মাধ্যমিক 2021 মডেল
অ্যাকটিভি টাস্ক
উত্তর সহ (ইতিহাস)
// Madhyamik Model Activity Task with Answers (History) ( Part-1)
অধ্যায়
·
ইতিহাসের
ধারনা
·
সংস্কার
: বৈশিষ্ট
ও পর্যালোচনা
·
প্রতিরোধ
ও বিদ্রোহ
: বৈশিষ্ট্য
ও বিশ্লেষণ
নিচের
প্রশ্নগুলির
উত্তর দাও (
3 অথবা
4
টি
বাক্যে )
স্মৃতিকথা
কিভাবে ইতিহাসের
উপাদান হিসাবে
ব্যবহৃত হতে পারে
তা উদাহরণ সহ আলোচনা
কর
উত্তর- ইতিহাস
লেখার জন্য
বিভিন্ন
উপাদান
ব্যবহার করতে
হয় তার মধ্যে
লিখিত অবদান
হল গুরত্বপূর্ন
। লিখিত
উপাদানের
মধ্যে
স্মৃতিকথা
থেকে বহু তথ্য
পাওয়া যায়। স্মৃতিকথা
হল অ-উপন্যাসধর্মী সাহিত্য, যেখানে রচয়িতা নিজের জীবন ও সমকালীন বিভিন্ন ঘটনাবলির বিবরণী পেশ করে থাকেন।
উদাহরণ
হিসেবে বলা
যায় “The Marginal Man” এটি
প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী রচিত
দেশভাগের স্মৃতিতে
রচিত একটি গ্রন্থ
যার বাংলা
অনুবাদ
গ্রন্থটির নাম
হচ্ছে “প্রান্তিক
মানব”। প্রফুল্ল
কুমার
চক্রবর্তী
তার স্মৃতি কথায় 1947 সালে ভারত ভাগের
পর পূর্ব
পাকিস্তান
থেকে যেভাবে হিন্দুরা
দলে দলে
পশ্চিমবাংলায়
আশ্রয়
নিয়েছিল তার বর্ননা
দেয় এছাড়াও তাদের
নিরাপত্তার
অভাব,
আশা-আকাঙ্ক্ষা,
চলার
পথে দুঃখকষ্ট
এবং ছিন্নমূল
হওয়ার পর
প্রতিকূল পরিবেশ
ও পরিস্থিতিতে
বেঁচে থাকার
চেষ্টা প্রভুতি
অনুভূতির
বস্তুনিষ্ঠ বর্ননা
করেছেন। যদিও
এ প্রসঙ্গে
বলতে হয়
যেহেতু
স্মৃতিকথা লেখক
স্মৃতিপট
থেকে সংগ্রহ
করে আনেন তাই
অনেক
ক্ষেত্রে
প্রকৃত ঘটনা
এবং
স্মৃতিকথায়
বর্ণিত ঘটনায়
অসংগতি বা
অতিরঞ্জিত
ব্যাপার চোখে
পড়ে। তবে
সতর্কভাবে
অন্যান্য
তথ্যের
দ্বারা যাচাই করে
স্মৃতিকথার
বিভিন্ন
ঘটনাবলী
ইতিহাসের উপাদান
হিসাবে
ব্যবহার করলে
একটি সুষ্ঠু
ইতিহাস রচনা
করা সম্ভব হয়।
সুতরাং স্মৃতিকথা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
বাংলার নবজাগরণ
ছিল কলকাতা শহর
কেন্দ্রিক
আলোচনা করো
রেনেসাঁস
একটি ফরাসি
শব্দ। এর
বাংলা অর্থ হল
নবজাগরণ।
রেনেসাঁস
শব্দটি
ইউরোপে
বিশেষত ইটালির
ইতিহাসের
সঙ্গে যুক্ত।
অপদিকে পাশ্চাত্য
সভ্যতার
সংস্পর্শে
এসে উনিশ
শতকের মধ্যবিত্ত
বাঙালি সমাজে
এক
যুক্তিবাদী ও
মানবতাবাদী আড়োলনের
সুচনা হওয়ার
ফলে তৎকালীন
ধর্ম সমাজ
শিক্ষা
সাহিত্য
দর্শন
রাজনীতি-জীবনের
সর্বক্ষেত্রেই
ব্যাপক পরিবর্তন
পরিলক্ষিত
হয় যাকে
ঐতিহাসিকগন ‘বঙ্গীয়
নবজাগরণ’
বা ‘Bengal Renaissance’
বলে
অভিহিত
করেছেন। ঊনিশ
শতকে বাংলার
বৌদ্ধিক
অগ্রগতি বা
নবজাগরণের
প্রাণকেন্দ্র
ছিল কলকাতা এবং
কলকাতা থেকে
এই অগ্রগতির
ধারা
পরবর্তীকালে ধীরে
ধীরে বাংলা
তথা ভারতের
সর্বত্র
ছড়িয়ে পড়ে।
এই কারনের উনিশ
শতকের এই নবজাগরণকে
কলকাতা শহর কেন্দ্রিক
নবজাগরণ বলা হয়।
চূয়াড় বিদ্রোহকে “চূয়াড় বিপ্লব” বললে কেন ভূল হবে?
