মাধ্যমিক 2021 মডেল অ্যাকটিভি টাস্ক উত্তর
সহ (ইতিহাস) // Madhyamik
Model Activity Task with Answers (History) ( Part-2)
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ইতিহাস
দশম শ্রেণী
মাধ্যমিক ইতিহাস 2021 মডেল অ্যাকটিভি টাস্ক উত্তর সহ(Part-2) |
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো
:
১. নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা করো।
উঃ- ভূমিকা : সভ্যতা-সংস্কৃতির বিকাশে নারীর
ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হলেও পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা হয়েছে অবহেলিত। যুগে
যুগে নারীর ভূমিকা কী ছিল তার চর্চা বর্তমান কালে শুরু হয়েছে। নারীর গুরুত্বকে
তুলে ধরার ইতিহাসচর্চাই হল নারী ইতিহাসচর্চা। 1970-এর
দশকে একদল ঐতিহাসিক উপলব্ধি করেন নারীদের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। তাদের
মর্যাদা ও অবস্থানের পর্যালোচনা প্রয়োজন। আমেরিকা ও ব্রিটেনে নারীবাদী চর্চার
সূত্রপাত ঘটে। বর্তমানে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী ইতিহাস চর্চা বিশেষ
গুরুত্বলাভ করেছে।
নারী ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্যসমূহ :
আধুনিককালে নারী ইতিহাসচর্চার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
i.
পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশোধন:- সভ্যতার
ইতিহাসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেও নারী তার প্রাপ্য ও
যোগ্য সম্মান পায়নি। অবহেলিত,
উপেক্ষিত নারীর সম্মান পুনরুদ্ধার করার এবং পুরুষকেন্দ্রিক ইতিহাস সংশোধন করাই
নারী ইতিহাসচর্চার বৈশিষ্ট্য।
ii.
অধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠা : নারী
ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল নারীর অধিকার আদায় করা ও নারী-পুরুষের
সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
iii.
নারী নির্যাতনের অবসান : যুগে যুগে
দেশে দেশে নারীরা হয়েছে নির্যাতনের,
অত্যাচারের ও সামাজিক কুপ্রথার শিকার। নারী ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে নারী
নির্যাতনের অবসান ঘটানো এর বৈশিষ্ট্য।
iv.
সামাজিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ : কোনো সমাজের
প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় সেই সমাজের নারীর অবস্থা থেকে। কোনো দেশে নারীরা কতটা
সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক ও
সাংস্কৃতিক অধিকার ভোগ করে সে দেশের নারী ইতিহাসচর্চা থেকেই তা জানা যায়।
নারী সমাজের ইতিহাসের গুরুত্ব : নারী ইতিহাস
বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন—
i. এ যে
বিষয়গুলি উপেক্ষিত ছিল এখন তা গুরুত্ব সহকারে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। পারিবারিক
ক্ষেত্রে হিংসাত্মক কার্যকলাপ,
শিশুর উপর নিপীড়ন,
বধূহত্যা, নারী
নির্যাতন ও অন্যান্য অত্যাচার প্রভৃতির কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য।
ii. .লিঙ্গবৈষম্য, পারিবারিক
সম্পর্ক ও সামাজিক ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে নারী ইতিহাস।
iii. নারীর
ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার উপর আলোকপাত করে এবং
iv. বিভিন্ন
যুগে নারীর মানসিক, সামাজিক
ও নৈতিক অবস্থার কথা তুলে ধরে।
এই ভাবেই নারীদের ক্ষমতায়ন ও দক্ষতার পরিচয়
ঘটানোর জন্য নারী ইতিহাস চর্চা প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
২. গ্রামবার্তা প্রকাশিকা হলো
একটি ব্যতিক্রমী পত্রিকা–আলোচনা করো।
উঃ-
ভূমিকা :- ‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা’
হল বাংলা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকা।1863
খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন হরিনাথ
মজুমদার, যিনি
কাঙাল হরিনাথ’
নামেও পরিচিত ছিলেন। এটি প্রথমে মাসিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হলেও পরে
পাক্ষিকও সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।
গ্রামবার্তা প্রকাশিকায় তৎকালীন সমাজচিত্র : গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' পত্রিকা থেকে সমসাময়িককালের সমাজ সম্পর্কে জানা যায়।
সমাজে নারীদের অবস্থাঃ- ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা' পত্রিকা থেকে সমাজে নারীদের দুরবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। এক শ্রেণির প্রগতিশীল মানুষ নারীশিক্ষার প্রসারে সচেষ্ট ছিলেন। নারীশিক্ষার প্রসারে গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
