2ND SERIES] CLASS 8 HISTORY MODEL ACTIVITY TASK 2021 Part 5 (AUGUST)
অষ্টমশ্রেণি ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ পর্ব ৫ (দ্বিতীয় সিরিজ)প্রশ্ন ও উত্তরসহ (আগস্ট)
CLASS 8 HISTORY MODEL ACTIVITY TASK 2021 Part 5
1.ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখ
ক স্তম্ভ |
খ স্তম্ভ |
|
1.1 |
আবয়াব |
বেআইনি কর |
1.2 |
সাহুকার |
মহাজন' |
1.3 |
দাদন |
অগ্রিম অর্থ |
1.4 |
রায়ত |
কৃষক |
2. সঠিক
তথ্যদিয়ে নীচের ছকটি পূরন কর
বিদ্রোহ |
এক জন নেতার নাম |
কারন(যেকোন একটি) |
নীল
বিদ্রোহ |
দিগম্বর বিশ্বাস |
বিঘা প্রতি দুই টাকা দাদন
বা অগিম দিয়ে নীল চাষে বাধ্য করা |
বারাসাত
বিদ্রোহ |
তীতুমীর বা মীর নিশার আলি |
স্থানীয় জমিদার ও ইংরেজ
কর্মচারীদের কৃষকদের উপর অন্যায় ও অত্যাচার |
সাওতাল
বিদ্রোহ |
সিধু |
স্বাধীন সাওতালদের জমির
উপর অধ্যাধীক কর চাপানো হয়েছিল্ /বহিরাগত দিকুদের দ্বারা সাঁওতালদের ঠকানো(কেনারাম/বেচারাম) |
মুন্ডা
বিদ্রোহ |
বিরসা মুন্ড |
খুৎকাঠি অর্থাৎ মুন্ডাদের জমির যৌথ মালিকানার
অবসান ঘটিয়ে ব্যক্তিমালিকানায় পরিনত করা হয়েছিল। |
3.
3.1 পন্ডিতা রমাবাঈ কেন স্মরণীয়?
উঃ- উনিশ শতকে পশ্চিম ভারতে নারীশিক্ষায় বিশেষ
উদ্যোগী হয়েছিলেন পণ্ডিতা রমাবাঈ। প্রাচীন ভারতীয় শাস্ত্রে শিক্ষিত ব্রাহ্মণ পরিবারের
মেয়ে পণ্ডিতা রমাবাঈ সমস্ত সামাজিক বাধা উপেক্ষা করে এক শুদ্রকে বিয়ে করেন। পরে বিধবা
অবস্থায় নিজের মেয়েকে নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়ে তিনি ডাক্তারি পড়েন। বিধবাদের জন্য
তিনি একটি আশ্রমও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
3.2 ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি সীমাবদ্ধতা উল্লেখ কর
উঃ- ডিরোজিও এবং তার অনুগামীদের দ্বারা পরিচালিত ইয়ং বেঙ্গল বা নব্যবঙ্গ আন্দোলনের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা ছিল-
ক)তাদের আন্দোলন ছিল শহর
কেন্দ্রিক গ্রামের জনগনের সঙ্গে তাদের কোন সংযোগ ছিল না
খ) পাশ্চাত্য সংস্কৃতির প্রতি
অন্ধ বিশ্বাস রেখে তারা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়েছিল।
4. সম্পদের বহির্গমন বলতে কি বোঝ?
উঃ- সম্পদের
নির্গমন বা ড্রেন অফ ওয়েলথ ত্বত্তটির প্রবক্তা হলেন বিশিষ্ট ভারতীয় জাতীয়তা নেতা তথা
অর্থনীতিবিদ দাদা ভাই নওরোজী। উপনিবেশ হিসেবে ভারতের সম্পদকে ব্রিটেনে নানাভাবে স্থানান্তরিত
করা হত। এর ফলে ভারতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হতো না বরং অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ত দারিদ্র্য
ও দুর্ভিক্ষ। এইভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে চালান হওয়াকেই ‘সম্পদের বহির্গমন'
বলে উল্লেখ করা হয়।ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ভারতের অর্থ ও সম্পদ ব্রিটেনে স্থানান্তরিত করে ভারতের অর্থনীতিকে
ব্রিটিনের স্বার্থে ব্যবহার করা। ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে এক ব্রিটিশ আধিকারিকের বক্তব্য
থেকে জানা যায়, ভারত থেকে বছরে ২-৩ কোটি স্টার্লিং মূল্যের সম্পদ ব্রিটেনে যেত। আর
তার বিনিময়ে ভারত সামান্য দামের কিছু যুদ্ধ সরঞ্জাম ছাড়া কিছুই পেত না। বাস্তবে ভারতে
সম্পদ বহির্গমনের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ শাসন স্পঞ্জের মতো কাজ করত। ভারত থেকে সম্পদ শুষে
ব্রিটেনে পাঠিয়ে দিত। হিসাবে দেখা গেছে ঊনবিংশ শতকে ব্রিটেনের জাতীয় আয়ের ২ শতাংশ
ছিল ভারত থেকে নির্গত সম্পদ।