বিদ্রোহ
বলতে বোঝা
যায় যে প্রচলিত
কোন
ব্যবস্থার
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
জানানো বা
বিরোধিতা করা এই
প্রতিবাদ এক বা
সমষ্টিগত, স্বতন্ত্র
শান্তিপূর্ণ দুইই
হতে পারে। আবার
বিপ্লব
শব্দের অর্থ
হলো আমূল
পরিবর্তন
বিপ্লব বলতে
বোঝায়
দীর্ঘদিন ধরে
প্রচলিত কোন
সমাজ
অর্থনীতি
রাষ্ট্র বা অন্য
কোন
ব্যবস্থার
আমূল
পরিবর্তন
অথবা যে আন্দোলনের
মধ্য দিয়ে
প্রচলিত সমাজ
ও রাষ্ট্র
ইত্যাদি
ব্যবস্থার
আমূল
পরিবর্তন করা
হয় সাধারণভাবে
তাকেই বলা হয়
বিপ্লব।
চুয়াড় বিদ্রোহ
হয়েছিল দুটি পর্যায়ে
যথা- 1768-1790 এবং
1798-1799 খ্রীঃ। চুয়াড়রা
ব্যাপকভাবে সরকারের
বিরুদ্ধে আন্দোলনে
ঝাপিয়ে পড়েছিল। চুয়াড়দের
দমন করার জন্য
সরকার প্রাণপন
চেষ্টা করে কিন্তু, বিদ্রোহীদের
দমন করতে না পারায়
সরকার বিদ্রোহী
জমিদারদের সঙ্গে
আপস করে নেয় এবং
1805 খ্রীঃ বিদ্রোহ
প্রবণ অঞ্চলগুলিকে
নিয়ে ‘জঙ্গলমহল’
নামক একটি আলাদা
প্রশাসনিক এলাকা
গঠন করলেও পরবর্তীকালে
চুয়াড়রা সরকার,
সরকারের ইজারাদার,
জমিদার প্রমূখের
হাত থেকে প্রকৃত
অর্থে মুক্তি বা
রক্ষা পায়নি।
যেহেতু
বিপ্লবের
বৈশিষ্ট্য
হবে আমূল
পরিবর্তন,
এর ফলাফল হবে
দীর্ঘস্থায়ী
এবং এর প্রভাব
হবে
সুদূরপ্রসারি
ও কালজয়ী
কিন্তু
চুয়াড় বিদ্রোহের
মধ্যে এই বৈশিষ্টগুলি
আমরা খুঁজে
পাইনি বলে একে
বিপ্লব না বলে বিদ্রোহ
বলাই শ্রেয়।
ভারতের
মানচিত্রে
চিহ্নিত
স্থান গুলি
চিহ্নিত করো ও
নাম লেখ
সাঁওতাল
বিদ্রোহের
এলাকা-6(ভাগলপুর)
ফরাজি
আন্দোলনের
কেন্দ্র-10 (বাহাদুরপুর)
কোল
বিদ্রোহের
এলাকা-4(হাজারিবাগ)
মুন্ডা
বিদ্রোহের
অঞ্চল-5 (রাঁচী)
সন্ন্যাসী
ও ফকির
বিদ্রোহের
এলাকা-(মুর্শিদাবাদ)
উপযুক্ত
তথ্য সহযোগে
নিচের ছকটি
পূরণ করো……
সমসাময়িক
পত্র //সংবাদপত্র
ও //সাহিত্য |
সম্পাদক |
সময়কাল |
বিষয়বস্তু |
বঙ্গদর্শন
|
বঙ্কিমচন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় |
1872 খ্রিস্টাব্দের
12ই
এপ্রিল |
a.