জমিদারি শোষণ:- এই পত্রিকা গ্রাম্য প্রজাদের
উপর জমিদারি শোষণের কথা প্রচার করত। তখন বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু ছিল। জমির
মালিক ছিলেন জমিদার। জমির উপর প্রজার স্বত্ব বা অধিকার ছিল না। চড়া রাজস্ব, অতিরিক্ত
কর, কারণে-অকারণে
জমি থেকে প্রজা উচ্ছেদ করা হত। অভাগা চাষিদের দুর্দশার কাহিনি এই পত্রিকায় ছাপা
হত। |
সুদখোর মহাজনদের শোষণ:- ‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা'
থেকে জানা যায়,
সমাজে সুদখোর মহাজনদের রমরমা ছিল। তারা চড়া সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দিত।
গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল।
নীলকর সাহেবদের অত্যাচার :-‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকায় সমাজে নীলকর সাহেবদের কর্মকাণ্ডজনিত আতঙ্কের চিত্র ধরা পড়েছে। নীলকর
সাহেবরা অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য চাষিদের জোর করে নীলচাষ করাত। উৎপাদিত নীল তারা
চাষিদের কাছ থেকে অল্প দামে কিনে নিত। তবে নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে
চাষিরা যে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল তাও জানা যায় এই পত্রিকা থেকে।
শিক্ষাপ্রসার :- সেসময় নিরক্ষর মানুষের সংখ্যা
ছিল প্রচুর। এর মধ্যে নারীশিক্ষার হার ছিল অত্যন্ত কম, প্রায় ছিল
না বললেই চলে। পত্রিকায় শিক্ষা প্রসার বিশেষত নারীশিক্ষা প্রসারের উপর গুরুত্ব
দিয়ে বিভিন্ন লেখা প্রকাশিত হয়।
মূল্যায়ন :- তৎকালীন সময়ে
যে সমস্ত পত্র পত্রিকা প্রকাশিত হত সেগুলির আলোচনার ক্ষেত্র ছিল শহরকেন্দ্রিক, কিন্তু
কাঙাল হরিনাথের ‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা'
এই জন্যই আলাদা যে এই পত্রিকা প্রথম গ্রামীন সমাজকে তার আলোচনার মূখ্য ক্ষেত্র হিসেবে
বেছে নেয় এবং গ্রামীন সমাজের সুখ দুঃখ নিয়ে আলোচনা করে।
৩. নীল বিদ্রোহ সম্পর্কে সমকালীন
শিক্ষিত বাঙালী সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?
উঃ- ভূমিকাঃ- বাংলার
নীল বিদ্রোহের একটি প্রধান ভালো দিক ছিল বাংলার মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বাঙালির এক
অংশের যোগদান ও নীল বিদ্রোহ কে সমর্থন করা যার প্রভাবে এই বিদ্রোহের উপর প্রভাব
পড়েছিল।
বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর প্রতিক্রিয়াঃ- মধ্যবিত্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে যারা নীল
বিদ্রোহ কে সমর্থন জানায় তাদের মধ্যে শিশির কুমার ঘোষ ও হিন্দু প্যাট্রিয়ট
পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এর নাম সর্বাগ্রে বলা যায়।
হিন্দু পেট্রিয়টঃ- হরিশচন্দ্র
মুখোপাধ্যায় এর ভবানীপুরের বাড়িতেই নীলচাষীদের আদালতে পরিণত হয় তিনি নীলচাষীদের
দুর্দশার কাহিনী তার হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার পাতায় দিনের-পর-দিন প্রকাশ করেন।
শিশির কুমার ঘোষঃ- সাংবাদিক শিশির কুমার ঘোষ গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে
নীলচাষীদের দুরবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং তিনি তার পত্রিকায় তা প্রকাশ করতে থাকেন।
নীলদর্পণ এর ভূমিকাঃ- 1860 সালে দীনবন্ধু মিত্র নীল বিদ্রোহ কে কেন্দ্র করে নীলদর্পণ নাটক রচনা করেন।
আইনজীবীদের অংশগ্রহণঃ- বিশিষ্ট
আইনজীবী শম্ভূনাথ পণ্ডিত, প্রসন্নকুমার ঠাকুর আইনি পথে নীল বিদ্রোহীদের পক্ষে ওকালতি করেন।
৪. উপযুক্ত তথ্য দিয়ে নীচের ছকটি
পূরণ করো—
প্রতিষ্ঠান |
ব্যাক্তিত্ব |
অন্যান্য
উদ্যোগ |
স্কুলবুক সোসাইটি |
ডেভিড হেয়ার |
১. হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ২. হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠিত করেন |
ব্রাহ্মসমাজ |
রাজা রামমোহন রায় |
১. নারী জাতির উন্নতি সাধন ২. সতীদাহ প্রথা বন্ধের পূর্ণ
ভূমিকা |
অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন |
ডিরোজিও |
১. নববঙ্গ আন্দোলন গড়ে তোলেন ২. বিভিন্ন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে
আন্দোলন গড়ে তোলেন |
মাধ্যমিক ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কটির উত্তর সহ ডাউনলোড লিঙ্ক নিচে দেওয়া হল//Madhyamik History Model Activity Task With Answers Download
link
Click Here to Download PDF File………
वेरी गुड
উত্তরমুছুন