মাধ্যমক জীবনবিজ্ঞান|মডেল প্রশ্নোত্তর

 মাধ্যমক জীবনবিজ্ঞান|মডেল প্রশ্নোত্তর


মাধ্যমক জীবনবিজ্ঞান



প্রিয় বন্ধুরা 

মাধ্যমক জীবনবিজ্ঞান|মডেল প্রশ্নোত্তর|৫ নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর| দশম শ্রেণী প্রশ্ন ও উত্তর আলোচনা করব|তোমরা West Bengal Class 10 Life Science Questions Answers পেয়ে যাবে |ক্লাস টেন জীবনবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর|Class X Life Science Suggestion WBBSE| জীবনবিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর|West Bengal Class Ten Model Question Paper|Class 10 L.Sc Question and Answer|Jibonbiggan proshno uttor|Madhyamik Life Science Notes WBBSE| জিবনবিজ্ঞান মক টেস্ট|Life Science Mock Test|Class 10 Life Science 5 Marks Questions Answers



এছাড়াও তোমরা পাবে জীবনবিজ্ঞানের বিভিন্ন অধ্যায় থেকে বহুবিকল্প ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর|MCQ Very Short Question Short Questions Descriptive Question and Answer এগুলি তোমরা যারা পশ্চিমবঙ্গের X Life Science Examination এর জন্য পরিক্ষা দিতে যাচ্ছ অথবা পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীতে পড়াশুনা করছো তাদের জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য এই ৫ নম্বরের প্রশ্নগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং তোমরা যারা জীবনবিজ্ঞান ৫ নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর চাইছো, তারা নীচের দেওয়া প্রশ্নউত্তর গুলি ভালো করে পড়ে নিতে পারবে।



মাধ্যমক জীবনবিজ্ঞান|মডেল প্রশ্নোত্তর

 

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো :

১. স্নায়ুকোশের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো :

(ক) ডেনড্রন

(খ) সোয়ান কোশ

(গ) প্রান্তবুরুশ

(ঘ) অ্যাক্সোলেমা     

উঃ-      

                   

(ক) ডেনড্রনঃ নিউরোনের কোশদেহ থেকে যে ক্ষুদ্র শাখাবিশিষ্ট প্রবর্ধকগুলি পূর্ববর্তী নিউরোন বা রিসেপটর থেকে স্নায়ূস্পন্দন গ্রহন করে কোশদেহে প্রেরন করে তাকে ড্রেনডন বলে।

(খ) সোয়ান কোশঃ মেডুলারি আবরণ ওও নিউরোলেমার অন্তর্বর্তী স্থানে যে অ-স্নায়ূ কোশ থাকে তাকে সোয়ান কোশ বলে।

(গ) প্রান্তবুরুশঃ অ্যাক্সনের শেষপ্রান্তে সূক্ষ সুতর মত শাখান্বিত অংশকে প্রান্তবুরুশ বলে।

(ঘ) অ্যাক্সোলেমাঃআক্সনের ভিতর থেকে বাইরের দিকে যে আবরণ থাকে তাকে অ্যাক্সলেমা বলে।


. জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো। মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো

উঃ-

ক) ক্রমোজোম সংখ্যা দ্রুবক রাখাঃ মিয়সিসের ফলে ডিপ্লয়েড(2n) মাতৃকোশের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে হ্যাপ্লয়েড(n) কোশের সৃষ্টি হয় ফলে দুটি হ্যাপ্লয়েড জনন কোশ মিলিত হয়ে পুনরায় ডিপ্লয়েড কোশ সৃষ্টি করে ফলে প্রজাতির ক্রোমোজোম সংখ্যা দ্রুবক থাকে।

খ) গ্যামেট উৎপাদনঃ জনন মাতৃকোশে মিয়োসিস বিভাজন ঘটার ফলে গ্যামেট উৎপন্ন হয়।

গ) জীবের মধ্যে প্রকরণের উৎপত্তিঃ মিয়োসিস বিভাজনকালে ক্রসিং ওভার ঘটার ফলে জিনের বিনিময় হয় ফলে প্রজাতির জিনগত ভেদ বা জিনের প্রকরণ ঘটে।