সমকালীন
তথ্যঃ বঙ্গদর্শন
পত্রিকা
থেকে
সমকালীন
সমাজ,অর্থনীত্
রাজনীত,শিক্ষা,ধর্ম,সংস্কার
প্রভৃতি
বিষয় সম্পর্কে
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য পাওয়া যায়।এই
পত্রিকা
থেকে
ব্রিটিশ
সরকারের শাসন
ও শোষণ এর
পরিচয়
পাওয়া
যায়। b.
বাঙালির
স্বদেশ
চেতনাঃ এই
বঙ্গদর্শন
পত্রিকাটি
বাঙালি
জাতির মধ্যে
স্বদেশ
চেতনার
বিকাশ ঘটায়।এই
পত্রিকায়
বঙ্কিমচন্দ্রের
লেখা বন্দেমাতরম
সঙ্গীতটি
প্রথম
প্রকাশিত
হয় যা পরবর্তীকালে
বাঙালি তথা
ভারতীয়
বিপ্লবী ও
জাতীয়তাবাদী
আন্দোলনের
মূলমন্ত্রে
পরিণত
হয়েছিল। c.
সমাজতান্ত্রিক
ভাবধারা
প্রসারঃ এই
পত্রিকায়
সাম্য সহ
বিভিন্ন
প্রবন্ধ প্রকাশিত
হয়।এর ফলে
বাঙালি
সমাজে
সমাজতান্ত্রিক
ভাবধারার
প্রসার ঘটে। d.
বাঙালি
সমাজের
মেলবন্ধনঃ বঙ্গদর্শন
পত্রিকাটি
সমকালীন
বাঙালি
জাতির
উচ্চশিক্ষিত
সম্প্রদায়ের
চিন্তাধারা
তুলে ধরত যা,
অসংখ্য
সাধারণ পাঠক
ও শ্রোতার
সঙ্গে
উচ্চশিক্ষিত
ও সাধারণ বাঙালির
ভাবধারার
মেলবন্ধন
ঘটাত। |
সোমপ্রকাশ
|
দ্বারকানাথ
বিদ্যাভূষণ |
1858 খ্রিস্টাব্দের
15ই
নভেম্বর |
a. সমকালীন তথ্যঃ সোমপ্রকাশ পত্রিকা থেকে সমকালীন সমাজ,অর্থনীত্ রাজনীত,শিক্ষা,ধর্ম,সংস্কার প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।এই পত্রিকা থেকে ব্রিটিশ সরকারের শাসন ও শোষণ এর পরিচয় পাওয়া যায়। b.
বাঙালির
সমাজ
সংস্কারঃ সোমপ্রকাশ
পত্রিকা সমকালীন
বাঙালি সমাজের সংস্কার আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেছিল। সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন
কুপ্রথা
যেমন
বাল্যবিবাহ,বহুবিবাহ,পণপ্রথা
ইত্যাদির
বিরুদ্ধে
সোমপ্রকাশ লেখা
প্রকাশ করত। তৎকালীন
সমাজে বিধবা
বিবাহের
প্রসারেও সোমপ্রকাশ
জনমত গঠনে সচেষ্ট
হয়েছিল। c. ব্রিটিশ
বিরোধী
আন্দোলনঃ এই
পত্রিকা ব্রিটিশ
সরকারের
জনবিরোধী
নীতির
বিরুদ্ধে ভারতীয়দের
আন্দোলনের
খবর
গুরুত্বসহকারে
প্রকাশ করত।এই পত্রিকা
থেকে ‘দেশীয়
ভাষায়
সংবাদপত্র
আইন বিরোধী’ ‘ইলবার্ট
বিল’ সহ
ব্রিটিশ
সরকারের বিরুদ্ধে
ভারতীয়দের
বিভিন্ন
আন্দোলন
সম্পর্কে
জানা যায়। |
বামাবোধিনী |
উমেশচন্দ্র দত্ত |
1863
খ্রীঃ |
a.
