসেস বুল। তাঁরা খুবই উপকারী। স্বামীজিকে নানান কাজে সাহায্য করেছেন ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনে অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন।
|
৩.৪ 'নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না' - পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উঃ- উদ্ধৃতাংশটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতার অংশ বিশেষ। লােককাহিনির গল্প শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নটে গাছটি মুড়িয়ে যায়। তবে কবিতায় নটে গাছটি মুড়িয়ে যায় না, কিন্তু বুড়িয়ে যায়। অর্থাৎ একটা চিরন্তন প্রবহমানতার কথা এখানে ফুটে উঠেছে। কালের নিয়মে মানুষ শৈশব থেকে বার্ধক্যে উপনীত হলেও তার প্রকৃতিলালিত আজন্ম-চেনা উঠান-লাউমাচা-কুন্দফুল সাধ্য নদীর হাওয়ায় পরিপূর্ণ মাতৃভূমির স্বরূপ; কখনও স্মৃতিপট থেকে মুছে যায় না। তাই ব্যক্তির বার্ধক্য যে শৈশবস্মৃতিকে নষ্ট করতে পারে না তা বোঝাতেই এমন উক্তি।
|
৩.৫ 'তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে' - কাদের কথা বলা হয়েছে? পাঠ্যাংশ অনুসরণে তাদের দারিদ্র্য এবং নির্লোভতার প্রসঙ্গ আলোচনা করো।
উঃ- আলোচ্য উদ্ধৃতিটি সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী উপন্যাসের অন্তর্গত প্রথম পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত।এখানে রাধারাণীর কথা বলা হযেছে।
পিতার অকস্মিক মৃত্যুতে সহায়-সম্বলহীনা রাধারাণী ও তার মা সম্পত্তিসংক্রান্ত মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হাট ভেঙে যায়। মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে মামলায় পরাজিত ও সর্বস্বান্ত হয়ে, ভিটেমাটি ছেড়ে এক নিতান্ত কুটিরে নিদারুণ দারিদ্র্যে দিনযাপন করতে থাকে। রথের পূর্বে রাধারাণীর মা গুরতর পীড়িতা হলে তার পথ্যের সংস্থানে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে মাহেশের রথের হাটে বিক্রয় করতে যায়। কিন্তু প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হদঙে যায়। মালা বিক্রয়ে ব্যর্থমনোরথ হয়ে রাধারাণী যখন অশ্রুসজল চোখে বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়, তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটে এক আগন্তুকের অচেনা সেই আগন্তুক রাধারাণীর সঙ্গে কথোপকথনকালে তার অসহায়তার কথা জেনে মালা কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। রাধারাণী দ্বিধাগ্রস্ত হয় উপকারী সেই ব্যক্তির কাছ থেকে দাম গ্রহণে৷ শুধু তাই নয়, সেই ব্যক্তি দয়াপরবশ হয়ে মালার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করেন। রাধারাণীর জন্য শাড়ি কিনে পাঠান এমনকি একটা নোটও ফেলে যান তাদের বাড়িতে কিন্তু ফেলে যাওয়া নোটটি তারা ভাঙায় না|অর্থের প্রয়োজন তাদের ছিল ঠিকই কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত নয়। তারা বর্তমানে দরিদ্র, অসহায় বলেই রুক্মিণীকুমার দান গ্রহণ করেছে আর সেই দানে তাদের সমস্যার সমাধানও হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থের প্রতি তাদের কোনো লোভ ছিল না বলেই সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তারা তাঁর সন্ধান করেছিল।
|