ঘ) ক্রোমাটিডের খন্ডবিনিময়ঃ মিয়োসিসের সময় দুটি নন্সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খন্ডের বিনিময় ঘটার ফলে জিনের পুনর্বিন্যাস ঘটে।

 

 মাইটসিস কোশ বিভাজনে অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্যঃ

i. এই দশায় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারগুলি সমান দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। 

ii.     এই দশায় অপত্য ক্রোমজোম গঠিত হয়।

iii.     এই দশার ক্রোমোজোমগুলি ইংরেজী অক্ষর V. (মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম), L (সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম, J (অ্যাক্রোসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম), I (টেলসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম)-এর মত দেখায়।

 

৩. অগ্রন্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখো। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন হরমোনের ভূমিকা উল্লেখ করো

উঃ- অক্সিন হরমন অগ্রথ প্রকটতা নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।

অক্সিন হরমনের তিনটি ভূমিকা হল-

ক) ফলের বৃদ্ধিঃ অক্সিন হরমন প্রয়োগ করে বীজবিহীন ফল উৎপন্ন করা যায়।

খ) কোশ বিভাজন ও কোহের আকার-আয়তন বৃদ্ধিঃ অক্সিন হরমনের উদ্ভিদ কোশের প্রাচীরকে নমনীয় করে ফলে  উদ্ভিদ কোশ বিভাজিত হয়ে আকার ও আয়তনে বৃদ্ধি লাভ করে। কম ঘনত্বের অক্সিন মূলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গ) ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রনঃ অক্সিন হরমোন উদ্ভিদের ফটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিন হরমনের ভূমিকা নিম্নে আলচত হল-

ক) কার্বহাইড্রেট বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকাঃ ইনসুলিন কোশপর্দার ভেদ্যতা বৃদ্ধি ঙ্করে পেশিকোশে গ্লুকজ বিশোশনের হার বাড়ায় এবং গ্লাইকোলাইসিস প্রকৃয়ায় গ্লুকোজকে পাইরুভিক অ্যাসিডে পরিনত করে।

খ) প্রোটিন বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকাঃ যকৃতে নিউগ্লূকোজেনেসিস প্রকৃয়ায় প্রটিন ও ফ্যাট থেকে গ্লুকোজ উৎপন্ন হয় যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি পায়।

গ)  ফ্যাট বিপাক নিয়ন্ত্রনে ইনসুলিনের ভূমিকাঃ ইনসুলিন্মেদকলার গ্লুকোজ থেকে ফ্যাট প্রস্তূত করতে সাহায্য করে

এছাড়া গ্লাইকোজেন থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনে অর্থাৎ গ্লাইকোজেনেসিস পদ্ধতিকে ইনসুলিন বাধা দেয়।


৪. মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো। হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি দেখা যায়?

উঃ- মাছের সন্তরনে পাখনার গুরুত্ব-

মাছ হল অসটিকথিস শ্রেনীভুক্ত জলজ প্রানী।মাছের সাতটি পাখনা থাকে মাছের পাখনাগুলি রশ্মিবিশিষ্ট হওয়ায় জলের চাপে ছিঁড়ে যায়না।প্রতিটি পাখনার গোড়া মজবুত পেশী সংলগ্ন থাকে এবং পেশীর সংকোচন প্রসারণ ঘটিয়ে মাছ পাখাগুলিকে সঞ্চালন করে জলে সাঁতার কাটে।

ক) বক্ষ পাখনা ও শ্রেণী পাখনার ভূমিকাঃ বক্ষপাখনা জলে ওঠানামা করতে ওস্থিরভাবে ভেসে থাকতে সাহায্য করে।

খ) পৃষ্ঠ পাখনার ভূমিকাঃ পৃষ্ঠ পাখনা গমনের সময় মাছকে জল কেটে এগিয়ে যেতে ও দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গ) পুচ্ছ পাখনাঃ পুচ্ছ পাখনা গমনের সময় দিক পরিবর্তনে সাহায্য করে।

গমনে পায়ূ পাখনার বিশেষ কোনো ভূমিকা নেই।

হাঁটুতে কব্জা সন্ধি এবং কাঁধে বল সকেট অস্থিসন্ধি দেখা যায়।


Click Here to Download PDF File………


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url