নারীশিক্ষা:-
উনিশ শতকের
মধ্যভাগ পর্যন্ত
বাংলার নারীদের
সামাজিক অবস্থার
বিশেষ অগ্রগতি
ঘটেনি।
নারীশিক্ষার
বিষয়টিকে সাধারণ
মানুষ সুনজরে
দেখত না ফলে বাংলায়
নারীশিক্ষার
বিশেষ প্রসার
ঘটেনি। b.
নারীর
মর্যাদা:-
এই সময় বাংলার
নারীরা সাধারণত
বাড়ির অন্দরমহলে
জীবন কাটাতে অভ্যস্ত
ছিল।
তাদের অধিকার
ও মর্যাদা বিশেষ
ছিল না।
c.
সামাজিক
কুসংস্কার:-
বামাবোধিনী
পত্রিকা উনিশ
শতকে বাংলার বিভিন্ন
সামাজিক কুসংস্কার
তুলে ধরে এসবের
বিরুদ্ধে জনমত
গড়ে তোলার চেষ্টা
চালায়।
নারীদের
বাল্যবিবাহ,
পুরুষদের বহুবিবাহ
মদ্যপান প্রভৃতির
বিরুদ্ধে এই পত্রিকায়
নিয়মিত প্রচার
চালানো হয়।
|
গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা |
কাঙাল
হরিনাথ(হরিনাথ
মজুমদার,) |
1863
খ্রিস্টাব্দের
এপ্রিল মাসে |
a. সমাজে
নারীদের
অবস্থাঃ-
‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা'
পত্রিকা
থেকে সমাজে
নারীদের
দুরবস্থা
সম্পর্কে
জানা যায়।
এক শ্রেণির
প্রগতিশীল
মানুষ
নারীশিক্ষার
প্রসারে
সচেষ্ট
ছিলেন।
নারীশিক্ষার
প্রসারে গ্রামবার্ত্তা
প্রকাশিকাও
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন
করেছিল। b. জমিদারি
শোষণ:-
এই পত্রিকা
গ্রাম্য
প্রজাদের
উপর জমিদারি
শোষণের কথা
প্রচার করত।
তখন বাংলায়
চিরস্থায়ী
বন্দোবস্ত
চালু ছিল।
জমির মালিক
ছিলেন
জমিদার।
জমির উপর
প্রজার স্বত্ব
বা অধিকার
ছিল না। চড়া
রাজস্ব, অতিরিক্ত
কর, কারণে-অকারণে
জমি থেকে
প্রজা
উচ্ছেদ করা
হত। অভাগা
চাষিদের
দুর্দশার
কাহিনি এই
পত্রিকায়
ছাপা হত। | c. সুদখোর
মহাজনদের
শোষণ:- ‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকা' থেকে জানা
যায়, সমাজে
সুদখোর
মহাজনদের
রমরমা ছিল।
তারা চড়া সুদের
বিনিময়ে
টাকা ধার
দিত।
গ্রামের
অনেক সাধারণ
মানুষ
মহাজনের
কাছে ঋণ
নিয়ে
সর্বস্বান্ত
হয়েছিল। d. নীলকর
সাহেবদের
অত্যাচার :-‘গ্রামবার্তা
প্রকাশিকায়
সমাজে নীলকর
সাহেবদের
কর্মকাণ্ডজনিত
আতঙ্কের
চিত্র ধরা পড়েছে।
নীলকর
সাহেবরা
অধিক অর্থ
উপার্জনের
জন্য
চাষিদের জোর
করে নীলচাষ
করাত।
উৎপাদিত নীল
তারা চাষিদের
কাছ থেকে
অল্প দামে
কিনে নিত।
তবে নীলকর সাহেবদের
অত্যাচারের
বিরুদ্ধে
চাষিরা যে সংঘবদ্ধ
প্রতিরোধ
গড়ে
তুলেছিল তাও
জানা যায় এই
পত্রিকা
থেকে। |
হুতোম
প্যাঁচার
নকশা |
কালীপ্রসন্ন সিংহ |
1861
খ্রীঃ |
a.
সমাজের ধ্বজাধারীদের শ্রেণিবিভাজন, b.
ধনীসমাজের হীনতা,কপটতা c.
মাজিক সংস্কার ও সংস্কারক d.
সমকালীন লোকসংস্কৃতি e.
সমকালীন শিক্ষা ও সাহিত্য |
নির্ভুল
তথ্য দিয়ে
ফাঁকা ঘরগুলো
পূরণ কর…
বিদ্রোহ//আন্দোলন |
সময়কাল |
অঞ্চল |
নেতৃত্ব |
কারণ |
প্রভাব |
সাঁওতাল |
1855-1856
খীঃ |
দামিন-ই-কোহ |
সিধু ও কানু |
সাঁওতালদের
জমি হরণ ,অত্যাধিক
হারে রাজস্ব
আদায় ,মহাজনদের
শোষণ , ইংরেজ কর্মচারী
ও
ঠিকাদারদের
অত্যাচার ,বহিরাগত
ব্যবসায়ীদের
শোষন ,
সাঁওতাল
সমাজে
ব্রিটিশ আইন
প্রবর্তন
ইত্যাদি |
a. সাঁওতাল
অধুষ্যিত এলাকা
নিয়ে ‘সাঁওতাল
পরগনা’ জেলা
গঠন করা হয়। b. সাঁওতালদের
পৃথক উপজাতি বলে
ঘোষণা করা হয় এবং
বলা হয় ব্রিটিশ
আইন এখানে কার্যকর
হবেনা c.
খ্রীষ্টান
মিশনারি ছাড়া
সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ
ঘোষণা হয় |
মুণ্ডা |
1899-1900
খ্রীঃ |
ছোটনাগপুর
অঞ্চল (রাঁচী
, সিংভূম, হাজারীবাগ) |
বিরসা
মুন্ডা, গয়া মুন্ডা |
জমির
ওপর অধিকার
হারানো ,খুৎকাঠি
প্রথা অবসান ,নতুন আইন
বিধি, বেগার
শ্রম
ইত্যাদি |
a. ব্রিটিশ
সরকার
ছোটনাগপুর
প্রজাস্বত্ব
আইন পাস করেন b. তাদের
জমিতে
খুৎকাঠি
স্বত্ব পুনঃপ্রবর্তন
:p c. বেগারি
প্রথা
নিষিদ্ধ করা হয় |
নীল |
1859- 1860
খীঃ |
নদীয়া, মালদা,ফরিদপুর
রাজশাহী ,
খুলনা, ,যশোহর |
দিগম্বর
বিশ্বাস ও
বিষ্ণুচরন
বিশ্বাস |
নীলকরদের
,অত্যাচার
দাদন প্রথা , প্রতারণা
ও কারচুপি ,পঞ্চম আইন, অবিচার |
a. এই
বিদ্রোহের ফলে
সরকার 1860 খ্রিস্টাব্দের
31 ডিসেম্বর নীল
তদন্ত কমিশন গঠিত
হয়। b. কমিশনের
সুপারিশ অনুযায়ী 1868 খ্রিস্টাব্দে
নীল চুক্তি আইন’রদ করা এবং নীলচাষ
সম্পূর্ন চাষীদের
ইচ্ছাধীন হয়। নীলকররা
এখানে নীলচাষে
অর্থ বিনিয়োগ
বন্ধ করে বিহার
ও পার্বত্য এলাকায়
চা শিল্পে বিনিয়োগ
করতে শুর করে। c.
নীল বিদ্রোহের
সাফল্য বাঙালি
জাতীয়তাবাদ
প্রসারে সহায়তা
করেছিল। শিশির
কুমার ঘোষ লিখেছেন, “নীল বিদ্রোহই
সর্বপ্রথম - ভারতবাসীকে
সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক
আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা
শিখিয়েছিল”। |
ওয়াহাবী |
1820
খীঃ |
ভারতঃ দিল্লি , উত্তর
প্রদেশ ,উত্তর-পশ্চিম
সীমান্ত
প্রদেশ |
শাহ
ওয়ালিউল্লাহ,সৈয়দ আহমদ
ব্রেলভী ও
তার পুত্র
আবদুল আজিজ |
ইসলামধর্মের
সংস্কার , ভারতবর্ষ
থেকে
ইংরেজদের
বিতাড়ন , অত্যাচারী
জমিদারদের
উচ্ছেদ , নৈতিক ও
আধ্যাত্মিক
আদর্শ: |
ভারতের
রাজনৈতিক
ইতিহাসে
ওয়াহাবি
আন্দোলনের
গুরুত্ব
অপরিসীম ওয়াহাবি
আন্দোলন
ধর্মসংস্কার
আন্দোলন হিসেবে
শুরু হলেও
এটি কৃষক
বিদ্রোহের
রূপ পরিগ্রহণ
করেছিল।
অত্যাচারী
জমিদার ও
নীলকর সাহেবদের
হাতে
নির্যাতিত
মানুষদের
সংগঠিত করে তিতুমির
বিদ্রোহ
ঘোষণা
করেছিলেন। |
1831খীঃ |
বাংলাঃ বারাসাত
নারকেল বেড়িয়া, নদীয়া , যশোহর,রাজশাহী,ঢাকা ,মালদা |
মীর
নিসার আলী (তিতুমীর ) |
|||
ফরাজী |
1818-1906
খীঃ |
বাহাদুরপুর
, ফরিদপুর , 24 পরগনা
, খুলনা , ময়মনসিংহ ,
ঢাকা , কুমিল্লা
, যশোহর |
হাজী শরিয়তুল্লাহ, মোহাম্মদ
মহসিন(দুদুমিয়া) ,নোয়া মিয়া |
আরবি
ভাষায় ‘ফরাজি’ কথার
অর্থ হল
ইসলাম-নির্দিষ্ট
বাধ্যতামূলক
কর্তব্য।
শরিয়উল্লাহ
ঘোষণা করেন
যে,
ইসলাম
ধর্মের
অভ্যন্তরে
ইসলাম-বিরোধী
নানা
কুসংস্কার ও
দুর্নীতির
অনুপ্রবেশ
ঘটেছে।
কোরানের
নিদের্শ
যথার্থভাবে
পালন করে
তিনি ইসলাম
ধর্মের
সংস্কার
সাধনের কথা
বলেন।
ধর্মীয়
আন্দোলন
হিসেবে শুরু
হলেও অচিরেই
এই আন্দোলন
রাজনৈতিক
রূপ পরিগ্রহ
করে।
ব্রিটিশ
শাসনাধীন
ভারতবর্ষকে
তিনি ‘দার-উল-হারব’ বা
শত্রুর দেশ’ হিসেবে
চিহ্নিত করে
বলেন যে, এই
দেশ
ধর্মপ্রাণ
মুসলিমদের
বাসের যোগ্য
নয়। তিনি
জমিদার ও
নীলকরদের
অত্যাচারের
বিরুদ্ধে
জনমত গড়ে
তোলেন এবং
অচিরেই
বরিশাল, ময়মনসিংহ, ঢাকা
ও ফরিদপুরের
লক্ষ লক্ষ
দরিদ্র
মুসলিম চাষি, কারিগর
ও বেকার তাতি
তার
শিষ্যত্ব
গ্রহণ করে।
এইভাবে
বাংলার
কৃষকদের
মধ্যে এক
জাগরণের
সৃষ্টি হয় এবং
তারা
জমিদারের
অন্যায়
অত্যাচার ও
জুলুমের
প্রতিবাদ
জানাতে
সাহসি হয়। |
ফরাজি
আন্দোলন শেষ
পর্যন্ত
ব্যর্থ হলেও
ব্রিটিশ বিরোধী
কৃষক
আন্দোলন
হিসেবে এই
আন্দোলন খুবই
গুরুত্বপূর্ণ
ছিল। ড. অভিজিৎ
দত্ত বলেছেন, ফরাজিরা
ব্রিটিশ
সাম্রাজ্যের
উচ্ছেদ করতে না
পারলেও
বাংলা থেকে
ব্রিটিশ
শাসনের
উচ্ছেদ
কামনা
করেছিল। |
পি.ডি.এফ
ফালই ডাউনলোড কর
Click
Here to Download PDF File………
Good
উত্তরমুছুনGood
উত্তরমুছুনNice for help US....
উত্তরমুছুনThanks a lot
উত্তরমুছুনThanks for you
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুনThank you so much
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে । দ্বিতীয় অংশ দিন স্যার ।
উত্তরমুছুন2nd part history model activity task
মুছুনhttps://history4u3.blogspot.com/2020/08/2021-madhyamik-model-activity-task-with_85.html
3 onso din sir
মুছুনThank u
উত্তরমুছুনpart-3 daben
উত্তরমুছুনThank You Google to help me
মুছুনThanks
উত্তরমুছুন